আসলে স্বপ্না না কি চাইলেই ভ্যানিশ হয়ে যেতে পারেন। পুরনো রেকর্ড বলছে, দেশে যখন পূর্ণ লকডাউন চলছে, বিমান, ট্রেন পরিষেবা বন্ধ, চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ যান চলাচলে, সর্বত্র পুলিশ গাড়ি তল্লাশি করছে, তখন বেমালুম উধাও হয়ে গিয়েছিলেন স্বপ্না। সোনা পাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে কেরল থেকে স্বপ্না পৌঁছে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে। যদিও সেটা কী ভাবে সম্ভব হয়েছিল তা আজও রহস্যে মোড়া।
১৯৮৪ সালে জন্ম স্বপ্নার। জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন আরবে। ২০১৩ সালে হঠাৎই আবু ধাবি থেকে চলে এসেছিলেন কেরলে। তারপর থেকে স্বপ্নার কেরিয়ার গ্রাফ সটান উপরে উঠেছে। চোরা সিঁড়িপথে ঢুকে পড়েছেন উচ্চমহলের অলিন্দে। প্রতি ধাপেই তাঁর বন্ধুত্ব হয়েছে কর্মক্ষেত্রের কোনও না কোনও উচ্চপদস্থের সঙ্গে। নিয়মিত বিতর্কে থেকেছেন স্বপ্না। প্রভাবশালী বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগও উঠেছে বারবার।
আরবি ভাষায় দখল থাকার জন্যই ২০১৬ সালে কেরলে আরব-আমিরশাহির দূতাবাসে চাকরি পান স্বপ্না। কেরল তখন আরবে কর্মরত কেরলের বাসিন্দাদের নানা সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এক সময়ে আরবের বাসিন্দা এবং আরবি ভাষার দক্ষ স্বপ্না সরকারকে নানাভাবে সাহায্য করেন। উপর মহলে কদর বাড়ে তাঁর। বাড়ে প্রভাব প্রতিপত্তি। এক সময়ে নিজেকে কূটনৈতিক বলে মিথ্যে পরিচয় দিতেও শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু ফৌজদারি মামলায় তাঁর নাম থাকায় দূতাবাসের চাকরিটি হারান স্বপ্না।
কিছু দিনের মধ্যে নতুন চাকরি জুটিয়েও ফেলেন। এ বার যোগ দেন কেরলের রাজ্য সরকার পরিচালিত তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে। ঘনিষ্ঠতা বা়ড়ে কেরলের তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব এবং আইএএস কর্তা এম শিবশঙ্করের সঙ্গে। পরে অবশ্য জানা গিয়েছিল, শিবশঙ্করের সঙ্গে আগে থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিলেন স্বপ্না। সরকার নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার চাকরির জন্য তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন শিবশঙ্করই।
ধোঁয়াশা রয়েছে স্বপ্নার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও। এয়ার ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে দূতাবাসের চাকরি এমনকি সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থার উচ্চপদস্থ চাকুরে না কি দ্বাদশের গণ্ডীও পেরোননি। এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বপ্নার ভাই, জানিয়েছিলেন, তাঁর দিদি স্নাতক তো দূর, দ্বাদশের শিক্ষাও সম্পূর্ণ করেননি। যদিও স্বপ্না নিজেকে স্নাতকোত্তীর্ন বলে দাবি করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy