Advertisement
০২ মে ২০২৪
Murder

জন্মদিনে ঘুমন্ত মা-বাবা, সৎদাদা-সহ ৮ জনকে খুন করেন বিধায়ক-কন্যা, সঙ্গ দেন স্বামী!

২০০১ সালের ২৩ অগস্ট হরিয়ানার প্রাক্তন বিধায়ক রেলুরাম পুনিয়া, তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে-বৌমা এবং তাঁদের ৩ শিশুসন্তানকে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করা হয়েছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২২ ০৯:০৬
Share: Save:
০১ ২৩
৪ বছরের শিশুটিকে স্কুলবাসে তুলে দিতে সাতসকালে তার ঘরে ঢুকেছিলেন এক পরিচারক। কিন্তু ঘরের ভিতরের দৃশ্য দেখে হাঁ হয়ে যান তিনি। ঘরে পড়ে রয়েছে শিশুটির নিথর দেহ। ডাকাডাকি করে পরিবারের কারও সাড়া পাননি ওই পরিচারক। এর পর উদ্ধার হয় শিশুটির পরিবারের আরও ৭ জনের দেহ।

৪ বছরের শিশুটিকে স্কুলবাসে তুলে দিতে সাতসকালে তার ঘরে ঢুকেছিলেন এক পরিচারক। কিন্তু ঘরের ভিতরের দৃশ্য দেখে হাঁ হয়ে যান তিনি। ঘরে পড়ে রয়েছে শিশুটির নিথর দেহ। ডাকাডাকি করে পরিবারের কারও সাড়া পাননি ওই পরিচারক। এর পর উদ্ধার হয় শিশুটির পরিবারের আরও ৭ জনের দেহ।

০২ ২৩
২০০১ সালের ২৩ অগস্ট হরিয়ানার প্রাক্তন বিধায়ক রেলুরাম পুনিয়া, তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে-বৌমা এবং তাঁদের ৩ শিশুসন্তানকে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করা হয়েছিল।

২০০১ সালের ২৩ অগস্ট হরিয়ানার প্রাক্তন বিধায়ক রেলুরাম পুনিয়া, তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে-বৌমা এবং তাঁদের ৩ শিশুসন্তানকে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করা হয়েছিল।

০৩ ২৩
হিসারের লীটানী এলাকায় রেলুরামের প্রাসাদোপম ফার্ম হাউসের এক-একটি ঘর থেকে পরের পর ৮টি দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল।

হিসারের লীটানী এলাকায় রেলুরামের প্রাসাদোপম ফার্ম হাউসের এক-একটি ঘর থেকে পরের পর ৮টি দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল।

০৪ ২৩
পুলিশ জানায়, ওই ফার্ম হাউস থেকে উদ্ধার হয় রেলুরাম (৫০), তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী কৃষ্ণা (৪১), প্রথম পক্ষের একমাত্র ছেলে সুনীল (২৩), সুনীলের স্ত্রী শকুন্তলা (২০), সুনীল-শকুন্তলার ছেলে লোকেশ (৪), তাঁদের শিশুকন্যা শিবানী (২) এবং প্রীতি (৩ মাস)-সহ প্রথম পক্ষের মেয়ে প্রিয়ঙ্কা (১৬)-র দেহ।

পুলিশ জানায়, ওই ফার্ম হাউস থেকে উদ্ধার হয় রেলুরাম (৫০), তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী কৃষ্ণা (৪১), প্রথম পক্ষের একমাত্র ছেলে সুনীল (২৩), সুনীলের স্ত্রী শকুন্তলা (২০), সুনীল-শকুন্তলার ছেলে লোকেশ (৪), তাঁদের শিশুকন্যা শিবানী (২) এবং প্রীতি (৩ মাস)-সহ প্রথম পক্ষের মেয়ে প্রিয়ঙ্কা (১৬)-র দেহ।

০৫ ২৩
ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তকারীরা দেখতে পান, একমাত্র শকুন্তলার মুখে কাপড় গোঁজা। তাঁর হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। বাকিদের দেহে খুনিকে বাধা দেওয়ার চিহ্ন ছিল না।

ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তকারীরা দেখতে পান, একমাত্র শকুন্তলার মুখে কাপড় গোঁজা। তাঁর হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। বাকিদের দেহে খুনিকে বাধা দেওয়ার চিহ্ন ছিল না।

০৬ ২৩
তদন্তকারীদের দাবি ছিল, ঘুমন্ত অবস্থায় মা-বাবাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেন সনিয়া। এ অপরাধে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন তাঁর স্বামীও। অপরাধের গতিপ্রকৃতি জেনে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ।

তদন্তকারীদের দাবি ছিল, ঘুমন্ত অবস্থায় মা-বাবাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেন সনিয়া। এ অপরাধে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন তাঁর স্বামীও। অপরাধের গতিপ্রকৃতি জেনে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ।

০৭ ২৩
দেহগুলির ময়নাতদন্তের পর জানা গিয়েছিল, রাতের খাবারে ক্ষীরের মধ্যে আফিম মেশানো ছিল। পরিবারের ৮ জনকে খুনের অভিযোগ ওঠার পরের দিনই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করেন রেলুরামের দ্বিতীয় পক্ষের মেয়ে সনিয়া।

দেহগুলির ময়নাতদন্তের পর জানা গিয়েছিল, রাতের খাবারে ক্ষীরের মধ্যে আফিম মেশানো ছিল। পরিবারের ৮ জনকে খুনের অভিযোগ ওঠার পরের দিনই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করেন রেলুরামের দ্বিতীয় পক্ষের মেয়ে সনিয়া।

০৮ ২৩
সনিয়াকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

সনিয়াকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

০৯ ২৩
পুলিশের দাবি, ওই নোটে সনিয়া লিখেছিলেন, বাবা তাঁকে কখনওই ভালবাসেননি। সে কারণেই তাঁকে খুন করেছেন। বাকিদেরও কি সনিয়াই খুন করেছিলেন? না কি এ ‘অপরাধ’ করেন তাঁর স্বামী সঞ্জীব অথবা তাঁর পরিবারের সদস্যেরা?

পুলিশের দাবি, ওই নোটে সনিয়া লিখেছিলেন, বাবা তাঁকে কখনওই ভালবাসেননি। সে কারণেই তাঁকে খুন করেছেন। বাকিদেরও কি সনিয়াই খুন করেছিলেন? না কি এ ‘অপরাধ’ করেন তাঁর স্বামী সঞ্জীব অথবা তাঁর পরিবারের সদস্যেরা?

১০ ২৩
যদিও তদন্তকারীরা দাবি করেছিলেন, নিজের জন্মদিনে মা-বাবা-বোন, সৎদাদা-সহ পরিবারের ৮ জনকে খুন করেছেন বিধায়ক-কন্যা সনিয়া কুমার এবং তাঁর স্বামী সঞ্জীব কুমার। সঞ্জীবের মা-বাবা-ভাইয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছিল।

যদিও তদন্তকারীরা দাবি করেছিলেন, নিজের জন্মদিনে মা-বাবা-বোন, সৎদাদা-সহ পরিবারের ৮ জনকে খুন করেছেন বিধায়ক-কন্যা সনিয়া কুমার এবং তাঁর স্বামী সঞ্জীব কুমার। সঞ্জীবের মা-বাবা-ভাইয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছিল।

১১ ২৩
তদন্তকারীদের কাছে রেলুরামের এক পরিচারক জানিয়েছিলেন, ২৩ তারিখ নিজের জন্মদিনের আগের দিন বোন প্রিয়ঙ্কাকে হস্টেল থেকে ফার্ম হাউসে ডেকে এনেছিলেন সনিয়া।

তদন্তকারীদের কাছে রেলুরামের এক পরিচারক জানিয়েছিলেন, ২৩ তারিখ নিজের জন্মদিনের আগের দিন বোন প্রিয়ঙ্কাকে হস্টেল থেকে ফার্ম হাউসে ডেকে এনেছিলেন সনিয়া।

১২ ২৩
ঘটনার দিন রাত ১২টার সময় সনিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে ফার্ম হাউসে আতশবাজির খেলা চলছিল। রেলুরামের পরিচারকদের দাবি, সে রাতে জন্মদিনের হইচই, শোরগোলের মাঝেই ফার্ম হাউলের গ্যারাজ থেকে সনিয়াকে একটি লোহার রড বার করে আনতে দেখেছিলেন তাঁরা।

ঘটনার দিন রাত ১২টার সময় সনিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে ফার্ম হাউসে আতশবাজির খেলা চলছিল। রেলুরামের পরিচারকদের দাবি, সে রাতে জন্মদিনের হইচই, শোরগোলের মাঝেই ফার্ম হাউলের গ্যারাজ থেকে সনিয়াকে একটি লোহার রড বার করে আনতে দেখেছিলেন তাঁরা।

১৩ ২৩
পরের দিন ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ সনিয়াকে একটি গাড়িতে চড়ে বেরিয়ে যেতে দেখেন পরিচারকেরা। যদিও কিছু ক্ষণ পরেই ফার্ম হাউসে ফিরে এসেছিলেন সনিয়া।

পরের দিন ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ সনিয়াকে একটি গাড়িতে চড়ে বেরিয়ে যেতে দেখেন পরিচারকেরা। যদিও কিছু ক্ষণ পরেই ফার্ম হাউসে ফিরে এসেছিলেন সনিয়া।

১৪ ২৩
পরিচারকদের সন্দেহ, খুনের পর স্বামীকে গাড়ি করে পালাতে সাহায্য করেছিলেন সনিয়া। পুলিশের কাছে নিজেদের সন্দেহের কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা।

পরিচারকদের সন্দেহ, খুনের পর স্বামীকে গাড়ি করে পালাতে সাহায্য করেছিলেন সনিয়া। পুলিশের কাছে নিজেদের সন্দেহের কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা।

১৫ ২৩
এতগুলি খুনের পিছনে কী কারণ থাকতে পারে? সত্যিই কি পিতৃস্নেহ না পাওয়ার ব্যথা লুকিয়ে ছিল সনিয়ার মনে? শুধু সেই কারণেই কি স্বামীর সাহায্যে এতগুলি খুন করেছিলেন সনিয়া? যদিও তদন্তকারীদের দাবি, খুনের পিছনে আসল কারণ রেলুরামের সম্পত্তি নিয়ে সৎদাদার সঙ্গে সনিয়ার বিবাদ।

এতগুলি খুনের পিছনে কী কারণ থাকতে পারে? সত্যিই কি পিতৃস্নেহ না পাওয়ার ব্যথা লুকিয়ে ছিল সনিয়ার মনে? শুধু সেই কারণেই কি স্বামীর সাহায্যে এতগুলি খুন করেছিলেন সনিয়া? যদিও তদন্তকারীদের দাবি, খুনের পিছনে আসল কারণ রেলুরামের সম্পত্তি নিয়ে সৎদাদার সঙ্গে সনিয়ার বিবাদ।

১৬ ২৩
অভিযোগ, ওই কাণ্ডের বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে রিভলভার উঁচিয়ে সুনীলকে শাসিয়েছিলেন সনিয়া। বিবাদের মূলে ছিল, রেলুরামের ৪৬ একরের কৃষিজমি। ওই ফার্ম হাউসের আশপাশের এলাকায় সে জমি ঘিরে প্রায়শই দু’জনের মধ্যে বিস্তর ঝামেলাও হত বলে দাবি।

অভিযোগ, ওই কাণ্ডের বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে রিভলভার উঁচিয়ে সুনীলকে শাসিয়েছিলেন সনিয়া। বিবাদের মূলে ছিল, রেলুরামের ৪৬ একরের কৃষিজমি। ওই ফার্ম হাউসের আশপাশের এলাকায় সে জমি ঘিরে প্রায়শই দু’জনের মধ্যে বিস্তর ঝামেলাও হত বলে দাবি।

১৭ ২৩
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, রেলুরামের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ওমি দেবীর ছেলে সুনীলের সঙ্গে সনিয়ার কখনই বনিবনা ছিল না। অন্য দিকে, দ্বিতীয় বিয়ে করলেও কৃষ্ণার সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল না রেলুরামের।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, রেলুরামের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ওমি দেবীর ছেলে সুনীলের সঙ্গে সনিয়ার কখনই বনিবনা ছিল না। অন্য দিকে, দ্বিতীয় বিয়ে করলেও কৃষ্ণার সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল না রেলুরামের।

১৮ ২৩
এই ঘটনার বছর তিনেক পর ২০০৪ সালে মে-তে সনিয়া, তাঁর স্বামী সঞ্জীবকে ৮ জনকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে জেলা ও দায়রা আদালত। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই যে এতগুলি খুন করা হয়েছিল, তা জানায় আদালতও। সনিয়া এবং সঞ্জীবকে ফাঁসির সাজা দেন বিচারক। তবে সঞ্জীবের মা-বাবা-ভাইকে এই মামলা থেকে মুক্ত করা হয়। এই মামলায় ১০৯ জনের মধ্যে ৬৬ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল।

এই ঘটনার বছর তিনেক পর ২০০৪ সালে মে-তে সনিয়া, তাঁর স্বামী সঞ্জীবকে ৮ জনকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে জেলা ও দায়রা আদালত। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই যে এতগুলি খুন করা হয়েছিল, তা জানায় আদালতও। সনিয়া এবং সঞ্জীবকে ফাঁসির সাজা দেন বিচারক। তবে সঞ্জীবের মা-বাবা-ভাইকে এই মামলা থেকে মুক্ত করা হয়। এই মামলায় ১০৯ জনের মধ্যে ৬৬ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল।

১৯ ২৩
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টে গিয়েছিলেন সনিয়ারা। ২০০৫ সালে তাঁদের ফাঁসির সাজা মকুব করে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেয় হাই কোর্ট। যদিও ২০০৭ সালে সে সাজা বাতিল করে সনিয়াদের ফাঁসির সাজা শোনায় সুপ্রিম কোর্ট।

নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টে গিয়েছিলেন সনিয়ারা। ২০০৫ সালে তাঁদের ফাঁসির সাজা মকুব করে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেয় হাই কোর্ট। যদিও ২০০৭ সালে সে সাজা বাতিল করে সনিয়াদের ফাঁসির সাজা শোনায় সুপ্রিম কোর্ট।

২০ ২৩
শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর হরিয়ানা সরকারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন সনিয়ারা। তবে ২০০৭ সালের অক্টোবরে তা খারিজ করে দেয় হরিয়ানা সরকার। এর পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের দ্বারস্থ হন সনিয়ারা।

শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর হরিয়ানা সরকারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন সনিয়ারা। তবে ২০০৭ সালের অক্টোবরে তা খারিজ করে দেয় হরিয়ানা সরকার। এর পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের দ্বারস্থ হন সনিয়ারা।

২১ ২৩
২০০৯ সালে প্রতিভা পাটিলের কাছে চিঠি লিখে তাঁর ক্ষমাপ্রার্থনার আর্জি খারিজ করার আবেদন করেন সনিয়া। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘জেলকুঠুরিতে পোকামাকড়ের মতো নিঃসঙ্গ জীবন কাটানো একেবারে অসম্ভব হয়ে উঠেছে। আমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে গিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে আরও যন্ত্রণা বাড়ছে। বেঁচে থাকার কোনও উপায় নেই। প্রতি মুহূর্তে মরে যাওয়ার চেয়ে একবারে মরে যেতে চাই।’’

২০০৯ সালে প্রতিভা পাটিলের কাছে চিঠি লিখে তাঁর ক্ষমাপ্রার্থনার আর্জি খারিজ করার আবেদন করেন সনিয়া। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘জেলকুঠুরিতে পোকামাকড়ের মতো নিঃসঙ্গ জীবন কাটানো একেবারে অসম্ভব হয়ে উঠেছে। আমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে গিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে আরও যন্ত্রণা বাড়ছে। বেঁচে থাকার কোনও উপায় নেই। প্রতি মুহূর্তে মরে যাওয়ার চেয়ে একবারে মরে যেতে চাই।’’

২২ ২৩
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে সনিয়ার এই চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম সনিয়ার আর্জি খারিজের দাবি তুলেছিলেন। তাঁর মতে, ‘‘মহিলা হলেও যে অপরাধ সনিয়া করেছেন, তা ক্ষমারও অযোগ্য।’’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে সনিয়ার এই চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম সনিয়ার আর্জি খারিজের দাবি তুলেছিলেন। তাঁর মতে, ‘‘মহিলা হলেও যে অপরাধ সনিয়া করেছেন, তা ক্ষমারও অযোগ্য।’’

২৩ ২৩
২০১৩ সালের এপ্রিলে সনিয়ার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। যদিও পিপল্‌স ইউনিয়ন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস (পিইউডিআর) নামে এক মানবাধিকার সংগঠন এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। পরের বছরের জানুয়ারিতে সে আবেদনে সাড়া দেয় শীর্ষ আদালত। সনিয়া এবং সঞ্জীবের ফাঁসির সাজা মকুব করে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পি সদাশিবম এবং বিচারপতি এমওয়াই ইকবালের বেঞ্চ।

২০১৩ সালের এপ্রিলে সনিয়ার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। যদিও পিপল্‌স ইউনিয়ন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস (পিইউডিআর) নামে এক মানবাধিকার সংগঠন এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। পরের বছরের জানুয়ারিতে সে আবেদনে সাড়া দেয় শীর্ষ আদালত। সনিয়া এবং সঞ্জীবের ফাঁসির সাজা মকুব করে তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পি সদাশিবম এবং বিচারপতি এমওয়াই ইকবালের বেঞ্চ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE