Know about rumoured relationship between Rani Mukherji and Abhishek Bachchan dgtl
Bollywood Gossip
পুত্রের ‘প্রেমিকা’কে চুমু! বাবার কাণ্ড জানার পর বাঙালি নায়িকার সঙ্গে নাকি সম্পর্কই ভেঙে দিয়েছিলেন বচ্চন-পুত্র
বলিউডের একাংশের দাবি, জয়ার পরামর্শ মেনেই নাকি রানির সঙ্গে সম্পর্কে দাঁড়ি টেনেছিলেন অভিষেক। অভিষেক এবং রানি দু’জনে যদিও তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কোনও কথাই বলেননি। তবে তার ইঙ্গিত দিয়ে ফেলেছিলেন বলি অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৫ ১০:১৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
অভিনেত্রী বয়সে ৩৫ বছরের ছোট। এ দিকে বলিউডের ‘শাহেনশা’ বলে কথা! চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে তাই নায়িকার ঠোঁটে ঠোঁট রাখতে আপত্তি জানাননি অমিতাভ বচ্চন। কিন্তু তার প্রভাব পড়ে পুত্র অভিষেক বচ্চনের জীবনে। সেই নায়িকা যে পুত্রের প্রেমিকা! বাবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন বলে প্রেমিকার উপরেই রেগে আগুন হয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেই রাগে নাকি সম্পর্কই ভেঙে দিয়েছিলেন।
০২১৭
২০০৫ সালে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ব্ল্যাক’। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অমিতাভের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন রানি মুখোপাধ্যায়। দুই তারকাই এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু এই ছবির জন্যই রানির উপর রেগে গিয়েছিলেন অমিতাভের স্ত্রী এবং পুত্র।
০৩১৭
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে যে, রানির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অভিষেক। দুই তারকা সে বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু না জানালেও বচ্চন পরিবারের সঙ্গে রানির ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ্যে ধরা পড়ত। কিন্তু পেশার কারণেই সেই ঘনিষ্ঠতায় ছেদ পড়েছিল।
০৪১৭
২০০১ সালে ‘বস ইতনা সা খোয়াব হ্যায়’ ছবিতে একসঙ্গে প্রথম অভিনয় করেছিলেন অভিষেক এবং রানি। তার পর ‘বান্টি অউর বাবলি’, ‘কভি অলবিদা না কহেনা’, ‘যুবা’, একাধিক হিন্দি ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। বড় পর্দায় অভিষেক এবং রানির জুটি দর্শকের প্রিয় হয়ে উঠেছিল।
০৫১৭
বলিপাড়ার গুঞ্জন, ক্যামেরার আড়ালেও অভিষেকের সঙ্গে রানির সখ্য গভীর হতে থাকে। এমনকি, বচ্চন পরিবারের সঙ্গেও একাধিক বার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রানিকে দেখতে পাওয়া যায়। রানির সঙ্গে যে পেশাগত সম্পর্ক ছাড়াও ব্যক্তিগত স্তরে সম্পর্ক ছিল, তা ছবিশিকারিদের লেন্সে ধরা পড়ে বার বার।
০৬১৭
কিন্তু অভিষেক এবং রানির সম্পর্কে বাদ সেধেছিল ‘ব্ল্যাক’ ছবির একটি দৃশ্য। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে রানির ঠোঁটে ঠোঁট রাখতে হয়েছিল অমিতাভকে। এই দৃশ্য দেখেই অভিষেক রেগে গিয়েছিলেন। কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে যে, এই কারণে রানি নাকি জয়ারও চোখের বিষ হয়ে উঠেছিলেন।
০৭১৭
বলিউডের জনশ্রুতি, ‘ব্ল্যাক’ মুক্তি পাওয়ার পর রানির সঙ্গে অভিষেকের মনোমালিন্য হয়েছিল। সেই ঘটনার পর হঠাৎ করেই রানির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন অভিষেক। রানি যে পেশাগত কারণে তাঁর ‘হবু শ্বশুর’কে চুমু খেতে পারেন তা মানতে পারেননি বচ্চন-পুত্র।
০৮১৭
বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায় যে, অভিষেক এবং রানির সম্পর্কে ইতি টানার নেপথ্যে ছিলেন জয়াও। প্রথম থেকেই নাকি রানির ব্যক্তিত্ব পছন্দ ছিল না অমিতাভ-জায়ার। ‘ব্ল্যাক’ মুক্তির পর অপছন্দ করার আরও একটি কারণ পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
০৯১৭
বলিউডের একাংশের দাবি, জয়ার পরামর্শ মেনেই নাকি রানির সঙ্গে সম্পর্কে দাঁড়ি টেনেছিলেন অভিষেক। অভিষেক এবং রানি দু’জনে যদিও তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কোনও কথাই বলেননি। তবে তার ইঙ্গিত দিয়ে ফেলেছিলেন বলি অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস।
১০১৭
শুটিং চলাকালীন অভিষেকের সঙ্গে কী রকম খুনসুটি চলত সে কথাই এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন প্রিয়ঙ্কা। অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘‘অভিষেক প্রথমে আমার ফোন লুকিয়ে ফেলেছিল। আমার ফোনের উপর বসে পড়েছিল ও। আমিও সুযোগ খুঁজছিলাম। শুটিংয়ের জন্য ও বেশি ক্ষণ ভ্যানে বসে থাকতে পারত না। ও যখনই উঠল তখনই আমি অভিষেকের ফোন লুকিয়ে ফেললাম। ওর ফোন থেকে মেসেজও পাঠিয়েছিলাম এক জনকে।’’
১১১৭
প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছিলেন যে, অভিষেকের ফোন থেকে রানিকে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন তিনি। প্রিয়ঙ্কা লিখেছিলেন, ‘‘কোথায় আছ তুমি? তোমার কথা খুব মনে পড়ছে। তোমায় মিস্ করছি।’’ রানি জানতেন না যে, অভিষেকের ফোন থেকে অন্য কেউ মেসেজ পাঠিয়েছেন। অভিষেকের সঙ্গে কথা হচ্ছে ভেবে সেই মেসেজের উত্তরও দিয়েছিলেন রানি।
১২১৭
সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা বলেছিলেন, ‘‘আমি তো রানিকে মেসেজ পাঠিয়ে দিয়েছিলাম অভিষেকের ফোন থেকে। রানি আবার উত্তরও দিয়েছিল। অভিষেকের মেসেজ পড়ে ‘তোমার কি কিছু হয়েছে?’ লিখে পাঠায় রানি।’’ তার পর অবশ্য রানির সঙ্গে কথা বাড়াননি প্রিয়ঙ্কা।
১৩১৭
যে বচ্চন পরিবারের সঙ্গে এক সময় রানির এত ভাল সম্পর্ক ছিল, সেই পরিবারের শুভানুষ্ঠানে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি রানিকে। ২০০৭ সালে বলি অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনকে বিয়ে করেছিলেন অভিষেক। অথচ বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় নাম ছিল না রানির। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছিলেন অভিনেত্রী।
১৪১৭
অভিষেকের বিয়েতে রানিকে দেখা যায়নি কেন, প্রশ্ন করায় নায়িকা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আমায় কেন ডাকা হয়নি তা অভিষেক ভাল বলতে পারবে। আপনি যাকে কাছের মানুষ মনে করেন, সে যদি আপনাকে তার বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ না জানায় তা হলে খারাপ লাগে। তার জীবনে আপনি ঠিক কোন জায়গায় রয়েছেন তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়। অনেক সময় আমরা কাউকে বন্ধু ভেবে ভুল করে থাকি। আমাদের পরিচিতি শুধুমাত্র সেটের সহ-অভিনেতা হিসাবেই ছিল হয়তো। কোনও বন্ধুত্ব যে ছিল না তা স্পষ্ট হল। তবে এ সব মনে রেখে লাভ নেই। অভিষেকের সঙ্গে আমি ভাল সময় কাটিয়েছি। সব ভুলে আমাদের সকলকেই জীবনে এগিয়ে যেতে হয়।’’
১৫১৭
অভিষেকের যে বছর বিয়ে হয়েছিল, সে বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘লাগা চুনরী মে দাগ’। এই ছবিতে অভিষেক এবং রানি একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন জয়াও। কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল যে, শুটিংয়ের সময় নাকি রানিকে একঘরে করে দিয়েছিলেন জয়া।
১৬১৭
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ‘লাগা চুনরী মে দাগ’ ছবির শুটিং চলাকালীন বেশির ভাগ সময় নাকি সহ-অভিনেত্রী কঙ্কনা সেনশর্মার সঙ্গেই থাকতেন জয়া। শট না থাকলে রানি প্রায় একাই থাকতেন বলে শোনা যায়। অনেক সময় নাকি কারণে-অকারণে খোঁটা দিয়ে রানিকে কথা শোনাতেন জয়া।
১৭১৭
অভিষেকের বিয়ের সাত বছর পর বিয়ে করেন রানি। ২০১৪ সালে বলিপাড়ার জনপ্রিয় ছবিনির্মাতা আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন নায়িকা। তবে বিয়ের পর বড় পর্দায় খুব বেশি দেখা যায় না রানিকে। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে শেষ অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।