সামুরাইদের লড়াকু জেটকে ‘রেডার-লক’। ক্ষেপণাস্ত্রের বোতামে আঙুল রেখে ড্রাগন নৌবাহিনীর চরম হুঁশিয়ারি। এর জেরে যুদ্ধবিমান সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’। যদিও এই ঘটনায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় তীব্র হয়েছে সংঘাতের পারদ। যুযুধান দু’পক্ষের শরীরী ভাষায় প্রমাদ গুনছেন দুনিয়ার তাবড় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা। তাঁদের অধিকাংশেরই দাবি, পূর্ব ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার পর এ বার দূর প্রাচ্যে খুলতে চলেছে যুদ্ধের নতুন ফ্রন্ট, যেখানে অবশ্যই নাক গলাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ‘সুপার পাওয়ার’।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র জাপানের দক্ষিণের ছোট্ট প্রশাসনিক এলাকা হল ওকিনাওয়া। সম্প্রতি সেখানেই ‘আগ্রাসী’ মনোভাব দেখানোর অভিযোগ ওঠে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের (পড়ুন পিপল্স রিপাবলিক অফ চায়না) ‘পিপল্স লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএ নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল ছিল যে, মুহূর্তের অসতর্কতায় ধ্বংস হত টোকিয়োর লড়াকু জেট। বেজিঙের এ-হেন ‘দৌরাত্ম্য’কে তাই বিপজ্জনক এবং যুদ্ধের উস্কানি বলে মনে করছে সামুরাই রাষ্ট্র। পাল্টা জাপানের বিরুদ্ধে একই রকমের অভিযোগ এনেছে ড্রাগন।