All need to know about why parents of Kreung tribe from Cambodia make Love Hut for their daughters dgtl
Kreung Tribe
‘প্রেম কুটির’-এ একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌনতায় মাতেন কন্যারা, ব্যবস্থা করেন বাবা-মা! কোথায় আছে এমন প্রথা?
অবিশ্বাস্য মনে হলেও কম্বোডিয়ার প্রত্যন্ত এক দ্বীপে ক্রেউং উপজাতির মধ্যে এই চল রয়েছে। পড়াশোনার জন্য নয়, বরং কন্যাসন্তানদের সঙ্গম করার জন্য ‘প্রেম কুটির’ বানিয়ে দেন অভিভাবকেরা।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ১৫:৫১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
পৃথিবীতে আশ্চর্যজনক এবং আকর্ষণীয় অনেক জায়গা রয়েছে। বিশ্বের এক প্রান্তে বসে অন্য প্রান্তে কী ঘটছে তা আমরা অনেক সময়ই জানতে পারি না। সে রকমই একটি জায়গা রয়েছে কম্বোডিয়ায়। কম্বোডিয়ার সেই দ্বীপে এমন কিছু নিয়ম রয়েছে যা জানার পর যে কেউ আশ্চর্য হতে বাধ্য।
০২১৬
সন্তান যাতে একাগ্রচিত্তে পড়াশোনা করতে পারে, তার জন্য অনেক বাবা-মা সন্তানদের জন্য ব্যক্তিগত ঘরের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কখনও কোনও বাবা-মা তাঁদের মেয়ের জন্য কুটির বানিয়ে দিয়েছে, শুনেছেন? তা-ও আবার যৌন সম্পর্কের জন্য!
০৩১৬
অবিশ্বাস্য মনে হলেও কম্বোডিয়ার প্রত্যন্ত এক দ্বীপে ক্রেউং উপজাতির মধ্যে এই চল রয়েছে। পড়াশোনার জন্য নয়, বরং কন্যাসন্তানদের সঙ্গম করার জন্য ‘প্রেম কুটির’ বানিয়ে দেন অভিভাবকেরা।
০৪১৬
ক্রেউং উপজাতির মানুষেরা নিজেদের বাসস্থান থেকে কয়েক মিটার দূরে কন্যাদের জন্য ওই কুটির তৈরি করেন। ব্যক্তিগত সেই কুটিরে পছন্দসই ছেলের সঙ্গে থাকেন কন্যারা। সঙ্গমও করেন।
০৫১৬
কিন্তু কেন এমন ব্যবস্থা? কন্যারা যাতে নিজের ভালবাসার মানুষকে খুঁজে পেতে পারেন, তার জন্যই ওই ‘প্রেম কুটির’ বানিয়ে দেন বাবা-মা।
০৬১৬
ক্রেউং উপজাতিতে কন্যাদের কেবল সঠিক জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অনুমতিই দেওয়া হয় না, বরং উৎসাহিতও করা হয়। ‘প্রেম কুটির’ সেই জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
০৭১৬
ক্রেউং উপজাতির কন্যাদের তাঁদের পছন্দের সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, একের অধিক সঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গম করার অনুমতিও রয়েছে তাঁদের।
০৮১৬
দিনের বেলায় ক্রেউং উপজাতির অবিবাহিত তরুণ-তরুণীরা নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখেন। কিন্তু রাত হওয়ার পরেই তরুণদের দল গান গাইতে গাইতে ‘প্রেম কুটির’-এর বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন।
০৯১৬
রীতি অনুযায়ী, ‘প্রেম কুটির’-এ রাত কাটানোর জন্য তাঁদের পছন্দের পুরুষকে আমন্ত্রণ জানান ক্রেউং উপজাতির তরুণী কন্যারা। এঁদের মধ্যে যে পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে সবথেকে আনন্দ পান, তাঁকেই জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেন তরুণীরা। বিয়ে হয় দু’জনের।
১০১৬
কোনও তরুণী বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই একমাত্র পছন্দের পুরুষের সঙ্গে দিনের আলোয় দেখা করতে পারেন। তত ক্ষণ পর্যন্ত প্রেমালাপ চলে লোকচক্ষুর আড়ালে।
১১১৬
তবে ‘প্রেম কুটির’-এ আগত সকলের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্ক গড়া অত্যাবশ্যক নয় ক্রেউং-কন্যাদের জন্য। দীর্ঘ ক্ষণ কথাবার্তা বলার পর যদি ওই তরুণীরা মনের মিল পান তবেই পছন্দের পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গমে রাজি হন তাঁরা।
১২১৬
ক্রেউংদের ঐতিহ্য অনুযায়ী, কন্যারা যাতে সত্যিকারের এবং দীর্ঘস্থায়ী ভালবাসা খুঁজে পেতে পারে, তার জন্যই ওই রকম বন্দোবস্ত করেন তাদের বাবা-মা।
১৩১৬
সাংবাদিক ফিওনা ম্যাকগ্রেগর এবং চিত্রগ্রাহক লুই কোয়েল এক বার ওই উপজাতির মানুষদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পরে সেই অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ক্রেউংদের মহিলারা আত্মবিশ্বাসী এবং অত্যন্ত বিচক্ষণ।
১৪১৬
এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলার সময় এক বার ক্রেউং উপজাতির এক কন্যা ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘‘যদি আমি কোনও ছেলের সঙ্গে মিলন চাই, তা হলে আমি প্রথমে তার পরিবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। যদি সে অলস বা খারাপ হয়, তা হলে তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কোনও ইচ্ছা থাকে না আমার। যদি সে ভাল, সুদর্শন এবং পরিশ্রমী হয়, তা হলে আমি তার সঙ্গে সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’’
১৫১৬
ক্রেউংদের মধ্যে গার্হস্থ্য হিংসা এবং যৌন নির্যাতনের মতো অপরাধমূলক ঘটনার নজির নাকি প্রায় নেই বললেই চলে।
১৬১৬
অন্য দিকে, বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন, কেবল কন্যাদের যৌনতা অন্বেষণ করার জন্য ‘প্রেম কুটির’ তৈরি করেন না ক্রেউংরা। বরং সঠিক সঙ্গী বাছাইয়ে ক্ষেত্রে কন্যাদের যাতে ভুলভ্রান্তি না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য তৈরি করা হয় এটি।