বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে ধীরে ধীরে গলছে সুমেরু সাগরের বরফ। তারই কুপ্রভাবে বিপর্যস্ত পৃথিবী। দুনিয়া জুড়ে বাড়ছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। কিন্তু, এ-হেন বিশ্ব উষ্ণায়নের একটা ভাল দিক এ বার খুঁজে পেল চিন। সেই ‘ভাল দিক’ কাজে লাগিয়ে পশ্চিম ইউরোপে পণ্য পরিবহণের নতুন রাস্তা আবিষ্কার করে ফেলেছে বেজিং। মান্দারিনভাষীদের দেখানো পথ ধরে এগোলে লাভ হতে পারে ভারতেরও। ফলে গোটা বিষয়টির উপর কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার যে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছে, তা বলাই বাহুল্য।
সম্প্রতি একটি চিনা পণ্যবাহী জাহাজের সুমেরু সাগর পেরিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই দুনিয়া জুড়ে পড়ে যায় শোরগোল। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, মাত্র ছ’দিনে ওই জলযানটি সংশ্লিষ্ট রাস্তা পার করে বলে জানিয়েছে বেজিং। নতুন পথের পোশাকি নাম ‘উত্তর সামুদ্রিক রাস্তা’ বা নর্দার্ন সি রুট। বিশ্ব উষ্ণায়নে সুমেরুর বরফ গলার কারণেই এর সন্ধান পেয়েছেন ড্রাগনভূমির নাবিকেরা। ইউরোপ পৌঁছোনোর এই বিকল্প রাস্তা আগামী দিনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ‘খেলা ঘোরাবে’ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।