এই ঘটনার বছর তিনেক পর ২০০৪ সালে মে-তে সনিয়া, তাঁর স্বামী সঞ্জীবকে ৮ জনকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে জেলা ও দায়রা আদালত। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই যে এতগুলি খুন করা হয়েছিল, তা জানায় আদালতও। সনিয়া এবং সঞ্জীবকে ফাঁসির সাজা দেন বিচারক। তবে সঞ্জীবের মা-বাবা-ভাইকে এই মামলা থেকে মুক্ত করা হয়। এই মামলায় ১০৯ জনের মধ্যে ৬৬ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল।
২০০৯ সালে প্রতিভা পাটিলের কাছে চিঠি লিখে তাঁর ক্ষমাপ্রার্থনার আর্জি খারিজ করার আবেদন করেন সনিয়া। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘জেলকুঠুরিতে পোকামাকড়ের মতো নিঃসঙ্গ জীবন কাটানো একেবারে অসম্ভব হয়ে উঠেছে। আমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে গিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে আরও যন্ত্রণা বাড়ছে। বেঁচে থাকার কোনও উপায় নেই। প্রতি মুহূর্তে মরে যাওয়ার চেয়ে একবারে মরে যেতে চাই।’’
২০১৩ সালের এপ্রিলে সনিয়ার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। যদিও পিপল্স ইউনিয়ন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস (পিইউডিআর) নামে এক মানবাধিকার সংগঠন এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। পরের বছরের জানুয়ারিতে সে আবেদনে সাড়া দেয় শীর্ষ আদালত। সনিয়া এবং সঞ্জীবের ফাঁসির সাজা মকুব করে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পি সদাশিবম এবং বিচারপতি এমওয়াই ইকবালের বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy