যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ড্রোন-যুদ্ধে হাত পাকাচ্ছে ভারতীয় সেনা। সেই লক্ষ্যে ড্রোন ধ্বংসকারী তিনটি হাতিয়ারের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ফৌজ। পাশাপাশি, মানববাহিনী উড়ুক্কু যানে কৃত্রিম মেধা ব্যবহারে আইআইটির গবেষকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে বাহিনী।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৫ ১৭:১৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
২১ শতকে দ্রুত গতিতে বদলাচ্ছে রণকৌশল। বর্তমানে যে কোনও যুদ্ধে ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে দাঁড়িয়েছে ড্রোন। এ-হেন মানববিহীন উড়ুক্কু যানের আক্রমণ ঠেকাতে তৎপর ভারতীয় সেনা। এ দেশের আকাশকে সুরক্ষিত করতে ‘ড্রোন হত্যাকারী’ হাতিয়ারের সঙ্গে তাই ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে নয়াদিল্লির ফৌজ। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর বাহিনীর এ-হেন পদক্ষেপকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।
০২২০
চলতি বছরের ১৭ জুলাই নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক ‘ড্রোন ধ্বংসকারী’ হাতিয়ারের পরীক্ষা চালানোর ছবি এবং খবর এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে ভারতীয় সেনার দক্ষিণী কমান্ড। সেখানে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল সেনাছাউনিতে মানববিহীন উড়ুক্কু যানকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করতে তিনটি হাতিয়ারের ক্ষমতা পরখ করেছে ফৌজের ‘২১ কোর’। ড্রোন প্রতিরক্ষায় জড়িত বাহিনীর এই বিভাগটি ‘সুদর্শন চক্র’ নামে বেশি পরিচিত।
০৩২০
ভারতীয় সেনা ‘ড্রোন ধ্বংসকারী’ যে তিনটি হাতিয়ারের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে সেগুলির নাম অগ্নি, অম্বর এবং অজিত। এগুলি এক দিকে যেমন মানববিহীন উড়ুক্কু যানকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করতে সক্ষম, অন্য দিকে তেমন ‘ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার’-এ বেশ পটু। ফৌজের পরিভাষায় যা হার্ড এবং সফ্ট কিল। দ্বিতীয়টিতে অবশ্য ড্রোনের সে ভাবে কোনও ক্ষতি হবে না। শুধু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুরোপুরি অকেজো হয়ে যাবে শত্রুর পাঠানো উড়ুক্কু যান।
০৪২০
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, অগ্নি, অম্বর এবং অজিত— সেনার তৈরি ‘ড্রোন ধ্বংসকারী’ তিনটি হাতিয়ারই মানববহনকারী বা ম্যান পোর্টেবল। ওজনে হালকা হওয়ার কারণে একজন সৈনিক কাঁধে করে অনায়াসেই এগুলিকে নিয়ে যে কোনও জায়গায় যেতে পারবেন। পাশাপাশি একক ভাবে সংশ্লিষ্ট হাতিয়ারগুলি ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। ফলে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে এর সাহায্যে শত্রুর ড্রোন উড়িয়ে দেওয়া এ দেশের বাহিনীর পক্ষে একেবারেই কঠিন হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
০৫২০
সেনার তৈরি ‘ড্রোন কিলার’ তিনটি অস্ত্রের আলাদা আলাদা সক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে অগ্নির পাল্লা সবচেয়ে কম। শত্রুর পাঠানো স্বল্প পাল্লার ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে এর নকশা। মানববিহীন উড়ুক্কু যানকে মাঝ-আকাশে উড়িয়ে দিতে লেজ়ার বা ওই জাতীয় কোনও ‘ডিরেক্ট এনার্জি’ ব্যবহার করে অগ্নি। আর সফ্ট কিলের জন্য এতে আছে অত্যাধুনিক জ্যামার। কৌশলগত লড়াইয়ে অস্ত্রটি ‘খেলা ঘোরাবে’ বলে আশাবাদী দেশের তাবড় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।
০৬২০
সাবেক সেনাকর্তাদের দাবি, সীমান্ত ছাড়াও আগামী দিনে শহুরে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে অগ্নি। অম্বরের নকশা আবার তৈরি হয়েছে মাঝারি পাল্লার ড্রোনকে ধ্বংস করার জন্য। ভারতীয় সেনায় ৩০ থেকে ৩২ জনকে নিয়ে তৈরি হয় একটি প্ল্যাটুন। একসঙ্গে শত্রুর একগুচ্ছ ড্রোনকে উড়িয়ে দিতে ওই ধরনের ছোট সেনাদলকে সংশ্লিষ্ট হাতিয়ারটি দিয়ে মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সব ধরনের জলবায়ু এবং ভৌগোলিক এলাকায় কাজ করার দক্ষতা রয়েছে অম্বরের।
০৭২০
ওজনের নিরিখে অজিত সবচেয়ে ভারী। পিঠে নেওয়া ব্যাগে ভরে নিয়ে সংশ্লিষ্ট হাতিয়ারটিকে পরিবহণ করতে পারবেন ভারতীয় সেনার যে কোনও সৈনিক। এটিও স্বল্প পাল্লার ড্রোন ধ্বংসের উপযোগী। তবে অগ্নির চেয়ে এর পাল্লা সামান্য বেশি। বিশেষ কমান্ডো বাহিনীর ঝটিকা আক্রমণের কথা মাথায় রেখে অজিতের নকশা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনার দক্ষিণী কমান্ড।
০৮২০
এর পাশাপাশি বাহিনীর হাতে থাকা ড্রোনে কৃত্রিম মেধা বা এআই প্রযুক্তির (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) ব্যাপক ব্যবহারের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। এর জন্য অফিসার এবং সৈনিকদের নিতে হচ্ছে মেশিন লার্নিং এবং ডেটা অ্যানালিস্টের প্রশিক্ষণ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, আগামী আর্থিক বছর থেকে (পড়ুন ২০২৬-’২৭) কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে ড্রোন এবং কৃত্রিম উপগ্রহের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করবে ফৌজ। সেখানে সীমান্তে শত্রু ন্যূনতম আগ্রাসন দেখাচ্ছে বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করবে এআই।
০৯২০
শুধু তা-ই নয়, এই ধরনের পরিস্থিতিতে নিজের থেকে হামলা চালানোরও সিদ্ধান্ত নিতে পারে সীমান্তে মোতায়েন ‘আত্মঘাতী’ বা ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী ড্রোন। এ ছাড়া ভুয়ো তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে এআইকে কাজে লাগাতে তৎপর হয়েছে সেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ে ভারতের বিরুদ্ধে ক্রমাগত মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পরিস্থিতি জটিল করেছিল পাকিস্তান। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তথ্য-যুদ্ধে (ইনফরমেশন ওয়ারফেয়ার) হাত পাকাতে কোমর বেঁধে লেগে পড়েছে এই দেশের ফৌজ।
১০২০
এ ছাড়া, পরবর্তী প্রজন্মের ড্রোন হাতে পেতে প়ঞ্জাবের আইআইটি রোপারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে ভারতীয় সেনার ‘সেন্টার অফ ড্রোন্স অ্যান্ড অটোনোমাস সিস্টেম্স’ বা কোড্রাস। কৃত্রিম মেধাযুক্ত ড্রোন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ লড়াইয়ের ময়দানে সেগুলিকে মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি, ‘গ্লোবাল পজ়িশনিং সিস্টেম’ বা জিপিএস বিচ্ছিন্ন দুর্গম এলাকায় নজরদারি চালাতে পারবে ওই মানববিহীন উড়ুক্কু যান, খবর সূত্রের।
১১২০
গত মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে চলা চার দিনের ‘যুদ্ধে’ ড্রোন ধ্বংসকারী হাতিয়ারের প্রয়োজনীয়তা হাড়ে হাড়ে টের পায় ভারত। ওই সময়ে উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের অন্তত ৩২টি সেনাছাউনি লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে মানববিহীন উড়ুক্কু যান পাঠায় ইসলামাবাদ। ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ (এয়ার ডিফেন্স) ব্যবহার করে সেগুলিকে অবশ্য মাঝ-আকাশেই উড়িয়ে দেয় সেনা। এর ফলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য খবরের শিরোনামে চলে আসে দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা ডিআরডিওর (ডিফেন্স রিসার্চ ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন) উদ্যোগে ঘরের মাটিতে তৈরি ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্রের নাম।
১২২০
এ-হেন শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থাকা সত্ত্বেও সেনার তরফে অত্যাধুনিক ড্রোন ধ্বংসকারী হাতিয়ার তৈরির নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। ফৌজি অফিসারদের যুক্তি, ‘আকাশ প্রতিরক্ষা’ ব্যবস্থা ব্যবহারের খরচ অনেক বেশি। শত্রুর যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ-আকাশে উড়িয়ে দিতে এটা ব্যবহার করা যেতে পারে। যুদ্ধের সময়ে এয়ার ডিফেন্সের অবস্থান জানতে মৌমাছির ঝাঁকের মতো অত্যন্ত সস্তা দরের ছোট ছোট উড়ুক্কু যান পাঠিয়ে থাকে শত্রুপক্ষ। এগুলিকে বলা হয় ‘সোয়ার্ম’ ড্রোন। সেই ঝাঁক আটকাতে ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করলে সেনার আর্থিক লোকসান যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
১৩২০
গত ৮ এবং ৯ মে জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাতের একাধিক জায়গায় ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়ে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছিল পাক সেনা। বিশ্লেষকদের দাবি, এই ঝাঁকে ছোট-বড় মিলিয়ে বিভিন্ন আকারের মানববিহীন উড়ুক্কু যান থাকতে পারে। সর্বাধিক ১০ হাজারের বেশি ড্রোনের ঝাঁক পাঠিয়ে হামলা চালানোর নজিরও পৃথিবীতে রয়েছে। তবে সূত্রের খবর, পাক সোয়ার্ম ড্রোনের ঝাঁকে ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ মানববিহীন যান। এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, পেলোড পুনরুদ্ধার, গুপ্তচরবৃত্তি এবং ছোট আকারের বিধ্বংসী হামলার পরিকল্পনা ছিল ইসলামাবাদের।
১৪২০
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, মূলত ঝাঁক বেঁধে হামলা চালানোয় সিদ্ধহস্ত সোয়ার্ম ড্রোন পরিচালিত হয় কৃত্রিম মেধার দ্বারা। একসঙ্গে উড়লেও তাদের একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধার কোনও আশঙ্কা নেই। যে কোনও পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে এই সোয়ার্ম ড্রোন। এগুলিতে থাকে অ্যাক্সিলোমিটার, জাইরোস্কোপ, ম্যাগনেটোমিটার, ক্যামেরা এবং অত্যাধুনিক সেন্সর, যা আশপাশের এলাকা চিহ্নিতকরণ (পড়ুন নেভিগেট) এবং তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
১৫২০
সোয়ার্ম ড্রোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, ঝাঁকের মধ্যে পর পর এগুলির বেশ কয়েকটিকে ধ্বংস করলেও বাকিগুলি ঠিক কাজ করতে থাকে। ওই হামলার পর উড়ুক্কু যানগুলিকে ধ্বংস করে বিবৃতি দেয় ভারতীয় সেনা। সেখানে ফৌজ জানিয়েছিল, এই ধরনের আগ্রাসনে তুরস্কের তৈরি সোঙ্গার ড্রোন ব্যবহার করছে পাক বাহিনী। মানববিহীন যানের ধ্বংসাবশেষের ফরেন্সিক পরীক্ষায় সেই তথ্য মিলেছে বলে স্পষ্ট করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
১৬২০
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ে পাকিস্তানের ওই হামলা ঠেকিয়ে দিলেও খরচের কথা মাথায় রেখে ড্রোন ধ্বংসকারী হাতিয়ার তৈরির উপর জোর দেয় সেনার ‘সুদর্শন চক্র কোর’। মাত্র দু’মাসের মধ্যে তিনটি আলাদা আলাদা হাতিয়ার প্রকাশ্যে এনে চমক তৈরি করেছে ১৯৯০ সালে তৈরি হওয়া ফৌজের ওই বিভাগ। প্রযুক্তিগত দিক থেকে সংশ্লিষ্ট অস্ত্রগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার প্রক্রিয়া আপাতত জারি রাখছে বাহিনী।
১৭২০
ভোপাল ছাউনিতে হাতিয়ারগুলির পরীক্ষার পর এই নিয়ে বিবৃতি দেন ‘সুদর্শন চক্র কোর’-এর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রীতপাল সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘ড্রোন-যুদ্ধ মূলত প্রযুক্তির লড়াই। সেখানে কাল যা ব্যবহার করা হয়েছে, আজ সেটা পুরনো। তাই এতে পিছিয়ে পড়লে চলবে না। নতুন যুগের অস্ত্রকে আমাদের আলিঙ্গন করতে হবে। এটা কোনও বিলাসিতা নয়। কারণ, সেগুলির উপরেই নির্ভর করবে যুদ্ধের জয়-পরাজয়।’’
১৮২০
গত ১ জুন রুশ বায়ুসেনার পাঁচটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে একগুচ্ছ বোমারু বিমানকে উড়িয়ে দেয় ইউক্রেন। কিভের এই অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন স্পাইডারওয়েব’। এতে আকারে ছোট নজরদারিতে ব্যবহৃত ১১৭টি ওসা ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনীয় গুপ্তচরবাহিনী। ট্রাকে করে সেগুলিকে মস্কোর বিমানবাহিনীর ছাউনিগুলির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর পর কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে সেগুলি দিয়ে নিখুঁত নিশানায় আক্রমণ শানায় কিভ।
১৯২০
ইউক্রেনীয় ওসা ড্রোনের তাণ্ডবে হকচকিয়ে যায় রাশিয়া। বোমারু বিমানের পাশাপাশি ধ্বংস হয় মস্কোর নজরদারিতে ব্যবহৃত রেডার-যুক্ত সামরিক উড়োজাহাজও। সূত্রের খবর, ‘অপারেশন স্পাইডারওয়েব’-এ ক্রেমলিনের ৭০০ কোটি ডলারের লোকসান করতে সক্ষম হয় কিভ। যদিও এতটা লোকসানের কথা সরকারি ভাবে স্বীকার করেনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসন।
২০২০
ইউক্রেনের এই হামলা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে আরও সতর্ক হয়েছে ভারতীয় সেনা। খুব কাছ থেকে ড্রোনের মাধ্যমে আক্রমণ হলে ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ যে কাজ না-ও করতে পারে, তা বুঝতে পেরেছে ফৌজ। ঠিক যেমনটা রাশিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে বিভিন্ন ছাউনিতে উড়ুক্কু যান ধ্বংসকারী হাতিয়ার নিয়ে সৈনিক মোতায়েনের প্রয়োজন পড়বে। সেই লক্ষ্যে এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে এ দেশের বাহিনী।