১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে আমেরিকার থেকে মানববাহী (ম্যান-পোর্টেবল) ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী (অ্যান্টি ট্যাঙ্ক) জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র পেতে চলেছে ভারত। শুধু তা-ই নয়, যুদ্ধের রং বদলে দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন কৌশলগত হাতিয়ারটির যৌথ উৎপাদনের ব্যাপারেও সবুজ সঙ্কেত দিতে পারে ওয়াশিংটন। একসময় নয়াদিল্লিকে যে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রিই করতে চায়নি যুক্তরাষ্ট্র, সেই অস্ত্র নিয়েই এত বছর বাদে হঠাৎ কেন এই উদারতা? জবাব খুঁজছেন সাবেক সেনাকর্তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।
২০১০ সালে জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয় নয়াদিল্লি। ওই সময় ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী হাতিয়ারের অভাবে ভুগছিল ভারতীয় সেনা। আর তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে বিভিন্ন পাল্লার অন্তত ৪৪ হাজার ‘ট্যাঙ্ক কিলার’ অস্ত্র আমদানির আর্জি জানান তৎকালীন ফৌজি জেনারেলরা। সেই তালিকায় ছিল জ্যাভলিনেরও নাম। কিন্তু কেন্দ্রের আবেদনে একেবারেই সাড়া দেয়নি মার্কিন প্রশাসন। ফলে বাধ্য হয়ে ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র ইজ়রায়েলের দিকে মুখ ফেরাতে হয় ভারতকে।