Know about Kannada actress who is accused of gold smuggling case to Dubai dgtl
Ranya Rao
আইপিএস আধিকারিকের সৎকন্যা, বিয়ের পরেই বিচ্ছিন্না, সোনা পাচারের মামলায় আটক নায়িকার রয়েছে বহু ‘গুণ’
বেঙ্গালুরুতে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে সেখানকার এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন রান্যা। ছোট থেকেই অভিনয়ে আগ্রহ ছিল তাঁর। মাঝেমধ্যে মঞ্চে নাটকও করেছেন তিনি। তাই কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পর রান্যা সোজা চলে গিয়েছিলেন মুম্বই।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫ ০৮:৫৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২৬
এক দশকের কেরিয়ারে মাত্র তিনটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। সোনা পাচারের অভিযোগে চলতি বছরের মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাওকে। সম্প্রতি সেই নায়িকাকে এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। এমনকি, এই এক বছর জেলবন্দি থাকার সময় জামিনের জন্য আবেদনও করতে পারবেন না অভিযুক্ত। আদালতের তরফে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
০২২৬
১৯৯১ সালের মে মাসে কর্নাটকে চিকমাগালুর জেলায় জন্ম রান্যার। যদিও তাঁর আসল নাম ছিল হর্ষবর্ধিনী রান্যা। পেশাগত কারণে নাম পরিবর্তন করেন তিনি। রান্যার সৎবাবা কে রামচন্দ্র রাও পেশায় আইপিএস আধিকারিক। কর্নাটক রাজ্য পুলিশের আবাসন এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসাবে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কর্নাটকের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ডিজিপি)।
০৩২৬
বেঙ্গালুরুতে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে সেখানকার এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন রান্যা। ছোট থেকেই অভিনয়ে আগ্রহ ছিল তাঁর। মাঝেমধ্যে মঞ্চে নাটকও করেছেন। তাই কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পর রান্যা সোজা চলে গিয়েছিলেন মুম্বই।
০৪২৬
অভিনয় শিখবেন বলে মুম্বইয়ের এক নামী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হন রান্যা। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে অভিনয় করতে শুরু করেন তিনি। ২০১৪ সালে ‘মাণিক্য’ নামের কন্নড় ভাষার একটি ছবির হাত ধরে বড় পর্দায় কেরিয়ার শুরু করেন রান্যা। যদিও সেই ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় রান্যাকে।
০৫২৬
এক বছর পর ভাগ্যের চাকা ঘোরে রান্যার। ২০১৫ সালের জুন মাসে ‘ওয়াঘা’ নামের তামিল ভাষার একটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পান তিনি। ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সেই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে।
০৬২৬
২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পটাকি’ নামের কন্নড় ভাষার একটি ছবিতে সাংবাদিকের চরিত্র বড় পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন রান্যা। তার পর আর কোনও ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায়নি তাঁকে। আট বছর ধরে অভিনয়জগতের আড়ালে ছিলেন তিনি।
০৭২৬
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে করেন রান্যা। তাঁর স্বামী যদিও ফিল্মজগতের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর স্বামীর নাম যতীন হুক্কেরি। ব্রিটেনের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক তিনি। চলতি বছরের ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৪ কেজি ৮০০ গ্রাম সোনা-সহ গ্রেফতার হন রান্যা। যার আন্তর্জাতিক বাজারদর প্রায় ১৩ কোটি টাকা। তার পর থেকে চর্চায় রয়েছেন দক্ষিণী ফিল্মজগতের নায়িকা।
০৮২৬
ডাইরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) সূত্রে খবর, সোনা পাচারের জন্য বেশ কয়েকটি কৌশল ব্যবহার করতেন রান্যা। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অভিনেত্রী ভাল ভাবে জানতেন যে, শরীরের এমন একটি অংশে সোনা রাখতে হবে যা সহজে ধরা পড়বে না। তা ছাড়া মহিলা হওয়ার কারণে তাঁর পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরীক্ষাও করা হবে না। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি।
০৯২৬
তদন্তে জানা গিয়েছে, ঊরুতে টেপ এবং ক্রেপ ব্যান্ডেজ দিয়ে সোনার বিস্কুটগুলিকে বেঁধে নিতেন রান্যা। গত ৩ মার্চও সেই কৌশল কাজে লাগিয়ে সোনা পাচার করছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সোনা পাচারের জন্য রান্যা বিশেষ ভাবে পোশাক তৈরি করাতেন। এমন বেশ কয়েকটি জ্যাকেট বানিয়েছিলেন তিনি, যেগুলিতে সহজেই নজর এড়িয়ে সোনা পাচার করা যায়। এমনকি বিশেষ ধরনের ‘রিস্ট বেল্ট’ পরতেন তিনি।
১০২৬
তদন্তকারীদের এক সূত্রের দাবি, রান্যাকে পাচারে সাহায্য করার জন্য বিমানবন্দরেরই কিছু কর্মীর যোগসাজশ থাকতে পারে। প্রাথমিক ভাবে বিমানবন্দরের এক নিরাপত্তারক্ষী কনস্টেবল বাসবরাজুর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। তবে তদন্তকারীদের সন্দেহ, শুধু বাসবরাজ নয়, এ কাজে আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছেন। বাসবরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১১২৬
এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল বাসবরাজ জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন সোনা পাচারে সহযোগিতা করার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছিলেন যে, রান্যাকে বিমানবন্দর থেকে নিরাপদে বার করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তিনি নির্দেশমতো বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তার পর বিমানবন্দরের ভিতর থেকে রান্যা তাঁকে ফোন করেছিলেন। তাঁকে নিরাপদে বার করেও দিয়েছিলেন তিনি। এর বেশি আর কিছু জানতেন না বাসবরাজ।
১২২৬
পরে সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডিও সোনা পাচারের তদন্তে নেমে পড়ে। অভিনেত্রীকে জেরা করে জানা যায় যে, সোনা পাচারের জন্য নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক পেতেন তিনি। প্রতি কেজি সোনার জন্য ছিল এক লক্ষ টাকার বাঁধা পারিশ্রমিক। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র দুবাইয়েই ২৭ বার গিয়েছিলেন রান্যা।
১৩২৬
শুধু দুবাই নয়। ইউরোপ, আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার বহু দেশে ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে রান্যার। তদন্তকারীদের দাবি, অভিনেত্রীর পাসপোর্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, রান্যা ৪৫টিরও বেশি দেশে গিয়েছেন। জাতীয় পর্যায়ে সোনা চোরাচালানের কোনও চক্র সক্রিয় রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, ২০২৩ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ১২ একর জমি দিয়েছিল ‘ক্ষীরোদা প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক সংস্থাকে। এই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর রান্যা।
১৪২৬
কর্নাটক শিল্পাঞ্চল উন্নয়ন নিগম (কর্নাটক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়াজ় ডেভলপমেন্ট বোর্ড)-এর দেওয়া ওই জমিতে ১৩৮ কোটি টাকা খরচ করে ইস্পাত কারখানা তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয় রান্যার সংস্থা। বিজেপির অভিযোগ, সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল অভিনেত্রীর। আরও অভিযোগ, সোনা পাচারকাণ্ডে ধরা পড়ার পরেও রাম্যা ওই দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, যাতে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১৫২৬
রাজ্য বিজেপির প্রধান বিওয়াই বিজয়েন্দ্রের কথায়, ‘‘স্পষ্টতই নিয়ম ভেঙেছেন রান্যা। আর এর নেপথ্যে সরকারেরও মদত ছিল। সরকার পক্ষের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রত্যক্ষ সমর্থন ছাড়া এই বিপুল পরিমাণ সোনা পাচার করা কার্যত অসম্ভব।’’ এই ঘটনায় অভিনেত্রীর এক বন্ধুকেও গ্রেফতার করেছে ডিআরআই। ধৃতের নাম তরুণ কোন্ডুরু রাজু।
১৬২৬
হোটেল এবং ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবসা রয়েছে তরুণের। বেঙ্গালুরুর এক ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান তিনি। শুধু তা-ই নয়, ২০১৮ সালে একটি তেলুগু ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। তেলুগু সিনে দুনিয়ায় বিরাট কোন্ডুরু নামে পরিচিত তরুণ।
১৭২৬
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, রান্যার মোবাইল এবং ল্যাপটপ থেকে যে তথ্য উদ্ধার হয়েছে, সেখানে এই পাচারচক্রের সঙ্গে তরুণের যোগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছে ডিআরআই। রান্যার দীর্ঘ দিনের সঙ্গী তরুণ। জেরায় তরুণ দাবি করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তাঁর এবং রান্যার অংশীদারি ব্যবসা রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রান্যা বিদেশভ্রমণের টাকা দিতেন তরুণকে।
১৮২৬
সূত্রের খবর, রান্যার সঙ্গে দুবাইয়ে ছিলেন রাজু। তদন্তকারীদের সন্দেহ, এই ব্যবসায়ীই সোনা কিনে দিয়েছিলেন রান্যাকে। ডিআরআই সূত্রে খবর, তরুণের পাশাপাশি আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই মামলায়। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বল্লারির বাসিন্দা সাহিল সাকারিয়া জৈন। কন্নড় অভিনেত্রী রান্যার ঘনিষ্ঠ তিনি। দুবাই থেকে ভারতে সোনা পাচারে রান্যাকে সাহায্য করতেন জৈন। শুধু তা-ই নয়, পাচার হওয়া সোনা বিক্রির টাকার ভাগ নিতেন বলে অভিযোগ।
১৯২৬
কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা বেঙ্গালুরুর রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরকে (ডিআরআই) জানিয়েছিলেন যে, দুবাই থেকে সোনা কিনে ভারতে আসার কোনও পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। সেখান থেকে রান্যার পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনেভায়। কিন্তু তিনি এসে পৌঁছোন ভারতে। গ্রেফতারির নথি অনুযায়ী, গত বছর ১৩ নভেম্বর এবং ২০ ডিসেম্বর দুবাই থেকে সোনা কিনে ভারতে নিয়ে এসেছিলেন রান্যা। কিন্তু কোনও বারই ভারতে আসার কথা দুবাইয়ের শুল্ক দফতরকে জানাননি।
২০২৬
রান্যার পাসপোর্ট বলছে, দু’বারই সোনা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন রান্যা। ডিআরআই-এর দাবি, দুবাইয়ের শুল্ক দফতরকে প্রায় চার কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন রান্যা। তবে অভিনেত্রী বারংবার দাবি করেছিলেন যে, তাঁকে ‘ফাঁসানো’ হচ্ছে। নায়িকার দাবি, ১ মার্চ একটি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন পেয়েছিলেন তিনি। দু’সপ্তাহ ধরে সেই অজানা নম্বর থেকে ফোন আসছিল রান্যার কাছে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এক পুরুষ তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
২১২৬
রান্যার দাবি, সেই অচেনা পুরুষকণ্ঠ তাঁকে দুবাই বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনাল গেটে যেতে বলেছিলেন। সেখান থেকে সোনা সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ ছিল রান্যার। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘এই প্রথম বার আমি দুবাই থেকে সোনা পাচার করেছিলাম।’’ কী ভাবে সোনা বিমানে করে ভারতে আনবেন, তার ছক কষতে ইউটিউবের সাহায্য নিয়েছিলেন বলেও তদন্তকারীদের জানান রান্যা।
২২২৬
অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষের উচ্চারণ অনেকটা আফ্রিকান-আমেরিকানদের মতো ছিল বলে দাবি করেছিলেন রান্যা। ওই ব্যক্তি তাঁকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে সাদা পোশাক পরা এক ‘লম্বা, সুগঠিত চেহারার ব্যক্তির’ সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই দ্বিতীয় ব্যক্তিই রান্যাকে ত্রিপলে মোড়ানো দু’টি প্যাকেট দিয়েছিলেন।
২৩২৬
তদন্ত চলাকালীন রান্যা জানিয়েছিলেন, প্যাকেট নেওয়ার পর বিমানবন্দরের শৌচাগারে ঢুকে তিনি দেখেন প্যাকেটগুলির মধ্যে রয়েছে ১২টি সোনার বার। তার পর ইউটিউবের ভিডিয়ো অনুসরণ করে আঠালো টেপ এবং টিস্যু পেপারের সাহায্যে কোমরের চারপাশে বেঁধে ফেলেছিলেন সোনার বারগুলি। আরও কিছু বার নিজের জুতোর সুখতলার নীচে এবং জিন্সের পকেটে লুকিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
২৪২৬
বয়ান অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুতে নামার পর রান্যাকে টোল গেট থেকে বেরিয়ে সার্ভিস রোডের কাছে অপেক্ষারত একটি অটোতে ওঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই সোনার বারগুলি হস্তান্তর করার কথা ছিল তাঁর। তবে তার আগেই ধরা পড়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ওই অটোর নম্বরও আগে থেকে জানানো হয়নি তাঁকে। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ না দিয়েই ডিআরআই তাঁকে হেফাজতে নিয়েছিল বলে রান্যার দাবি।
২৫২৬
গ্রেফতারির আশঙ্কায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যতীন। তাঁর আইনজীবীর দাবি, গত নভেম্বর মাসে যতীনের সঙ্গে রান্যার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু এক মাস পর তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের এখনও বিচ্ছেদ হয়নি।
২৬২৬
সোনা পাচার মামলায় অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত বিশেষ আদালত শর্তসাপেক্ষে রান্যার জামিন মঞ্জুর করেছিল। দু’লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করা হয়েছিল তাঁর। জামিনে মুক্ত থাকাকালীন দেশত্যাগ করতে পারবেন না, এই শর্তও রাখা হয়েছিল। পরে কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও-সহ তরুণ এবং সাহিলকে এক বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত।