Advertisement
০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
Donald Trump’s Tariff

চিনে পণ্য বানিয়ে আমেরিকায় বিক্রি করে ট্রাম্পেরই সংস্থা! ‘দ্বিচারী’ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাগে আনতে কী করবে ভারত?

ভারতীয় পণ্যের উপর সব মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু, তাঁরই দেওয়া ‘এক্‌জ়িকিউটিভ অর্ডার’-এর ফাঁক গলে কিছু পণ্য প্রায় বিনা শুল্কে আমেরিকার বাজারে বিক্রি করতে পারবেন এ দেশের রফতানি ব্যবসায়ীরা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৫ ১৩:৫৬
Share: Save:
০১ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

রাশিয়ার থেকে খনিজ তেল আমদানিকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে শুল্ক-যুদ্ধে জড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ দেশের পণ্যে তাই অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। ফলে সব মিলিয়ে নয়াদিল্লির রফতানি সামগ্রীতে এখন থেকে ৫০ শতাংশ শুল্ক নেবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। ভারতের অর্থনীতিতে পড়বে এর কতটা প্রভাব? ইতিমধ্যেই তার চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছেন দেশ-দুনিয়ার তাবড় আর্থিক বিশ্লেষকেরা।

০২ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কেউ কেউ মনে করেন ভারতীয় পণ্যে আমেরিকা অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জেরে বড়সড় আর্থিক লোকসানের মুখে পড়বে নয়াদিল্লি। কারও আবার ধারণা, ভারতের মতো বড় দেশে এই শুল্কের তেমন কোনও প্রভাব দেখা যাবে না। তবে প্রায় সকলেই একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন যে শুল্ক-যুদ্ধের ক্ষত দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রের গায়েও। সেটা হয়তো বুঝতেই চাইছেন না ‘একগুঁয়ে-দাম্ভিক’ বর্ষীয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

০৩ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

একটা উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যেতে পারে। চলতি বছরের ৫ অগস্ট একটি সরকারি বৈঠকে বেমক্কা কলার উপর কত শতাংশ শুল্ক রয়েছে তা জিজ্ঞাসা করে বসেন মার্কিন ‘কংগ্রেস’-এর (আমেরিকার পার্লামেন্ট) সদস্য ম্যাডেলিন ডিন। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক জানান, ১০ শতাংশ। সঙ্গে সঙ্গে ডিন বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই শুল্কের চক্করে ওয়ালমার্টের মতো ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কলার দাম আট শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমজনতার পকেট থেকেই খরচ হচ্ছে সেই অতিরিক্ত টাকা।’’

০৪ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

‘কংগ্রেস’ সদস্য ডিনের এই মন্তব্যের পর অবশ্য দমে যাননি ট্রাম্পের ‘কিচেন ক্যাবিনেট’-এর সদস্য লুটনিক। তিনি পাল্টা বলেন, ‘‘কলার দাম বেড়ে যাওয়ার ঘটনা সাময়িক। ভবিষ্যতে এই ধরনের ফলগুলি এখানেই উৎপাদন করা হবে।’’ তাঁর দেওয়া এই জবাবে ফুঁসে ওঠেন ম্যাডেলিন। বৈঠকের মধ্যেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, সেটা কখনওই সম্ভব নয়। কারণ, কলা চাষের উপযোগী পরিবেশ নেই উত্তর গোলার্ধের দেশ আমেরিকায়।

০৫ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

গত জুনে কলার দাম বৃদ্ধি করে ওয়ালমার্ট। ওই সময়ে ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া অতিরিক্ত শুল্ক স্থগিত রেখেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেও অতিরিক্ত লাভের জন্য কলার দর বাড়াতে পিছু হটেনি ওই ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। এতে আর্থিক দিক থেকে লোকসান হয় আমেরিকার বাসিন্দাদের। লুটনিকের যুক্তি, পণ্য যদি ঘরের মাটিতে তৈরি হয়, তা হলে শুল্কের অঙ্ক দাঁড়াবে শূন্য। আর তাই মার্কিন সংস্থাগুলিকে এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে হবে।

০৬ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

কিন্তু, মুখে এ কথা বলা গেলেও বাস্তবে বিষয়টি মোটেই এতটা সহজ নয়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, সে ক্ষেত্রে সামান্য কলা চাষের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের চাষিদের। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ফলটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য। সেই কারণে এই ধরনের পণ্য ঘরে তৈরির বদলে বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকে আমেরিকা। ফলে কলার মতো ফল সস্তায় কিনতে পারে সেখানকার বাসিন্দারা।

০৭ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

বিশেষজ্ঞদের দাবি, অর্থনীতির এই সহজ হিসাব ভালই বুঝতে পারছেন ট্রাম্প। কিন্তু, ‘আমেরিকাকে ফের মহান করুন’ বা মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ভিতরে কর্মসংস্থানের জোয়ার আনাই তাঁর মূল উদ্দেশ্য। ভারত-সহ অন্যান্য দেশের থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যাক, তা কখনওই চান না বর্ষীয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গত বছর ভোটের সময়ে তাঁর প্রচার দল মাগা লেখা টুপি বা চায়ের কাপ সদস্য-সমর্থকদের মধ্যে বিক্রি করেছিল। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সেগুলির নির্মাণকারী দেশ ছিল চিন।

০৮ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, ভারতের উপরে শুল্ক চাপানোর ক্ষেত্রে ট্রাম্পের আরও একটি ‘দ্বিচারিতা’ রয়েছে। এ দেশ থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া যে কোনও পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ৫০ শতাংশ শুল্ক নেবে, তা কিন্তু নয়। গত ২ অগস্ট বিশেষ একটি ‘এক্‌জ়িকিউটিভ অর্ডার’-এ সই করেন বর্ষীয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই নির্দেশ অনুযায়ী, আমদানি করা সেমিকন্ডাক্টর, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম, জ্বালানি এবং জটিল ও বিরল খনিজ পদার্থের উপর কোনও শুল্ক জারি হবে না। সংশ্লিষ্ট ‘এক্‌জ়িকিউটিভ অর্ডার’টি হল ১৪,২৫৭।

০৯ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

এই নিয়মের ফাঁক গলে স্মার্টফোনের মতো পণ্য বিনা শুল্কে বা নামমাত্র শুল্কে দেদার বিকোচ্ছে মার্কিন বাজারে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৮,৬৫০ কোটি ডলারের বাণিজ্য করে থাকে নয়াদিল্লি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ট্রাম্পের ‘এক্‌জ়িকিউটিভ অর্ডার’-এর জন্য চার হাজার কোটি ডলারের পণ্যের উপর কোনও শুল্ক আপাতত জারি হচ্ছে না, যা এ দেশের রফতানি বাণিজ্যের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ।

১০ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

বণিক সংগঠনগুলির দাবি, ট্রাম্পের ‘এক্‌জ়িকিউটিভ অর্ডার’ কার্যকর থাকার জেরে ৮৭০ কোটি ডলার মূল্যের ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম কোনও রকমের বাড়তি শুল্ক না দিয়ে মার্কিন বাজারে আগের মতোই বিক্রি করা যাবে। ভারত থেকে ৪৭ শতাংশ জেনেরিক ওষুধ আমদানি করে থাকে আমেরিকা। সেটা ঘরের মাটিতে তৈরি করতে গেলে ছ’গুণ বেশি টাকা খরচ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। একই ভাবে ১,০৯০ কোটি ডলারের স্মার্টফোনও অতিরিক্ত শুল্ক ছাড়া বিক্রিতে বাধা নেই নয়াদিল্লির।

১১ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

তবে ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির সর্বাধিক প্রভাব দেখা যেতে পারে এ দেশের বস্ত্রশিল্পে। গত এপ্রিলে বাংলাদেশ (৩৭ শতাংশ), ভিয়েতনাম (৪৬ শতাংশ) এবং শ্রীলঙ্কার (৪৪ শতাংশ) থেকে আমদানি করা পণ্যে ভারতের চেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ওই সময়ে এ দেশের কাপড়ের উপরে মার্কিন আমদানি শুল্ক ছিল মাত্র ২৫ শতাংশ। কিন্তু, বর্তমানে ওই তিন দেশের ক্ষেত্রে শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছেন তিনি। ফলে আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা বা ভিয়েতনামে তৈরি কাপড়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে ওঠা ভারতীয় সংস্থাগুলির পক্ষে যে কঠিন হবে, তা বলাই বাহুল্য।

১২ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরে ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি (গ্রস ডোমেস্টিক প্রডোক্টাস) বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, ট্রাম্পের শুল্কনীতির জন্য সেটা কমে ৬.২৫ শতাংশে নামতে পারে। অর্থাৎ, আর্থিক বৃদ্ধির হারে ০.২৫ শতাংশের পতন দেখতে পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শুল্ক-যুদ্ধের পরোক্ষ প্রভাবও অর্থনীতির উপরে পড়তে পারে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

১৩ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

উদাহরণ হিসাবে বস্ত্রশিল্পের কথা বলা যেতে পারে। মার্কিন শুল্কনীতির জেরে এখানকার কাপড় ব্যবসায়ীরা আমেরিকার বাজার হারালে বস্ত্র উৎপাদনের একাধিক কারখানা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। সে ক্ষেত্রে দেশে বাড়তে পারে বেকারত্ব। তবে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল বাণিজ্যিক ঘাটতি রয়েছে, যেটা প্রায় ৪,৬০০ কোটি ডলার। ফলে যে কোনও পরিস্থিতিতে কেন্দ্র যে সুবিধাজনক জায়গায় থাকবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

১৪ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

তবে বিশেষজ্ঞদের বড় অংশই মনে করেন ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক-যুদ্ধের জেরে জেদ করে আমেরিকার বাজার ছেড়ে দেওয়া ভারতের উচিত হবে না। বরং নিজেদের স্বার্থ বজায় রেখে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সেরে নেওয়া ভাল। তবে সেখানেও রয়েছে কাঁটা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট চাইছেন, কৃষি এবং দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার তাদের শিল্প সংস্থাগুলির জন্য খুলে দিক নয়াদিল্লি। সেটা কোনও অবস্থাতেই সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

১৫ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

ভারতের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ কৃষির উপরে নির্ভরশীল। এ দেশে দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারীদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি মার্কিন কৃষিপণ্যের জন্য দরজা খুলে দিলে আমেরিকা সস্তা দরে খাদ্যশস্য বিক্রি করার সুযোগ পেয়ে যাবে। সেই প্রতিযোগিতায় কিছুতেই টিকতে পারবে না এ দেশের চাষিরা। আর তাই এ ব্যাপারে অনড় মনোভাব দেখাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রক।

১৬ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

দ্বিতীয়ত, ট্রাম্পের শুল্কের সঙ্গে লড়তে টাকার দাম ডলারের নিরিখে হ্রাস করতে পারে নয়াদিল্লি। অর্থনীতির পরিভাষায় একে বলে টাকার অবমূল্যায়ন। এই নীতি কিছুটা অনুসরণ করে থাকে চিন। কিন্তু তাতে অন্য বিপদ রয়েছে। ডলারের নিরিখে টাকার দাম কমলে আমদানির ক্ষেত্রে খরচ হবে অনেক বেশি। তা ছাড়া টাকাকে আন্তর্জাতিক মুদ্রায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্নও ছাড়তে হবে মোদী সরকারকে।

১৭ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

এ-হেন ‘শাঁখের করাত’ পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই বিকল্প বাজারের খোঁজ শুরু করে দিয়েছে ভারত। বিশেষজ্ঞদের একাংশের অনুমান, এ ক্ষেত্রে ‘ব্রিকস’-ভুক্ত দেশগুলিকে পাখির চোখ করেছে কেন্দ্র। ভারত নিজেও এই সংগঠনের অন্যতম সদস্য। নয়াদিল্লি ছাড়াও এতে রয়েছে ব্রাজ়িল, রাশিয়া, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ মোট ১০টি দেশ। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলিতে পণ্য বিক্রির সুযোগ পেলে ট্রাম্পের শুল্ক-ক্ষতর যন্ত্রণা সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারবে এ দেশের বণিক সমাজ।

১৮ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

মার্কিন শুল্ক-যুদ্ধের মধ্যেই মস্কো সফরে গিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বা এনএসএ (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার) অজিত ডোভাল। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ‘ইন্টারফ্যাক্স’-এর দাবি, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অগস্টে ভারতে আসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়া ইস্তক গত সাড়ে তিন বছর ধরে সস্তায় ক্রেমলিনের থেকে খনিজ তেল কিনছে নয়াদিল্লি, যা নিয়ে অসন্তুষ্ট ট্রাম্প। সেই কারণে ভারতকে ‘সাজা’ দিতে শুল্ক চাপানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

১৯ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

বিশ্লেষকদের অনুমান, পুতিনের ভারত সফরে তেলের ব্যাপারে নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে হতে পারে চুক্তি। সে ক্ষেত্রে আরও সস্তায় জ্বালানি কেনার সুযোগ পাবে কেন্দ্র। দু’দেশের বাণিজ্যকে ১০ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। অন্য দিকে, ট্রাম্পের হুমকি নিয়ে সুর চড়িয়েছেন ‘ব্রিকস’-ভুক্ত ব্রাজ়িলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

২০ ২০
US President Donald Trump’s tariff impact how brutal for Indian economy

এ ছাড়া এ বছরের অগস্টের শেষ দিকে চিন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর। বেজিঙের সঙ্গে আবার নয়াদিল্লির বাণিজ্যিক ঘাটতি অনেক বেশি। কিন্তু ট্রাম্পের শুল্কনীতির জেরে বিরক্ত ড্রাগন ইতিমধ্যেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার ইঙ্গিত দিয়েছে। ফলে সেখানকার বাজারে ঢোকার সুযোগ খুঁজছে কেন্দ্র, খবর সূত্রের।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy