কোনও আইনি ছাড়পত্র বা কর্তৃত্ব ছাড়াই বেমালুম আবাসনের বাসিন্দাদের উপর শাস্তির খাঁড়া নামিয়ে এনেছে রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাটি। নিজস্ব সমান্তরাল আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা জারি করে বাসিন্দাদের থেকে যথেচ্ছ জরিমানা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাগুলি পুলিশের নজরে পড়তেই ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
ছোটখাটো ঝগড়া থেকে শুরু করে চুরি, যৌন হয়রানি, এমনকি আবাসন চত্বরের মধ্যে মাদকদ্রব্য ব্যবহার বা রাখার মতো গুরুতর অপরাধ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিচারের শাসনদণ্ড নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে সংগঠন। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বাসিন্দাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য সমস্ত ক্ষমতা নিজেদের হাতেই রেখেছিলেন আবাসন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ।
বেঙ্গালুরুর দক্ষিণ-পশ্চিমের কুম্বালাগোডু থানায় এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এফআইআরে প্রভিডেন্ট সানওয়ার্থ অ্যাপার্টমেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং টাইকো সিকিউরিটি সার্ভিসেসকে মূল অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধান নিরাপত্তা আধিকারিক চন্দ্রহাসা, সংগঠনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কর্মী, সভাপতি, সচিব এবং কোষাধ্যক্ষ-সহ সমিতির বেশ কয়েক জন পদাধিকারীর এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অনিতা বি হাড্ডান্নাভার বলেন, “সংগঠনের কর্তারা আবাসনে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে জরিমানা আদায় করছিলেন। তাঁরা হয়রানি, চুরি এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য রাখার মতো অপরাধের জন্য ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা নিতেন। এর মধ্যে অনেকগুলিই ফৌজদারি অপরাধ। আবাসনের ‘বাসিন্দা কল্যাণ সমিতি’ মর্জিমাফিক জরিমানা আরোপ করে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। আমরা এখন মামলা দায়ের করেছি।”
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, সমিতিটি তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিন মাসে নগদ এবং ইউপিআই ট্রান্সফারের মাধ্যমে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। পুলিশকে জানানোর পরিবর্তে অননুমোদিত শাস্তিমূলক নিয়ম তৈরি এবং প্রয়োগ করে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। মামলাগুলি ধামাচাপাও দেওয়া হয়েছিল। অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে তারা।
সমিতি বিভিন্ন অপরাধের জন্য জরিমানা নির্দিষ্ট করে নিজস্ব ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং’ পদ্ধতি তৈরি করেছে। সেই ‘আইন’ প্রয়োগের জন্য সেগুলি নিরাপত্তা সংস্থাটিকে দায়িত্ব দিয়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে কোনও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাগুলির ফৌজদারি অপরাধ তদন্ত বা জরিমানা আরোপের কোনও আইনি অধিকার নেই। সমস্ত অপরাধই পুলিশের নজরে আনা বাধ্যতামূলক।
পুলিশের বক্তব্য, ২০০৩ সাল থেকে পার্কিংয়ে আইন লঙ্ঘন বা সাধারণ সম্পত্তির ক্ষতির মতো ছোটখাটো সমস্যা সমাধানের জন্য সমিতির কাছে বৈধ ক্ষমতা ছিল। এই বছরের জুলাই মাস থেকে সেই ক্ষমতারই অপব্যবহার করে অপরাধমূলক অভিযোগের শাস্তি দিতে ফতোয়া জারি করে সমিতি। বেশ কয়েকটি পরিবারকে বাড়িছাড়া করা হয়। এর ফলে তদন্ত কিছুটা ব্যাহত হতে পারে বলে প্রশাসনিক কর্তাদের অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy