গ্যাসনিয়রের মায়ের আর্থিক অবস্থা এমন ছিল না যে, তিনি নরওয়ে থেকে ভারতে এসে তিহাড়ে বন্দি ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কিন্তু গ্যাসনিয়রের জীবনের উপর তৈরি তথ্যচিত্র দেখার পর নরওয়ের মানুষ তাঁর মায়ের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে তুলে দেওয়া হয় গ্যাসনিয়রের মায়ের হাতে।
২০০২ সালের ১২ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় জীবন পেয়েছিলেন গ্যাসনিয়র। গ্যাসনিয়রের মুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন নরওয়ের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লেন্স স্টলটেনবার্গ। জেল থেকে গ্যাসনিয়রের মুক্তির ব্যাপারে ভারত সরকারের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলেছিলেন তিনি। এর পরেই নরওয়ে এবং ভারতের সরকার মিলে তাঁকে তিহাড় থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁর মুক্তির আদেশে সই করেন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি।
তিহাড়ে থাকাকালীন হিন্দি নিয়ে অনেক পড়াশোনা করে ফেলেছিলেন গ্যাসনিয়র। তিনি যখন নরওয়ে ফেরেন তখন তিনি পুরোদস্তুর সাধক। আচার-আচরণ, কথাবার্তা— সব কিছু বদলে গিয়েছিল তাঁর। গড়গড় করে হিন্দি বলতে পারতেন তিনি। চর্চা করতেন যোগ এবং আধ্যাত্মিকতা নিয়ে। নরওয়ের কারাগারগুলিতেও ‘রোল মডেল’ হিসাবে তুলে ধরা হয় গ্যাসনিয়রকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy