India procure light weight multirole missile and will train British Royal Air Force amid success of Operation Sindoor dgtl
India Britain Defence Deal
নুর খান থেকে রফিকি, একের পর এক পাক বিমানঘাঁটি ধ্বংস, ‘সিঁদুর’ রণকৌশল এ বার ব্রিটিশ বায়ুসেনাকে শেখাবে ভারত!
ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সকে উন্নত করতে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করলেন ইংরেজ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। সমঝোতা অনুযায়ী তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন এ দেশের ‘ফ্লাইং ইনস্ট্রাকটার’। পাশাপাশি ব্রিটেনের থেকে হালকা ওজনের বহুমুখী ক্ষেপণাস্ত্র আমদানি করছে নয়াদিল্লি।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:২১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
মাঝ-আকাশে লড়াকু জেট নিয়ে ডিগবাজি। নিখুঁত নিশানায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে শত্রুর যুদ্ধবিমান উড়িয়ে দেওয়া। কিংবা আকাশ থেকে মাটির উপরের লক্ষ্যবস্তুতে বোমাবর্ষণ। এ-হেন লড়াইয়ের যাবতীয় কলাকৌশল এ বার ব্রিটিশ বায়ুসেনাকে হাতেকলমে শেখাবে ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ঘোষণায় দুনিয়া জুড়ে পড়ে গিয়েছে শোরগোল। স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও ইউরোপীয় দেশের বিমানবাহিনীকে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পাচ্ছে নয়াদিল্লি, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
০২২০
চলতি বছরের অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারত সফর করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় তাঁর। সেখানেই প্রতিরক্ষা এবং সামরিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সেরে ফেলে দুই দেশ। গত ৯ অক্টোবর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকের সময় এর ঘোষণা করেন নমো। বলেন, ‘‘এ বার থেকে ইংরেজদের রয়্যাল এয়ারফোর্সে প্রশিক্ষকের কাজ করবে ভারতীয় বিমানবাহিনী।’’
০৩২০
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, এ দেশের বিমানবাহিনীর ‘ফ্লাইং ইনস্ট্রাকটার’ পদমর্যাদার কর্মী বা অফিসারেরা এই দায়িত্ব পাবেন বলে জানিয়েছেন মোদী। তবে কী কী ধরনের প্রশিক্ষণ ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ারফোর্সকে দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট নয়। নয়াদিল্লির বায়ুসেনা বিভিন্ন ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করে থাকে। সেই তালিকায় লড়াকু জেট ছাড়াও রয়েছে হামলাকারী হেলিকপ্টার ও ড্রোন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) এবং মালবাহী বিমান ও কপ্টার। এ ছাড়াও আছে ‘গরুড়’ নামের একটি বিশেষ কমান্ডো বাহিনী।
০৪২০
এই ইস্যুতে স্টার্মারের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘এ দেশের গতিশীলতা এবং ব্রিটেনের দক্ষতা একত্রিত হয়ে একটি অনন্য সমন্বয় তৈরি করবে। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারি বিশ্বাস, প্রতিভা এবং প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত।’’ মুম্বইয়ের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে ইংরেজদের সঙ্গে একটি ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তিও সেরে নিয়েছে নয়াদিল্লি।
০৫২০
সেই সমঝোতা অনুযায়ী, ভারতীয় ফৌজকে একটি হালকা ওজনের বহুমুখী ক্ষেপণাস্ত্র (লাইটওয়েট মাল্টিরোল মিসাইল বা এলএমএম) সরবরাহ করবে ব্রিটেন। হাতিয়ারটির পোশাকি নাম ‘মার্টলেট’। ইংরেজদের পৌরাণিক কাহিনিতে এই নামের একটি পাখি রয়েছে। পা-বিহীন সেই খেচর কখনও বাসা বাঁধে না। এ-হেন ‘মার্টলেট’ ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেতে ব্রিটিশ সরকারকে ৩৫ কোটি পাউন্ডের বরাত দিয়েছে নয়াদিল্লি। ডলারের নিরিখে টাকার অঙ্কটা প্রায় ৪৬ কোটি ৮০ লক্ষ। সংশ্লিষ্ট মারণাস্ত্রটি কী পরিমাণে নয়াদিল্লির অস্ত্রাগারে জমা হবে, তা জানা যায়নি।
০৬২০
‘মার্টলেট’ প্রকৃতপক্ষে একটি লেজ়ার নির্দেশিত রণাঙ্গনের ক্ষেপণাস্ত্র (লেজ়ার গাইডেড ব্যাটেলফিল্ড মিসাইল)। আক্রমণ এবং রক্ষণ— দু’টি কাজেই একে ব্যবহার করতে পারবে ফৌজ। এর নির্মাণকারী সংস্থা হল ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের উত্তর দিকের বেলফাস্ট এলাকার ‘থেলস এয়ার ডিফেন্স’। চার ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা সংশ্লিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন ১৩ কেজি। প্রায় তিন কেজি বিস্ফোরক বহণ করতে পারে ‘মার্টলেট’। শব্দের প্রায় দেড় গুণ গতিতে (১.৫ ম্যাক) ছুটে গিয়ে নিখুঁত নিশানায় হামলা করার সক্ষমতা রয়েছে এই ব্রিটিশ মারণাস্ত্রের।
০৭২০
বহুমুখী ক্ষমতাসম্পন্ন ‘মার্টলেট’-এর সাহায্যে আকাশ থেকে মাটিতে (এয়ার টু সারফেস), আকাশ থেকে আকাশে (এয়ার টু এয়ার), ভূমি থেকে আকাশে (সারফেস টু এয়ার) এবং ভূমি থেকে ভূমিতে (সারফেস টু সারফেস) আক্রমণ শানাতে পারবে ফৌজ। হামলাকারী কপ্টার, ড্রোন, রণতরী এবং মাটিতে রাখা লঞ্চার থেকে একে উৎক্ষেপণ করার সুবিধা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা অবশ্য খুব বেশি নয়, মাত্র আট কিলোমিটার। তবে মারণাস্ত্রটির একাধিক শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। ২০২১ সাল থেকে ব্রিটিশ স্থল এবং নৌবাহিনীর (পোশাকি নাম রয়্যাল নেভি) বহরে রয়েছে ‘মার্টলেট’।
০৮২০
গত সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে ব্রিটেনের তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র। ‘মার্টলেট’-এর সাহায্যে একের পর এক ড্রোন এবং বহুমুখী কপ্টারকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করে মস্কোর রক্তচাপ বাড়িয়েছে কিভের ফৌজ। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্রটির চুক্তি করে ঘরের মাটিতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার। এর জেরে ‘থেলস এয়ার ডিফেন্স’-এ সরাসরি চাকরি পাবেন অন্তত ৭০০ জন। অন্য দিকে নয়াদিল্লির দাবি, এই প্রতিরক্ষা চুক্তির জেরে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে আরও মজবুত হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।
০৯২০
স্টার্মারের ভারত সফরের মধ্যেই ৮ অক্টোবর ৯৩তম বার্ষিকী পালন করে এ দেশের বিমানবাহিনী। এ বারের ‘এয়ারফোর্স ডে’-র নৈশাহারের মেনুকার্ডে ছিল দুর্দান্ত এক চমক। সেখানে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ধ্বংস হওয়া পাকিস্তানের বায়ুসেনা ছাউনি এবং জঙ্গিঘাঁটিগুলির কথা উল্লেখ করে খাবারের নাম লিখে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। ফলে ‘এয়ারফোর্স ডে’-র নৈশাহারের মেনুকার্ড সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই এই নিয়ে ইসলামাবাদকে ট্রোলিংয়ে মেতে ওঠেন নেটাগরিকদের একাংশ।
১০২০
বায়ুসেনা বার্ষিকীর নৈশাহারের মেনুকার্ডে লেখা খাবারগুলির মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি চিকেন টিক্কা মশালা, রফিকি রাহরা মাটন, ভোলারি পনির মেথি মালাই, সুক্কুর শাম সাভেরা কোফতা, সরগোদা ডাল মাখানি, জাকোবাবাদ মেওয়া পুলাও এবং বাহওয়ালপুরের নাম। এ ছাড়া ডেসার্ট হিসাবে বালাকোট তিরামিসু, মুজাফ্ফরাবাদ কুলফি ফালুদা এবং মুরিদকে মিঠা পানের উল্লেখ ছিল সেখানে।
১১২০
এ বছরের ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের বৈসরন উপত্যকার পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারান পর্যটক-সহ মোট ২৬ জন। তাঁদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে নির্বিচারে গুলি চালায় চার থেকে পাঁচ জন সন্ত্রাসী। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আক্রমণের দায় স্বীকার করে রাষ্ট্রপুঞ্জ স্বীকৃত ইসলামাবাদের জঙ্গি সংগঠন ‘লশকর-এ-ত্যায়বা’র ছায়া সংস্থা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স’ (টিআরএফ)। পরে অবশ্য হামলার কথা অস্বীকার করে তারা।
১২২০
২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের বৈসরন উপত্যকার পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারান পর্যটক-সহ মোট ২৬ জন। তাঁদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালায় চার থেকে পাঁচ জন সন্ত্রাসী। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আক্রমণের দায় স্বীকার করে রাষ্ট্রপুঞ্জ স্বীকৃত ইসলামাবাদের জঙ্গি সংগঠন ‘লশকর-এ-ত্যায়বা’র ছায়া সংস্থা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স’ (টিআরএফ)। পরে ওই হামলার কথা অস্বীকার করে তারা।
১৩২০
‘অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুম’-এ প্রথমেই একগুচ্ছ ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় পাক সেনা। কিন্তু, ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করে সেগুলিকে শূন্যেই ধ্বংস করে ভারতীয় ফৌজ। এর পর লড়াকু জেট নিয়ে প্রত্যাঘাতের চেষ্টা করেছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু, তাতেও সফল হয়নি তারা। রাশিয়ার তৈরি ‘এস-৪০০’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে একাধিক পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে এ দেশের বাহিনী।
১৪২০
এ ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলওসিতে (লাইন অফ কন্ট্রোল) চিনের তৈরি ‘টাইপ ৬৩-১’ ৬০ এমএম মর্টার, ‘কিউএলজ়েড-৮৭’ স্বয়ংক্রিয় গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করে অসামরিক জনবসতিতে ধারাবাহিক হামলা চালায় পাক ফৌজ। ফলে ইসলামাবাদকে শিক্ষা দিতে প্রথমে ড্রোন হামলা চালিয়ে বেজিঙের তৈরি ‘এইচকিউ-৯পি’ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। পরে পাক বায়ুসেনার একাধিক ছাউনিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় নয়াদিল্লি।
১৫২০
সূত্রের খবর, এই আক্রমণে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘ব্রহ্মস’ সুপারসনিক ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এ দেশের বাহিনী। ফলে চোখের নিমেষে উড়ে যায় চকলালার নুর খান, রফিকি, মুরিদকে, পসরুর এবং সিয়ালকোটের পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। এ ছাড়াও সুক্কুর এবং চুনিয়ায় ইসলামাবাদের স্থল সেনার ঘাঁটিতেও আছড়ে পড়ে ওই ক্ষেপণাস্ত্র। গত ৮ এবং ৯ মে রাতে যুদ্ধবিমান থেকে ওই প্রত্যাঘাত শানে ভারতীয় বায়ুসেনা।
১৬২০
এ দেশের বিমানবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাক বায়ুসেনার ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে তড়িঘড়ি লড়াই বন্ধ করতে ভারতীয় সেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্স’ বা ডিজিএমও-কে ফোন করেন পাক সেনার সম পদমর্যাদার অফিসার। ১০ মে সন্ধ্যায় দু’তরফে জারি হয় সংঘর্ষবিরতি। ‘যুদ্ধ’ থামতেই ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান দিয়ে বিবৃতি জারি করে পাক ফৌজের ‘আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর’ বা আইএসপিআর (ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স)।
১৭২০
ইসলামাবাদের দাবি, ভারতের হামলায় মাত্র ১০ থেকে ১২ জন সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আমজনতাকে নয়াদিল্লি নিশানা করে বলে অভিযোগ তোলে পাক সেনা। যা অস্বীকার করে পাল্টা বিবৃতি দেন ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই। বলেন, ‘‘ন’টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলায় একশোর বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ইউসূফ আজ়হার, আব্দুল মালিক রাউফ এবং মুদস্সর আহমেদ। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে আইসি ৮১৪ অপহরণ এবং পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিও রয়েছে।’’
১৮২০
ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় পাক আমজনতার যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সে কথা মাথায় রেখে জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে নিশানা করা হয়েছিল। গত ১১ মে বায়ুসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ এয়ার অপারেশন্স’ এয়ার মার্শাল একে ভারতী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আক্রমণ শানানোই আমাদের লক্ষ্য ছিল। সেখানে বাহিনী ১০০ শতাংশ পরাক্রম দেখাতে পেরেছে।’’ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই ধরনের অভিযানের পাঠ এ বার ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সকে দেবে এ দেশের বিমানবাহিনী।
১৯২০
পরাধীন ভারতে ১৯৩২ সালের অক্টোবরে বায়ুসেনা তৈরি করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। ওই সময় এর নাম ছিল ‘রয়্যাল ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন (১৯৩৯-’৪৫) বিভিন্ন রণাঙ্গনে যথেষ্ট পরাক্রম দেখিয়েছিল এই বাহিনী। বর্তমানে এ দেশের আকাশযোদ্ধাদের মোট সাতটি কমান্ড রয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি অভিযানের জন্য। বাকি দু’টি প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করে এ দেশের বায়ুসেনা।
২০২০
শতাব্দীপ্রাচীন ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ারফোর্সের আবার জন্ম হয় ১৯১৮ সালের এপ্রিলে। ওই সময় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-’১৮) প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪০ সালে ধারে ও ভারে অনেকটা এগিয়ে থাকা অ্যাডল্ফ হিটলারের বিমানবাহিনীকে আকাশ-যুদ্ধে হারিয়ে দেয় তারা। ফলে পরবর্তী দশকগুলিতে ইংরেজ যোদ্ধা পাইলটদের রণকৌশল নিয়ে মেতে ছিল বিশ্ব। এ বার তা বদলাতে চলেছে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।