Step inside Juhi Chawla’s husband Jay Mehta’s ancestral home in Porbandar dgtl
Bollywood Gossip
আফ্রিকা থেকে আসে আসবাব, ছ’টি অভিনব বেডরুম স্যুট! তাক লাগাবে বলি নায়িকার ব্যবসায়ী স্বামীর নজরকাড়া বাংলো
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ১৯২০ সাল নাগাদ জয়ের ঠাকুরদা নানজি কালিদাস মেহতা গুজরাতের পোরবন্দরে একটি বাংলো তৈরি করেছিলেন। ছোটবেলার বেশ কিছুটা সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে সেখানেই থাকতেন জয়।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৪১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২৩
বলিউডের অভিনেত্রীদের তালিকায় সম্পত্তির দিক থেকে যাঁর নাম প্রথম সারিতে রয়েছে, তিনি হলেন জুহি চাওলা। সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে কোটি কোটি টাকার গাড়ি থেকে মুম্বইয়ের বিলাসবহুল বাড়ি। সেই তালিকায় রয়েছে জুহির স্বামীর পৈতৃক বাড়িও। ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো সেই বাংলোর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে পারিবারিক ইতিহাস।
০২২৩
১৯৮৪ সালে সর্বভারতীয় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন জুহি। তার দু’বছরের মাথায় বলিপাড়ায় পা রাখেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে কেরিয়ারের শীর্ষে পৌঁছে যান জুহি। সেই সময় বিয়েও সেরে ফেলেন। তবে, নায়িকা বিয়ে সেরেছিলেন খানিকটা চুপিসারেই।
০৩২৩
১৯৯৫ সালে জয় মেহতাকে বিয়ে করেন জুহি। অভিনয়জগতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না পেশায় শিল্পপতি জয়ের। বিয়ে নিয়ে কোনও ঢাকঢোলও পেটাননি তাঁরা। বরং ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালেই রেখেছিলেন দু’জনে।
০৪২৩
গুজরাতের শিল্পপতি নানজি কালিদাস মেহতার নাতি জয়। জয়ের বাবা মহেন্দ্র মেহতা এবং মা সুনয়না মেহতার সঙ্গে থাকতেন জয়। কেনিয়ার প্রয়াত রেসকারচালক শেখর মেহতার তুতো ভাই হন তিনি।
০৫২৩
২০০০ সালে রাকেশ রোশনের পরিচালনায় ‘কারোবার’ ছবিটি মুক্তি পায়। ২০০০ সালে মুক্তি পেলেও এই ছবির শুটিং শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। এই ছবিতে জুহির পাশাপাশি অভিনয় করেছিলেন অনিল কপূর এবং ঋষি কপূরের মতো তারকারা। এই ছবির শুটিং চলাকালীন জয়ের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল জুহির।
০৬২৩
‘কারোবার’ ছবির পরিচালক রাকেশের ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন জয়। রাকেশের সূত্রেই জুহির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল জয়ের। বলিপাড়ার বিভিন্ন পার্টিতে একসঙ্গে দেখাও যেত জুহি এবং জয়কে। কিন্তু জুহির সঙ্গে আলাপের আগে জয়ের ব্যক্তিগত জীবনে ঝড় বয়ে গিয়েছিল।
০৭২৩
শিল্পপতি যশ বিড়লার বোন সুজাতা বিড়লাকে বিয়ে করেছিলেন জয়। ১৯৯০ সালে এক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সুজাতা। সুজাতার আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন জয়। সেই মুহূর্তে বন্ধু হিসাবে জয়ের হাত শক্ত করে ধরেছিলেন জুহি। ধীরে ধীরে তাঁদের মেলামেশা বাড়তে থাকে। গভীর বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণতি পায়।
০৮২৩
জয় এবং জুহি সম্পর্কে আসার কয়েক মাসের মধ্যে অভিনেত্রীর মা মোনা চাওলা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। জুহি এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে, জয়ের সঙ্গে বিয়ের কথা ঠিক হলেও তাতে রাজি হননি। পরে মানসিক টানাপড়েন সামলে উঠে জয়কে বিয়ে করেন নায়িকা।
০৯২৩
১৯৯৫ সালের ডিসেম্বরে পরিবারের সদস্য এবং নিকটাত্মীয়দের সামনে সাত পাকে বাঁধা পড়েন জুহি এবং জয়। তবে, বিয়ের পর প্রথম কয়েক বছর তাঁদের সম্পর্কের কথা কাউকে জানাননি তাঁরা।
১০২৩
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, জয়কে বিয়ে করার সময় জুহি তাঁর কেরিয়ারের শীর্ষে ছিলেন। পাছে বিয়ের খবর জানাজানি হলে নায়িকার কেরিয়ারে কোনও প্রভাব পড়ে, সে কথা ভেবে বিয়ের প্রসঙ্গে দু’জনেই মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন।
১১২৩
২০০১ সালে কন্যাসন্তান জাহ্নবীর জন্মের সময় জুহি এবং জয়ের বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আসে। তার দু’বছর পর ২০০৩ সালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন জুহি। বিয়ের পর অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসার দিকেও মন দেন জুহি। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নায়িকাকে সঙ্গ দেন জয় নিজেও।
১২২৩
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এর দল কলকাতা নাইট রাইডার্সে জুহির পাশাপাশি অর্থ বিনিয়োগ করেন জয়। ব্যবসায়িক অংশীদার হিসাবে তাঁরা পান বলি অভিনেতা শাহরুখ খানকে।
১৩২৩
সিমেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থা থেকে চিনি, প্যাকেজিং, ফ্লোরিকালচার সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন জয়। ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, তাঁর ব্যবসায়িক সম্পত্তির পরিমাণ ১৭,৫৫৫ কোটি টাকা। পরিবারের সূত্রেও বিশাল সম্পত্তির অধিকারী জয়।
১৪২৩
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ১৯২০ সাল নাগাদ জয়ের ঠাকুরদা নানজি কালিদাস মেহতা গুজরাতের পোরবন্দরে একটি বাংলো তৈরি করেছিলেন। ছোটবেলার বেশ কিছুটা সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে সেখানেই থাকতেন জয়।
১৫২৩
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া পোরবন্দরের বাংলোটি ‘হিল বাংলো’ নামেও পরিচিত। কাঠের আসবাবপত্রে ভরা এই বাংলোর অধিকাংশ আসবাবই আফ্রিকা থেকে আমদানি করা হয়েছিল।
১৬২৩
পোরবন্দরের বাংলোর দেওয়ালে সূক্ষ্ম নকশা তৈরি করতে স্থানীয় চুনাপাথর ব্যবহার করা হয়েছে। ইটালিয়ান মার্বেলের মেঝে এবং জাপানিজ় টাইল্স এই বাংলোর সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করেছে।
১৭২৩
বাংলোয় ছ’টি বিশাল বেডরুম স্যুট রয়েছে। প্রতিটি স্যুটই ভীষণ খোলামেলা। বড় বড় জানলা দিয়ে ঘেরা এই স্যুটগুলির বিশেষত্বও রয়েছে।
১৮২৩
প্রতিটি স্যুটের সঙ্গে রয়েছে আলাদা আলাদা রিসেপশন রুম। পুজো করার জন্য আলাদা ঘরও রয়েছে প্রতিটি স্যুটে। প্রতিটি ঘরে কাঠের তৈরি আসবাবপত্রের পাশাপাশি নজর কাড়বে পাথরের খোদাই করা মূর্তিও।
১৯২৩
বাংলোর আকর্ষণীয় জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম হল সেখানকার ডাইনিং রুম। এই ঘরে যেখানে খাবার টেবিল এবং চেয়ার রাখা রয়েছে, তার উপরের সিলিং কারুকার্যে ভরা। সিলিংয়ের দিকে তাকালে একনজরে মনে হতে পারে, নীল আকাশে তুলোর মতো মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে।
২০২৩
বাংলোর মাঝখানে ত্রিভুজাকার উঠোন রয়েছে যা প্রশস্ত বারান্দা দিয়ে ঘেরা। সেখানে একটি পাথরে বাঁধানো ছোট জলধারা রয়েছে। তা ছাড়া সুইমিং পুলের সামনে রয়েছে বিশ্রাম করার জায়গাও।
২১২৩
জয়ের ঠাকুরদা বই পড়তে ভীষণ ভালবাসতেন। সে কারণে ডাইনিং রুমে বইয়ের আলমারির পাশাপাশি বাংলোর নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বইয়ের তাকও।
২২২৩
পোরবন্দরের বাংলো ছাড়াও মুম্বইয়ের মালাবার হিলে একটি বাড়ি রয়েছে জয় এবং জুহির। পরিবার-সহ সেই বাড়িতেই থাকেন তাঁরা। এই বাড়িটিও উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন জয়।
২৩২৩
২,২০০ বর্গফুট ছাদবিশিষ্ট মুম্বইয়ের বাড়িটি পুনর্নির্মাণ করেছেন জয়। শ্রীলঙ্কার স্থপতি ছানা ডাসওয়াট এই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। বারান্দায় দাঁড়ালেই মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভ দর্শন করা যায়। এই বাড়ির দু’টি তলা জয় তাঁর সংগ্রহের শিল্পসামগ্রী দিয়ে সাজিয়ে রেখেছেন।