Know about extra marital affair of Mumtaz and her link up with Shammi Kapoor and Rajesh Khanna dgtl
Bollywood Gossip
তারকার সঙ্গে শর্তাধীন বিয়েতে রাজি হননি, বিদেশিনির সঙ্গে স্বামীর পরকীয়ায় ‘ব্যথা’ পেয়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন নায়িকাও!
কাজের সূত্রে বাইরে কাজ করতে গিয়েছিলেন নায়িকার স্বামী। সেখানে এক বিদেশিনির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। সেই বিদেশিনির সঙ্গেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলি অভিনেত্রীর স্বামী। ভুল বুঝতে পেরে স্ত্রীর কাছে তা পরে স্বীকারও করেছিলেন তিনি।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৫ ১০:০২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
১১ বছর বয়স থেকে অভিনয় করেন। ষাটের দশকের শেষ দিক থেকে সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বলিউডের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী নায়িকাদের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন মুমতাজ়। কপূর পরিবারের ছেলের সঙ্গে প্রেম করেছিলেন বটে, তবে তাঁকে বিয়ে করতে চাননি। অন্য দিকে, স্বামীর পরকীয়ার খবর জানতে পেরে শোধ তুলতে আর মনের ব্যথা ভুলতে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন নায়িকাও।
০২১৮
১৯৬৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে ‘ব্রহ্মচারী’ ছবিটি মুক্তি পেলে মুমতাজ়কে নিয়ে দর্শকমহলে প্রশংসার ফোয়ারা ছুটতে শুরু করে। অভিনয়ের পাশাপাশি মুমতাজ়ের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে। বলিপাড়ার অনেকেই বলাবলি করতে থাকেন যে, সহ-অভিনেতার সঙ্গেই নাকি প্রেম করছেন মুমতাজ়।
০৩১৮
‘ব্রহ্মচারী’ ছবিতে মুমতাজ়ের সঙ্গে শম্মী কপূরের জুটি দর্শকের মনে ধরেছিল। ক্যামেরার আড়ালেও যে দুই তারকার সম্পর্কের রসায়ন বেশ গাঢ় ছিল তা নিয়ে বলিপাড়ায় আলোচনা হতে শুরু করে। শম্মী এবং মুমতাজ় সম্পর্কে রয়েছেন, এমন গুঞ্জন শোনা যেতে থাকে চারদিকে।
০৪১৮
শম্মী নাকি মুমতাজ়ের প্রেমে এতই ডুবে গিয়েছিলেন যে, যত দ্রুত সম্ভব তিনি নায়িকার গলায় মালা পরাতে চেয়েছিলেন। বিয়ের জন্য ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন শম্মী। মুমতাজ়কে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন অভিনেতা।
০৫১৮
বলিপাড়ার জনশ্রুতি, শম্মীকে ভালবাসলেও মনের মানুষকে বিয়ে করতে চাননি মুমতাজ়। ১৯৫৫ সালে বলি অভিনেত্রীকে গীতা বালিকে বিয়ে করেছিলেন শম্মী। বিয়ের ১০ বছর পর অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছিলেন গীতা। স্ত্রীবিয়োগের পর একাই থাকতেন শম্মী।
০৬১৮
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, মুমতাজ়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর আবার সংসার করার স্বপ্ন দেখেছিলেন শম্মী। মুমতাজ়ের সঙ্গে শম্মীর বয়সের পার্থক্য ছিল ১৬ বছরের। শম্মী যখন মুমতাজ়কে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তখন মুমতাজ়ের বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর।
০৭১৮
কিশোরী নায়িকা তখন কেরিয়ার ছেড়ে সংসারে ডুবে যেতে চাননি। শম্মী নাকি শর্ত রেখেছিলেন, বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দিতে হবে মুমতাজ়কে। তাই শম্মীকে ভালবাসলেও তাঁর বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মুমতাজ়। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আরও জনপ্রিয় হতে চেয়েছিলেন তিনি।
০৮১৮
মুমতাজ় বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর আর অপেক্ষা করেননি শম্মী। ১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি গোহিল বংশের রাজকুমারীকে বিয়ে করেছিলেন। কয়েক বছর পর মুমতাজ়ও সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন।
০৯১৮
শম্মীর বিয়ের প্রায় পাঁচ বছর পর ১৯৭৪ সালে বিয়ে করেছিলেন মুমতাজ়। তাঁর স্বামী ময়ূর মাধবানি অবশ্য অভিনয়জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি ছিলেন উগান্ডার শিল্পপতি।
১০১৮
এক সাক্ষাৎকারে মুমতাজ় জানিয়েছিলেন, বিয়ের পর সন্তান গর্ভে ধারণ করলেও সন্তানের মুখ দেখতে পারেননি তিনি। তিন থেকে চার বার গর্ভপাত হয়েছিল অভিনেত্রীর। নায়িকা বলেছিলেন, ‘‘আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। একটা সময় ছিল, যখন আমি সারা দিন বিছানায় শুয়ে থাকতাম। শুধুমাত্র শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য বিছানা থেকে উঠতাম। আবার এসে শুয়ে পড়তাম। সকালে ইঞ্জেকশন নিতে হত। বিকেলে একগাদা ওষুধ খেতে হত আমায়।’’
১১১৮
বহু চেষ্টার পর দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন মুমতাজ়। সন্তানসুখ পেলেও তাঁর সংসারে সুখ চিরস্থায়ী ছিল না। মুমতাজ়ের স্বামী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সে কথা নায়িকার কাছে স্বীকারও করেছিলেন ময়ূর।
১২১৮
কাজের সূত্রে বাইরে গিয়েছিলেন ময়ূর। সেখানে এক বিদেশিনির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। তাঁর সঙ্গেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মুমতাজ়ের স্বামী। ভুল বুঝতে পেরে স্ত্রীর কাছে তা পরে স্বীকারও করেছিলেন তিনি।
১৩১৮
ময়ূরকে ক্ষমা করে দিলেও মনে মনে যন্ত্রণায় পুড়ে যেতেন মুমতাজ়। তাই সেই ব্যথায় মলম লাগাতে এবং খানিকটা শোধ তুলতে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন নায়িকা।
১৪১৮
এক সাক্ষাৎকারে মুমতাজ় বলেছিলেন, ‘‘জীবনে চারদিকে যখন কাঁটার বাগান তৈরি হয়ে যায়, তখন যে কেউ একটি গোলাপ এগিয়ে দিলেও বড় সুন্দর মনে হয়। আমিও সেই স্রোতে ভেসে গিয়েছিলাম।’’
১৫১৮
মুমতাজ়ের কথায়, ‘‘ময়ূরের ব্যাপারে জানার পর আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। একা হয়ে পড়েছিলাম আমি। তখন আমি দেশে ফিরে আসি। একটা সম্পর্কে জড়াই। কিন্তু তা খুব গুরুতর কিছু ছিল না। অল্প সময়ের জন্য এসেছিল। আবার কেটেও গিয়েছিল।’’
১৬১৮
মুমতাজ়ের সঙ্গে বলি অভিনেতা রাজেশ খন্নার নামও জড়িয়ে পড়েছিল। মুমতাজ়ের সঙ্গে শুটিংয়ের সময় রাজেশ এমন ব্যবহার করতেন যে, তাঁদের দেখে প্রেমিক-প্রেমিকা মনে হত। এমনটাই বলিপাড়ার একাংশের দাবি।
১৭১৮
রাজেশের সঙ্গে আদৌ প্রেম ছিল কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন করায় মুমতাজ় জানিয়েছিলেন, সবটাই রটনা। রাজেশ তাঁর খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। এমনকি, রাজেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকাকালীন অভিনেতার প্রেমিকার সঙ্গেও নাকি ভাল সম্পর্ক ছিল মুমতাজ়ের।
১৮১৮
মুমতাজ়ের কথায়, ‘‘রাজেশ তখন বলি অভিনেত্রী অঞ্জু মাহেন্দ্রুর সঙ্গে প্রেম করত। অঞ্জু খুব ভাল মেয়ে ছিল। রাজেশের যত্ন নিত।’’ তবে রাজেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছাড়া আর কিছুই ছিল না, তা-ও বার বার স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন নায়িকা।