
‘কালসাপ’ ইরানের মাথা থেঁতলে দিতে ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’ চালাচ্ছে ইজ়রায়েল। ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ়-৩’র নামে পাল্টা প্রত্যাঘাতের রাস্তায় নেমেছে সাবেক পারস্য দেশ। শিয়া মুলুকের ক্ষমতার ভরকেন্দ্র পাল্টে দেওয়াই কি ইহুদিদের মূল উদ্দেশ্য? ৪৬ বছর পর তেহরানে খামেনেই-রাজের পতন ঘটাতে পারবে তেল আভিভের জগদ্বিখ্যাত গুপ্তচর বাহিনী মোসাদ? এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব পেতে ইতিমধ্যেই দু’পক্ষের যুদ্ধকৌশল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছেন দুনিয়ার তাবড় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।

ইসলামীয় প্রজাতন্ত্রী ইরানের শাসনব্যবস্থার মূল নিয়ন্ত্রক শিয়া ধর্মগুরু তথা সর্বোচ্চ নেতা (পড়ুন সুপ্রিম লিডার) আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। মাসুদ পেজ়েসকিয়ান নামে প্রেসিডেন্ট হলেও চূড়ান্ত ক্ষমতা হাতে নেই তাঁর। ১৯৭৯ সালে ‘বিপ্লব’-এর পর কট্টরপন্থাকে পুরোপুরি আঁকড়ে ধরে তেহরান। সাবেক পারস্য দেশের প্রশাসনেও তার ছাপ রয়েছে। এই নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ আমজনতার একাংশ। যুদ্ধ চলাকালীন এই অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে সেখানকার ক্ষমতা বদলে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইজ়রায়েল।