সমুদ্রবিজ্ঞানী রবার্ট বব ব্যালার্ডের নেতৃত্বে ১৯৮৫ সালে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে একটি অভিযান চলছিল। সে অভিযান থেকেই প্রথম টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও এই অভিযানকে ঘিরে অনেক জল্পনা রয়েছে। অনেকের ধারণা, মার্কিন নৌবাহিনী আসলে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজতে আগ্রহী ছিলই না। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, হারিয়ে যাওয়া দু’টি মার্কিন পারমাণবিক ডুবোজাহাজ খুঁজে বার করার। সম্পূর্ণ অভিযান গোপন রাখতে চেয়েছিল মার্কিন নৌসেনা। তাই সামনে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান রাখলেও আড়ালে অন্য উদ্দেশ্য ছিল বলেই বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন।
১৯৪৭ সাল থেকে আমেরিকা এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ চলেছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে শেষ হয় এই ‘যুদ্ধ’। সে সময় আমেরিকা বেশ কিছু পারমাণবিক অস্ত্র এবং ডুবোজাহাজ তৈরি করেছিল। তার মধ্যে দু’টি ডুবোজাহাজ ছিল ইউএসএস থ্রেসার এবং ইউএসএস স্করপিয়ন। কিন্তু দু’টি ডুবোজাহাজই সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছিল।