১৯৮৫ সালে স্বামী ইরান থেকে ফেরার পরই তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শাকিরা। তাঁদের বিচ্ছেদও হয় সেই বছরেই। আকবরের সঙ্গে বিচ্ছেদের ছয় মাস পর, ১৯৮৬ সালের এপ্রিলে পরিবার এবং সামাজিক রীতিনীতির তোয়াক্কা না করেই শ্রদ্ধানন্দকে বিয়ে করেন শাকিরা। শ্রদ্ধানন্দকে তাঁর অর্থ এবং সম্পত্তি দেখভালের দায়িত্বও দিয়েছিলেন শাকিরা।
শ্রদ্ধানন্দের নজর ছিল শাকিরার বিপুল সম্পত্তির উপর। দু’জনের সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার পর শাকিরাকে খুন করে সেই সম্পত্তি হাতানোর পরিকল্পনা করেন শ্রদ্ধানন্দ। এর মধ্যেই রিচমন্ড রোডের সেই বাড়িতে যান শ্রদ্ধানন্দ। ওই বাড়ির পরিচারকদের একটি বড় কাঠের বাক্স বানানোর নির্দেশ দেন তিনি। পরিচারকদের বলেছিলেন, সোনা-রুপোর গয়না রাখতে ওই বাক্স প্রয়োজন।
তিন বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে শাকিরা খুনের মামলায় শ্রদ্ধানন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, শাকিরার যাবতীয় সম্পত্তির ‘পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি’ পাওয়ার পর তাঁকে খুনের ছক কষেছিলেন শ্রদ্ধানন্দ। ১৯৯৪ সালে শ্রদ্ধানন্দকে গ্রেফতার করে কর্নাটক পুলিশ। খুনে শ্রদ্ধানন্দকে সাহায্য করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল এক পরিচারককেও।
স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ১৯৯৪ সালের ৩০ এপ্রিল শ্রদ্ধানন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০০০ সালে কর্নাটকের নিম্ন আদালত শ্রদ্ধানন্দকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০০৫ সালে কর্নাটক হাই কোর্ট সেই শাস্তি বহাল রাখে। এর পর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন তিনি। ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ডের বদলে শ্রদ্ধানন্দকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় শীর্ষ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy