Pakistan’s former army chief Zia ul Haq killed 25 lakh Palestinian in Jordan, known about Black September dgtl
Black September
১১ দিনে কচুকাটা ২৫ হাজার নিরীহ প্রাণ! প্যালেস্টাইনি গণহত্যার রক্ত হাতে মেখে আরব মরুতে সাধু সাজছে পাকিস্তান
‘ইসলামীয় ভ্রাতৃত্ববোধ’-এর কথা বলে সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে ফেলেছে পাকিস্তান। অথচ আরবভূমিতে গণহত্যার রক্ত লেগে আছে ইসলামাবাদের ‘ভাড়াটে’ ফৌজের হাতে।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:১৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
মাত্র ১১ দিনে কচুকাটা ২৫ হাজার মানুষ! নিরীহ প্যালেস্টাইনিদের রক্ত হাতে মেখে পশ্চিম এশিয়ায় ফের এক বার ‘ইসলামীয় ভ্রাতৃত্ববোধ’-এর (ইসলামিক ব্রাদারহুড) জিগির তুলল পাকিস্তান। শুধু তা-ই নয়, সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তিও সেরে ফেলেছে ইসলামাবাদ। রিয়াধের জন্য কি বুমেরাং হতে চলেছে এই সমঝোতা? আরব দুনিয়ায় ৫৫ বছর আগের সাবেক পাক সেনাপ্রধানের ঘটানো গণহত্যার স্মৃতি ফেরাবেন বর্তমান রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলেরা? বন্ধুত্ব আর বিশ্বাসের আড়ালে উঁকি দিচ্ছে সেই প্রশ্ন।
০২২০
সালটা ১৯৭০, তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর। জর্ডনের রাজশাহিকে উৎখাত করে ক্ষমতাদখলে তৎপর হয় শরণার্থী প্যালেস্টাইনিদের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রমাদ গোনেন আরবের বাদশা। তড়িঘড়ি পাক সেনাকর্তা জ়িয়া উল হককে তলব করেন তিনি। তাঁর কাঁধেই বিদ্রোহ দমনের দায়িত্ব দেন জর্ডনের রাজা। সেই হুকুম তামিল করতে গিয়ে প্যালেস্টাইনিদের লাশের পাহাড় গড়ে তোলেন জ়িয়া। ইতিহাসে এই ঘটনা ‘কালো সেপ্টেম্বর’ (ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর) হিসাবে পরিচিত। এর পর কুখ্যাত জ়িয়া পেয়ে যান ‘প্যালেস্টাইনি হত্যাকারী’র তকমা।
০৩২০
১৯৬৭ সালের বিখ্যাত ছ’দিনের যুদ্ধ থেকে সমস্যার সূত্রপাত। সে বার চক্রব্যূহে ঘিরে ধরে অতর্কিতে ইজ়রায়েলকে আক্রমণ করে তিনটি আরব দেশ। ইহুদিবিরোধী সেই জোটে মিশর ও সিরিয়ার সঙ্গে ছিল জর্ডনও। কিন্তু মাত্র ছ’দিনের মধ্যেই সব বাজি পাল্টে দেয় তেল আভিভ। যুদ্ধে আরবদের যৌথ বাহিনীকে শুধুমাত্র পর্যুদস্ত করাই নয়, শত্রুপক্ষের বিপুল জমিও কব্জা করে ফেলে ইজ়রায়েল। ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এবং পূর্ব জেরুজ়ালেম হাতছাড়া হয় জর্ডনের। ছত্রভঙ্গ দশা হয় তাদের সেনাবাহিনীর।
০৪২০
’৬৭ সালের ৫ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত চলেছিল ছ’দিনের যুদ্ধ। লড়াই থামতে না থামতেই জর্ডন নদী পেরিয়ে প্রায় তিন লক্ষ প্যালেস্টাইনি আশ্রয় নেন আরব দেশটির রাজধানী আম্মানে। এ ছাড়া আশপাশের আরও কয়েকটি জায়গায় শরণার্থী শিবির তৈরি করেন তাঁরা। জর্ডনের রাজা হুসেন বিন-তালালের তখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা! এক দিকে যুদ্ধে হেরে যাওয়ার যন্ত্রণা। অন্য দিকে দেশের অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়েছে বলা চলে। তার মধ্যে প্যালেস্টাইনি শরণার্থী সমস্যা তাঁর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল।
০৫২০
ঠিক ওই সময়েই প্রতিবেশী দেশ ইরাকে উত্থান হয় বাথ পার্টির, যার অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন সাদ্দাম হুসেন। পরবর্তী কালে বাগদাদের ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হন তিনি। ছ’দিনের যুদ্ধ শেষে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে জর্ডনের কুর্সিবদলের নীলনকশা ছকে ফেলেন সাদ্দাম ও তাঁর সঙ্গীরা। আম্মানের প্যালেস্টাইনি শরণার্থীদের এর জন্য ক্রমাগত উস্কানি দিতে থাকেন তাঁরা। সাদ্দামের বাথ পার্টির পাশাপাশি এ ব্যাপারে তৎকালীন সিরিয়ার শাসকদের হাতযশও নেহাত কম ছিল না।
০৬২০
‘কালো সেপ্টেম্বর’-এর নৃশংস গণহত্যার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে নাইজ়েল জে অ্যাশটনের লেখা ‘কিং হুসেন অফ জর্ডন: আ পলিটিক্যাল লাইফ’ বইয়ে। ১৯৬৪ সালে পশ্চিম এশিয়ায় প্যালেস্টাইনি রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়ে তৈরি হয় একটি জাতীয়তাবাদী জোট সংগঠন, নাম ‘প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজ়েশন’ বা পিএলও। গত শতাব্দীর ’৭০-এর দশকে এর চেয়ারম্যান ছিলেন ইয়াসের আরাফাত। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে সীমাবদ্ধ ছিল পিএলওর যাবতীয় কর্মকাণ্ড।
০৭২০
অ্যাশটনের দাবি, ছ’দিনের যুদ্ধের পর ওই এলাকা ইজ়রায়েলের দখলে যেতেই আরাফাতের সঙ্গে গোপনে দেখা করেন বাথ পার্টির কয়েক জন সদস্য। ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক হারানোর জন্য পুরোপুরি ভাবে জর্ডনকে দায়ী করেন তাঁরা। সাদ্দামের দলের সদস্যদের কথায় শেষ পর্যন্ত প্রভাবিত হন আরাফাত। ঠিক হয় আম্মানের কুর্সি থেকে রাজা হুসেনকে তাড়িয়ে ছাড়বেন তাঁরা। সেই লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করে দু’টি উগ্রপন্থী সংগঠন, নাম পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) এবং ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন।
০৮২০
ওই সময় পর্দার আড়ালে থেকে এই দুই সংগঠনকে মদত জুগিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে পিএলও-র বিরুদ্ধে। অন্য দিকে সব হারানো জর্ডনের শরণার্থীদের মধ্যে পিএফএলপির প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। রাজাকে হত্যা করতে বেশ কয়েক বার হামলাও চালায় তারা। কিন্তু, প্রতি বারই প্রাণে বেঁচে যান হুসেন। যদিও দেশের ভিতরে যে বিদ্রোহ দানা বেঁধে উঠছে, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি তাঁর। অ্যাশটন লিখেছেন, ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের মতো আম্মানকে বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দুতে বদলে ফেলার পরিকল্পনা ছিল শরণার্থী প্যালেস্টাইনিদের।
০৯২০
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি’ বা সিআইএ-র প্রাক্তন পদস্থ কর্তা ব্রুস রিডেল জানিয়েছেন, ১৯৭০ আসতে আসতে প্যালেস্টাইনি ফিদায়েঁ যোদ্ধারা জর্ডনের ভিতরে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র তৈরি করে ফেলে। রাজধানী আম্মানের বড় অংশ চলে যায় তাদের নিয়ন্ত্রণে। অন্য দিকে ওই সময় পূর্ব জর্ডনের একটি বিরাট অংশ দখল করে নিয়েছিল ইরাকি সেনাবাহিনী। আরব দেশটির মধ্যেও বাগদাদের কমপক্ষে ২০ হাজার সৈন্য এবং দু’শোর বেশি ট্যাঙ্ক মোতায়েন ছিল। ইরাকি বিমানবাহিনীও ছিল আম্মানের চেয়ে অনেক উন্নত।
১০২০
প্যালেস্টাইনপন্থী পপুলার ফ্রন্ট আবার তত দিনে ১৫ থেকে ২০ হাজারের মতো ফিদায়েঁ যোদ্ধা তৈরি করে ফেলেছে। জর্ডনের রাজার হাতে ছিল ৬৫ হাজারের একটি বাহিনী। কিন্তু, তাঁদের একাংশের আনুগত্য হুসেনের পরিবর্তে প্যালেস্টাইনিদের দিকে ঝুঁকে থাকায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। সাদ্দামের মতো ইরাকি নেতারা চেয়েছিলেন, প্যালেস্টাইনিদের বিদ্রোহে জর্ডন রাজবংশের পতন হোক। সেই ডামাডোলকে কাজে লাগিয়ে আম্মান দখল সহজ হবে বলে মনে করেছিলেন তাঁরা।
১১২০
১৯৭০ সালের ৩ জুন থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। ওই তারিখে ইজ়রায়েলি শহর লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায় প্যালেস্টাইনি ফিদায়েঁ যোদ্ধারা। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা বিমান হানায় জর্ডনের ইরবিদ শহর একরকম গুঁড়িয়ে দেয় ইহুদি বায়ুসেনা। এতে শরণার্থী প্যালেস্টাইনিদের ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। বাদশা হুসেনের যে তেল আভিভকে ঠেকানোর কোনও ক্ষমতা নেই, তা বুঝে যান তাঁরা। ৯ জুন এবং ১ সেপ্টেম্বর জর্ডনের রাজাকে খুন করার চেষ্টা করে প্যালেস্টাইনপন্থী উগ্রপন্থীরা। দু’বারই অবশ্য ব্যর্থ হয় তারা।
১২২০
এই পরিস্থিতিতে ৭ সেপ্টেম্বর আচমকাই তিনটি বিমান ছিনতাই করে বসে পিএলএফপির ফিদায়েঁ যোদ্ধারা। এর মধ্যে ছিল জর্ডনের আজ়রাকে অবতরণ করা সুইস এয়ারলাইন্স এবং ট্রান্স-ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন্সের দু’টি উড়োজাহাজ। তৃতীয়টি হল মিশরের রাজধানী কায়রোগামী প্যান আমেরিকান একটি বিমান। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মারাত্মক চাপের মুখে পড়ে আম্মান। ফলে কালবিলম্ব না করে সামরিক আইন (মার্শাল ল’) জারি করেন রাজা হুসেন। এর পরই ডাক পড়ে পাক সেনা অফিসার জ়িয়ার।
১৩২০
১৯৬৭ সাল থেকে তিন বছরের জন্য জর্ডনে ছিলেন জ়িয়া। ওই সময় তিনি পাক সেনায় ব্রিগেডিয়ার পদে ছিলেন। মূলত, আম্মানের বাহিনীকে অত্যাধুনিক রণকৌশলের প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। জর্ডনের রাজা হুসেনের তলব পেয়ে তৎক্ষণাৎ তাঁর সামনে হাজির হন জ়িয়া। তত ক্ষণে অবশ্য ছিনতাই হওয়া বিমানগুলি থেকে পণবন্দিদের মুক্তি দিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে প্যালেস্টাইনি ফিদায়েঁরা, যার পুরোটাই সম্প্রচার করা হয়েছে গণমাধ্যমে। পাশাপাশি ইরবিদ শহর কব্জা করেছে তারা।
১৪২০
সাবেক সিআইএ কর্তা রিডেলের কথায়, এর পর জর্ডনের রাজার নির্দেশ পেয়ে প্যালেস্টাইনি হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়েন জ়িয়া। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয় সর্বাত্মক যুদ্ধ। প্যালেস্টাইনিদের কোণঠাসা করতে আম্মানের ট্যাঙ্কবাহিনীকে কাজে লাগান তিনি। ১৮ সেপ্টেম্বর সিরিয়ার ট্যাঙ্কের একটি ছোট দলের সাহায্য পায় প্যালেস্টাইনি যোদ্ধারা। তাতেও লাভ তেমন কিছু হয়নি। ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ইরবিদ পুনর্দখল করে ফেলে জর্ডনের সেনা।
১৫২০
পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জর্ডনের এই গৃহযুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন জ়িয়া। বিদ্রোহীদের শিক্ষা দিতে নিরীহ প্যালেস্টাইনি শিবিরগুলি লক্ষ্য করে কামান থেকে গোলাবর্ষণের নির্দেশ দিতে গলা কাঁপেনি তাঁর। ফলে ফিদায়েঁ যোদ্ধাদের তুলনায় বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। তবে গোটা ঘটনায় আগাগোড়া রাজা হুসেনের পাশে ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ ‘বন্ধু’ তথা মিশরীয় প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসের। তাঁর উদ্যোগেই ২৬ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয় দু’পক্ষ।
১৬২০
জর্ডনের সরকারের দাবি, ‘কালো সেপ্টেম্বর’-এর সামরিক অভিযানে মাত্র ১১ দিনের মধ্যে চার হাজার প্যালেস্টাইনি যোদ্ধা এবং ৬০০ সিরিয়ান সৈনিকের মৃত্যু হয়েছিল। অন্য দিকে আম্মান হারায় তাদের বাহিনীর ৫৩৭ জন সদস্য। সংঘর্ষ শেষে বেসরকারি হতাহতের সংখ্যা অবশ্য প্রকাশ্যে আনেনি রাজা হুসেনের প্রশাসন। ফলে সেখানে মৃতের সংখ্যা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে সেটা ২০ থেকে ২৫ হাজারের মধ্যে বলে দাবি করে অধিকাংশ পশ্চিমি গণমাধ্যম।
১৭২০
জর্ডনের গৃহযুদ্ধের পর পাকিস্তানে ফেরেন জ়িয়া। মাত্র ছ’বছরের মাথায় তাঁকে সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদে বসান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তথা ‘পাকিস্তান পিপল্স পার্টি’র (পিপিপি) প্রতিষ্ঠাতা জ়ুলফিকার আলি ভুট্টো। জেনারেল হতেই তাঁর আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ে। ১৯৭৭ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন তিনি, যার নাম ছিল ‘অপারেশন ফেয়ার প্লে’। এর পর ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধান এবং প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেশের যাবতীয় ক্ষমতা নিজের হাতে কুক্ষিগত রাখতে সক্ষম হন জ়িয়া।
১৮২০
বিশ্লেষকদের দাবি, জ়িয়ার সময় থেকেই অন্য কোনও রাষ্ট্রের হয়ে ‘ভাড়াটে বাহিনী’ হিসাবে কাজ করা শুরু করে পাক ফৌজ। পাশাপাশি দেশের ভিতরে সন্ত্রাসবাদকে ছড়িয়ে দেন তিনি। ১৯৭৯ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান দখল করলে তৎপর হয় আমেরিকা। হিন্দুকুশের কোলের দেশটি থেকে রুশ সৈনিকদের হটাতে গৃহযুদ্ধে মদত দেয় মার্কিন গুপ্তচরবাহিনী সিআইএ। তাঁদের ‘অপারেশন সাইক্লোন’-এ যোগ দিয়ে নিরীহ আফগানদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার কাজটিও করেন জ়িয়া।
১৯২০
‘প্যালেস্টাইনি হত্যাকারী’র তকমা পাওয়া সাবেক পাক সেনাপ্রধানের দেখানো রাস্তায় পরবর্তী কালে চলা শুরু করেন তাঁর উত্তরসূরিরাও। উদাহরণ হিসাবে রাহিল শরিফের কথা বলা যেতে পারে। ২০১৬ সালে পাক সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসর নেন জেনারেল রাহিল। এর ঠিক পরের বছরই সৌদি আরবের সন্ত্রাসদমন শাখা ‘ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেররিজ়ম’-এর কমান্ডার হিসাবে নতুন কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।
২০২০
গত কয়েক বছরে ইয়েমেনে বিদ্রোহ দমনের নামে কয়েক হাজার নিরীহ নাগরিককে হত্যার অভিযোগ ওঠে রিয়াধের বিরুদ্ধে। এর নেপথ্যে সাবেক পাক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিলের হাত রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে তথ্য বলছে সৌদির সন্ত্রাসদমন শাখায় তিনি চাকরি পাওয়ার পর থেকে, ইয়েমেনে বোমাবর্ষণ বাড়িয়েছে সেখানকার বিমানবাহিনী। ফলে সদ্য হওয়া প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ইসলামাবাদকে একই ভাবে রিয়াধের রাজপরিবার ব্যবহার করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।