Advertisement
০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
NATO vs Axis Power

ত্রিশক্তির হাত ধরাধরিতে থরহরি কম্প! শি-পুতিন-কিমের ‘অক্ষসেনা’ নেটোর চেয়ে কোথায় এগিয়ে, পিছিয়ে কোথায়?

মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় সামরিক জোট নেটোর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। ধীরে ধীরে একজোট হচ্ছে রাশিয়া, চিন এবং উত্তর কোরিয়া। এই তিন ‘অক্ষশক্তি’র হাতেই রয়েছে পরমাণু হাতিয়ার।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:১০
Share: Save:
০১ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমি দেশগুলির দাদাগিরির দিন শেষ! তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য ধ্বংস করতে হাত মিলিয়েছে তিন ‘মহাশক্তি’। সেই জোটের ছবি ধীরে ধীরে পরিষ্কার হওয়ায় ঘুম উড়েছে আমেরিকার। উদ্বেগ বাড়ছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, স্পেন এবং পর্তুগালের মতো ইউরোপীয় রাষ্ট্রের। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সামনে এসেছে একটি প্রশ্ন। আগামী দিনে ত্রিশক্তি জোটের হাতে পরাজিত হবে নেটো? বদলে যাবে দুনিয়ার ক্ষমতার ভরকেন্দ্র?

০২ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর। রাজধানী বেজিঙের তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারে ২৬ জন রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিতিতে বিরাট এক কুচকাওয়াজের আয়োজন করে চিন। দিনটা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে লড়াই জেতার ৮০তম বার্ষিকী। ওই অনুষ্ঠানে একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন তিন জন। তাঁরা হলেন ড্রাগন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডেমোক্র্যাটিক পিপল্‌স রিপাবলিক অফ কোরিয়া বা ডিপিআরকের (পড়ুন উত্তর কোরিয়া) সুপ্রিম লিডার কিম জং-উন।

০৩ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারের কুচকাওয়াজে এই তিন জনের ঘনিষ্ঠতাই পশ্চিমি দুনিয়ার মনে তৈরি করেছে আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জোটটির গায়ে ‘অক্ষশক্তি’র তকমা সেঁটে দিয়েছে সেখানকার গণমাধ্যম। এর জন্য তাদের দোষ দেওয়া অনুচিত। কারণ, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে নেটো ধাঁচের সামরিক চুক্তি রয়েছে রাশিয়ার। অন্য দিকে এই ধরনের সমঝোতার থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখলেও চিনের পাল্লা যে মস্কো এবং পিয়ংইয়ঙের দিকে ঝুঁকে আছে, তা বলাই বাহুল্য।

০৪ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

‘অক্ষশক্তি’কে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমি সামরিক জোট নেটোর সামনে শক্তিশালী মনে হওয়ার নেপথ্যে একাধিক কারণ খুঁজে পেয়েছেন বিশ্লেষকেরা। প্রথমত, মতাদর্শগত দিক থেকে শি-পুতিন-কিম একই পথের পথিক। সমাজতান্ত্রিক চিন্তাভাবনাকে সামনে রেখে দুনিয়াজোড়া সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে চান তাঁরা। জিনপিঙের লক্ষ্য প্রতিরক্ষা, অর্থনীতি, মহাকাশ গবেষণা— সর্ব ক্ষেত্রে আমেরিকাকে হটিয়ে বিশ্বের এক নম্বর স্থান দখল। রুশ প্রেসিডেন্ট চান ভেঙে যাওয়া সোভিয়েতের পুনরুত্থান। আর সম্পূর্ণ কোরীয় উপদ্বীপ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ দেশ গঠনের স্বপ্ন রয়েছে কিমের।

০৫ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

দ্বিতীয়ত, ঘরোয়া রাজনীতি নিয়ে এই তিন নেতার চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, শি-পুতিন-কিম যে আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকবেন, তা একরকম স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিশ্লেষকদের দাবি, একতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করার জেরে যুদ্ধের জন্য সম্পদ জোগাড় করা তাঁদের পক্ষে অনেক বেশি সহজ। অন্য দিকে, যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমি দেশগুলিতে রয়েছে গণতন্ত্র। ফলে হঠাৎ করে যুদ্ধের জিগির তোলা সেখানকার রাষ্ট্রপ্রধানদের পক্ষে অসম্ভব। সে ক্ষেত্রে বহু প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে তাঁদের।

০৬ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

চতুর্থত, যুদ্ধের ময়দানে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন নেটোকে হারানোর মতো বিপুল হাতিয়ার, গোলা-বারুদ এবং রসদ রয়েছে এই তিন দেশের কাছে। ত্রিশক্তি জোটের তিনটি দেশের কাছেই আছে পরমাণু অস্ত্র। এর মধ্যে রাশিয়ার আণবিক হাতিয়ারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দ্রুত গতিতে পরমাণু অস্ত্রের ভান্ডার বৃদ্ধি করছে চিনও। অন্যান্য সমরাস্ত্রের প্রযুক্তিগত দিক থেকেও তারা যে খুব একটা পিছিয়ে নেই, তা মানছেন দুনিয়ার তাবড় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা। মস্কো ও বেজিঙের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

০৭ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

বর্তমানে চিনের ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএ হল বিশ্বের বৃহত্তম স্থলবাহিনী। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় নৌসেনা রয়েছে বেজিঙের হাতে। ফলে তিন দেশের সম্মিলিত বাহিনী যুদ্ধে নামলে তাদের হারানো যে কঠিন হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংখ্যার দিক থেকে একটি মাত্র জায়গাতেই এগিয়ে আছে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নেটো। তা হল, লড়াকু জেট এবং হামলাকারী হেলিকপ্টারের সংখ্যা।

০৮ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

সুইডিশ নজরদারি সংস্থা ‘স্টকহলোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ বা সিপ্রির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ‘অক্ষশক্তি’র কাছে রয়েছে ৬,৭৩৫টি পরমাণু অস্ত্র। নেটোর ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৬,৩০৫। পশ্চিমি দুনিয়ার এই জোটে আণবিক হাতিয়ার রয়েছে তিনটি দেশের কাছে। তারা হল আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বহরেই রয়েছে সর্বাধিক পরমাণু অস্ত্র।

০৯ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

দু’তরফের বাহিনীর তুলনামূলক আলোচনা সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘ডেইলি মেল’। সেখানে বলা হয়েছে, রাশিয়া-চিন-উত্তর কোরিয়ার সম্মিলিত বাহিনীতে সক্রিয় সৈনিকের সংখ্যা ৪৬ লক্ষ ৭০ হাজার। এ ছাড়া তাদের ৩০ লক্ষের একটি রিজ়ার্ভ ফৌজ রয়েছে। উল্টো দিকে ৩২টি নেটো দেশের সম্মিলিত বাহিনী গড়ে উঠেছে ৩৫ লক্ষ ৫০ হাজার সৈনিককে নিয়ে। জোটটির রিজ়ার্ভ বাহিনীতে রয়েছেন ২৭ লক্ষ যোদ্ধা।

১০ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

নেটো বাহিনীর ট্যাঙ্কের সংখ্যা ১৪ হাজার ১২৫। আর ‘অক্ষশক্তি’র হাতে রয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৪টি ট্যাঙ্ক। মার্কিন শক্তিজোট ৩ হাজার ৩১২টি লড়াকু জেট এবং ১ হাজার ৪১৬টি আক্রমণাত্মক কপ্টার নিয়ে নামবে রণাঙ্গনে। সেখানে রাশিয়া-চিন-উত্তর কোরিয়ার সম্মিলিত বাহিনী পাবে ২ হাজার ৪১৩টি জেট এবং মাত্র ৮৫৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার।

১১ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

‘অক্ষশক্তি’র মোট রণতরীর সংখ্যা ১,৩৮০। সেখানে নেটোর হাতে রয়েছে ১,১৪৩টি রণতরী। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে থাকলেও এখানে সামান্য এগিয়ে রয়েছে মার্কিট জোট। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বহরে রয়েছে ১১টি বিমানবাহী যুদ্ধপোত। এগুলি যে কোনও লড়াইয়ের গতি মুহূর্তে বদলে দিতে পারে। রাশিয়া-চিন-উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি সাত। সেগুলির শক্তিও আবার আমেরিকার বিমানবাহী রণতরীগুলির মতো নয়।

১২ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

‘ডেইলি মেল’-এর সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দু’তরফের ডুবোজাহাজের সংখ্যা প্রায় সমান। ক্ষেপণাস্ত্রের দিক থেকেও ‘অক্ষশক্তি’ এগিয়ে রয়েছে। তিয়েনআনমেন স্কোয়্যারের কুচকাওয়াজে বিপুল সংখ্যায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং রণতরী বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রকাশ্যে এনেছে বেজিং। প্রথমটির সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আক্রমণ শানাতে পারবে ড্রাগন। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বহর রাশিয়ারও নেহাত কম নয়। অন্য দিকে, এই প্রযুক্তিতে এখনও পিছিয়ে আছে নেটো জোট।

১৩ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

১৯৫০-’৫৩ সাল পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধে প্রথম বার ‘অক্ষশক্তি’র দেশগুলিকে কাছাকাছি আসতে দেখা গিয়েছিল। ওই লড়াইয়ে খোলাখুলি ভাবে উত্তর কোরিয়ার পাশে এসে দাঁড়ায় চিন এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া)। অন্য দিকে ‘রিপাবলিক অফ কোরিয়া’ বা আরওকে পেয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের সহায়তা। ফলে সোলকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় একসঙ্গে তিনটি দেশের সম্মিলিত বাহিনীকে ঠেকিয়ে দিতে পেরেছিল ওয়াশিংটন।

১৪ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

গত শতাব্দীর কোরীয় যুদ্ধ ছিল অমীমাংসিত। এর মাধ্যমে সমগ্র উপদ্বীপটি দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। লড়াই থামার ৭১ বছর পর রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করে পিয়ংইয়ং। ২০২৪ সালের ওই সমঝোতায় নেটোর আদলে জোট গঠনের কথা বলা হয়েছে। এর পরই ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে সাহায্য করতে বাহিনী পাঠান কিম। তাঁদের পূর্ব ইউরোপের কুর্স্ক ওব্লাস্টের লড়াইয়ে ক্রেমলিনের সৈনিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে দেখা গিয়েছে।

১৫ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির দাবি, কুর্স্কের রণাঙ্গনে যুদ্ধ লড়েছে ১২ হাজার উত্তর কোরীয় সৈনিক। তাঁদের মধ্যে আনুমানিক দু’হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। কিম অবশ্য তার পরেও দমে যাওয়ার পাত্র নন। পুতিনকে আরও বাহিনী সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন বেশ কয়েক বার প্রেসিডেন্ট শি-র সঙ্গে বৈঠক করেছেন ক্রেমলিনের সর্বময় কর্তা। চিনের সঙ্গে রাশিয়ার ‘সীমাহীন অংশীদারি’ রয়েছে বলে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।

১৬ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

সাবেক সেনাকর্তারা মনে করেন, নেটোর সঙ্গে লড়াইয়ে আরও একটি জায়গায় এগিয়ে রয়েছে ‘অক্ষশক্তি’। সেটা হল জ্বালানির জোগান। রাশিয়ার হাতে রয়েছে বিশাল খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার। নেটো দেশগুলি সেখানে যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিম এশিয়ার আরব মুলুকগুলির উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। সংঘাত পরিস্থিতিতে এই বিষয়টি তাদের চরম বিপদে ফেলতে পারে।

১৭ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

তবে এ সব কিছুরই উল্টো যুক্তি রয়েছে। ‘অক্ষশক্তি’র দেশগুলির মধ্যে চিনা বাহিনীর সংখ্যা বিরাট হলেও তাদের নেই কোনও যুদ্ধের অভিজ্ঞতা। বেজিঙের তৈরি সমরাস্ত্রের গুণগত মান নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অন্য দিকে গত পাঁচ দশকে বহু লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে নেটোর বাহিনী। ইউক্রেনের লড়াইয়েই যুক্তরাষ্ট্রের হাতিয়ারের সামনে যথেষ্ট বিপদে পড়তে দেখা গিয়েছে রুশ ফৌজকে।

১৮ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

গত শতাব্দীতে ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’র সময় সোভিয়েত আগ্রাসন ঠেকাতে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলিকে নিয়ে একটি সামরিক জোট তৈরি করে আমেরিকা। তারই নাম ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা’ বা নেটো (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন)। বর্তমানে এতে রয়েছে মোট ৩২টি দেশ। এর যে কোনও একটি রাষ্ট্র আক্রান্ত হলে বাকি দেশগুলিও একে যুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করবে বলে নেটো সংবিধানের পাঁচ নম্বর অধ্যায়ে উল্লেখ রয়েছে।

১৯ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

এ-হেন নেটোর সদস্যপদ পেতে চাওয়ায় ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সেনা অভিযান’ (স্পেশ্যাল মিলিটারি অপারেশন) চালাচ্ছেন পুতিন। বিশ্লেষকদের অনুমান, ২০২৮ সালের মধ্যে নেটো-ভুক্ত পোল্যান্ড বা এস্টোনিয়াকে আক্রমণ করতে পারে তাঁর ফৌজ। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় দেশটি ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত। উল্লেখ্য, রাশিয়ার মতোই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে কব্জা করার পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। ফলে একই সময়ে আক্রমণ শুরু করতে পারে বেজিংও।

২০ ২০
US led NATO may lose against Axis power that is combined force of Russia China and North Korea

আর তাই নেটো বনাম ‘অক্ষশক্তি’ লড়াই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে বদলে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপিন্স এবং ইজ়রায়েলের মতো দেশের সমর্থন পাবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। অন্য দিকে ইরানকে পাশে পাবে ‘অক্ষশক্তি’। সংশ্লিষ্ট সংঘাতে ভারতের ভূমিকাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নয়াদিল্লির পাল্লা যে দিকে ঝুঁকবে, তাদের জয়ের সম্ভাবনা যে কয়েক গুণ বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy