Advertisement
০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
Scotland Woman

অনলাইনের ‘প্রেমিক’কে পাঠাতেন নগ্ন ছবি, মোটা টাকাও! হন প্রতারণার শিকার, কঠিন রোগে মারা যান তরুণী

সবে ৪৪-এ পা দিয়েছিলেন গেল। কিন্তু ভালবাসায় ছিলেন না তিনি। অ্যাস্টিনের সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকলেও তাঁদের সম্পর্ক যেন চোরাবালিতে তলিয়ে গিয়েছিল। তাই সময় কাটানোর জন্য সমাজমাধ্যমে অচেনা মানুষদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছিলেন গেল।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৫ ১৬:১২
Share: Save:
০১ ১৫
স্বামী, দুই পুত্র নিয়ে সংসার ছিল তরুণীর। কিন্তু স্বামীর প্রতি আর টান অনুভব করছিলেন না তিনি। ধীরে ধীরে সমাজমাধ্যমে অন্য পুরুষের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছিলেন। অজান্তেই ভালবাসার মুখোশ পরা প্রবঞ্চকের ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলেন তরুণী। বাধ্য হয়ে স্বামীকে পরকীয়ার কথা জানিয়েছিলেন তরুণী। সত্য স্বীকার করার পর বেশি দিন বাঁচেননি। দু’বছরের মধ্যে মারণরোগের কামড়ে জীবন ফুরিয়ে যায় তাঁর।

স্বামী, দুই পুত্র নিয়ে সংসার ছিল তরুণীর। কিন্তু স্বামীর প্রতি আর টান অনুভব করছিলেন না তিনি। ধীরে ধীরে সমাজমাধ্যমে অন্য পুরুষের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছিলেন। অজান্তেই ভালবাসার মুখোশ পরা প্রবঞ্চকের ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলেন তরুণী। বাধ্য হয়ে স্বামীকে পরকীয়ার কথা জানিয়েছিলেন তরুণী। সত্য স্বীকার করার পর বেশি দিন বাঁচেননি। দু’বছরের মধ্যে মারণরোগের কামড়ে জীবন ফুরিয়ে যায় তাঁর।

০২ ১৫
গেল অ্যাস্টিনের ১৮ বছরের সংসার। স্কটল্যান্ডের জেডবার্গের বাসিন্দা গেল। তাঁর স্বামীর নাম সাইমন। গেল এবং সাইমনের দুই পুত্রসন্তান। স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল গেলের। কিন্তু সংসারের বয়স বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে একাকিত্ব গ্রাস করতে শুরু করেছিল গেলকে।

গেল অ্যাস্টিনের ১৮ বছরের সংসার। স্কটল্যান্ডের জেডবার্গের বাসিন্দা গেল। তাঁর স্বামীর নাম সাইমন। গেল এবং সাইমনের দুই পুত্রসন্তান। স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল গেলের। কিন্তু সংসারের বয়স বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে একাকিত্ব গ্রাস করতে শুরু করেছিল গেলকে।

০৩ ১৫
২০১৯ সালের ঘটনা। সবে ৪৪-এ পা দিয়েছিলেন গেল। কিন্তু ভালবাসায় ছিলেন না তিনি। অ্যাস্টিনের সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকলেও তাঁদের সম্পর্ক যেন চোরাবালিতে তলিয়ে গিয়েছিল। তাই সময় কাটানোর জন্য সমাজমাধ্যমে অচেনা মানুষদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছিলেন গেল। সেখান থেকেই তাঁর জীবনের এক ভয়ানক অধ্যায়ের সূচনা।

২০১৯ সালের ঘটনা। সবে ৪৪-এ পা দিয়েছিলেন গেল। কিন্তু ভালবাসায় ছিলেন না তিনি। অ্যাস্টিনের সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকলেও তাঁদের সম্পর্ক যেন চোরাবালিতে তলিয়ে গিয়েছিল। তাই সময় কাটানোর জন্য সমাজমাধ্যমে অচেনা মানুষদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছিলেন গেল। সেখান থেকেই তাঁর জীবনের এক ভয়ানক অধ্যায়ের সূচনা।

০৪ ১৫
সমাজমাধ্যমের সূত্রে গেলের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ডেভিড উইলিয়ামসের। আমেরিকার বাসিন্দা ডেভিড পেশায় ছিলেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। গেলের কাছে এমনটাই দাবি করেছিলেন তিনি। বয়সের তেমন পার্থক্য ছিল না দু’জনের। সমাজমাধ্যমে বন্ধুত্ব কম সময়ের মধ্যেই গাঢ় হয়ে গিয়েছিল।

সমাজমাধ্যমের সূত্রে গেলের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ডেভিড উইলিয়ামসের। আমেরিকার বাসিন্দা ডেভিড পেশায় ছিলেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। গেলের কাছে এমনটাই দাবি করেছিলেন তিনি। বয়সের তেমন পার্থক্য ছিল না দু’জনের। সমাজমাধ্যমে বন্ধুত্ব কম সময়ের মধ্যেই গাঢ় হয়ে গিয়েছিল।

০৫ ১৫
একসময় যে গেলকে একাকিত্ব গ্রাস করেছিল, ডেভিডের সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর সেই গেলই আবার চনমনে হয়ে উঠেছিলেন। ডেভিডের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। ডেভিডও ভালবেসে ফেলেছিলেন গেলকে। তবে তাঁদের সম্পর্ক অনলাইন চ্যাটেই সীমাবদ্ধ ছিল।

একসময় যে গেলকে একাকিত্ব গ্রাস করেছিল, ডেভিডের সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর সেই গেলই আবার চনমনে হয়ে উঠেছিলেন। ডেভিডের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। ডেভিডও ভালবেসে ফেলেছিলেন গেলকে। তবে তাঁদের সম্পর্ক অনলাইন চ্যাটেই সীমাবদ্ধ ছিল।

০৬ ১৫
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চ্যাটের মাধ্যমে ডেভিডের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে জড়িয়ে পড়েছিলেন গেল। মাঝেমধ্যেই গেলের কাছে নগ্ন ছবি চাইতেন ডেভিড। গেলও আপত্তি করতেন না। ভালবাসার মানুষের আবদার রাখতে অনেক খোলামেলা ছবি পাঠাতেন তিনি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চ্যাটের মাধ্যমে ডেভিডের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে জড়িয়ে পড়েছিলেন গেল। মাঝেমধ্যেই গেলের কাছে নগ্ন ছবি চাইতেন ডেভিড। গেলও আপত্তি করতেন না। ভালবাসার মানুষের আবদার রাখতে অনেক খোলামেলা ছবি পাঠাতেন তিনি।

০৭ ১৫
সম্পর্কে জড়ানোর কিছু দিন পর থেকে গেলের কাছে নানা অছিলায় টাকা চাইতে শুরু করেছিলেন ডেভিড। প্রয়োজন ভেবে ডেভিডকে অনলাইনে টাকা পাঠাতে শুরু করেছিলেন গেল। কিন্তু দিনের পর দিন সেই টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। মনে মনে সন্দেহ হয় গেলের। আর তিনি ডেভিডকে টাকা দিতে পারবেন না তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন গেল। তার পর থেকেই ভোল বদলে গিয়েছিল ডেভিডের।

সম্পর্কে জড়ানোর কিছু দিন পর থেকে গেলের কাছে নানা অছিলায় টাকা চাইতে শুরু করেছিলেন ডেভিড। প্রয়োজন ভেবে ডেভিডকে অনলাইনে টাকা পাঠাতে শুরু করেছিলেন গেল। কিন্তু দিনের পর দিন সেই টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। মনে মনে সন্দেহ হয় গেলের। আর তিনি ডেভিডকে টাকা দিতে পারবেন না তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন গেল। তার পর থেকেই ভোল বদলে গিয়েছিল ডেভিডের।

০৮ ১৫
টাকা না দিলে গেলের নগ্ন ছবি প্রকাশ্যে আনবেন বলে হুমকি দিতে শুরু করেছিলেন ডেভিড। প্রেমিকের মুখোশ খুলে ফেলে আসল রূপ দেখিয়েছিলেন তিনি। ভয় পেয়ে স্বামী সাইমনের কাছে সব কথা স্বীকার করেন গেল। তিনি কী ভাবে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সে কথাও জানিয়‌েছিলেন।

টাকা না দিলে গেলের নগ্ন ছবি প্রকাশ্যে আনবেন বলে হুমকি দিতে শুরু করেছিলেন ডেভিড। প্রেমিকের মুখোশ খুলে ফেলে আসল রূপ দেখিয়েছিলেন তিনি। ভয় পেয়ে স্বামী সাইমনের কাছে সব কথা স্বীকার করেন গেল। তিনি কী ভাবে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সে কথাও জানিয়‌েছিলেন।

০৯ ১৫
গেলের কথা শুনে মাথায় হাত পড়েছিল সাইমনের। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে গেলকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। বরং সাইমন নিজেকে দোষারোপ করেছিলেন। তাঁর দাবি, সাইমন যদি স্বামী হিসাবে গেলের প্রতি আরও যত্নবান হতেন তা হলে এমন ভয়ানক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হত না গেলকে।

গেলের কথা শুনে মাথায় হাত পড়েছিল সাইমনের। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে গেলকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। বরং সাইমন নিজেকে দোষারোপ করেছিলেন। তাঁর দাবি, সাইমন যদি স্বামী হিসাবে গেলের প্রতি আরও যত্নবান হতেন তা হলে এমন ভয়ানক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হত না গেলকে।

১০ ১৫
উপায় না দেখে পুলিশের দ্বারস্থ হন সাইমন এবং গেল। প্রতারকের সন্ধান পেতে তদন্ত শুরু করে স্থানীয় পুলিশ। কিন্তু অ্যাকাউন্টের ছবির সূত্র ধরে অন্য ব্যক্তির দরজার সামনে পৌঁছে যান পুলিশকর্মীরা।

উপায় না দেখে পুলিশের দ্বারস্থ হন সাইমন এবং গেল। প্রতারকের সন্ধান পেতে তদন্ত শুরু করে স্থানীয় পুলিশ। কিন্তু অ্যাকাউন্টের ছবির সূত্র ধরে অন্য ব্যক্তির দরজার সামনে পৌঁছে যান পুলিশকর্মীরা।

১১ ১৫
পুলিশ জানান, পেদ্রো হিপোলিতো নামে এক ব্যক্তির ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন ডেভিড। ৫১ বছর বয়সি পেদ্রো পর্তুগালের বাসিন্দা। পেশায় ব্যবসায়ী পেদ্রো যখন সত্য জানতে পেরেছিলেন তখন ডেভিডের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।

পুলিশ জানান, পেদ্রো হিপোলিতো নামে এক ব্যক্তির ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন ডেভিড। ৫১ বছর বয়সি পেদ্রো পর্তুগালের বাসিন্দা। পেশায় ব্যবসায়ী পেদ্রো যখন সত্য জানতে পেরেছিলেন তখন ডেভিডের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।

১২ ১৫
ডেভিড কোথায় থাকতেন, তাঁর আসল পরিচয় কী— কিছুই জানতে পারেনি পুলিশ। প্রবঞ্চনার শিকার হয়ে গেল মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তবে তাঁর হাত শক্ত করে ধরে ছিলেন সাইমন। ধীরে ধীরে সাইমনের সঙ্গে গেলের চিড়ধরা সম্পর্ক আবার জোড়া লাগতে শুরু করেছিল। কিন্তু গেলের কপালে সে সুখ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।

ডেভিড কোথায় থাকতেন, তাঁর আসল পরিচয় কী— কিছুই জানতে পারেনি পুলিশ। প্রবঞ্চনার শিকার হয়ে গেল মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তবে তাঁর হাত শক্ত করে ধরে ছিলেন সাইমন। ধীরে ধীরে সাইমনের সঙ্গে গেলের চিড়ধরা সম্পর্ক আবার জোড়া লাগতে শুরু করেছিল। কিন্তু গেলের কপালে সে সুখ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।

১৩ ১৫
হঠাৎ প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন গেল। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর ২০২০ সালের জুলাই মাসে ব্রেন টিউমার ধরা পড়েছিল গেলের। কোনও ভাবেই তাঁকে বাঁচানো সম্ভব নয় তা আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কেমোথেরাপি এবং রেডিয়োথেরাপি করে শেষ চেষ্টাও করেছিলেন তাঁরা।

হঠাৎ প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন গেল। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর ২০২০ সালের জুলাই মাসে ব্রেন টিউমার ধরা পড়েছিল গেলের। কোনও ভাবেই তাঁকে বাঁচানো সম্ভব নয় তা আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কেমোথেরাপি এবং রেডিয়োথেরাপি করে শেষ চেষ্টাও করেছিলেন তাঁরা।

১৪ ১৫
মারণরোগে ভুগতে ভুগতে প্রায় দু’বছর বেঁচেছিলেন গেল। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে মারা যান তিনি। রোগ ধরা পড়ার পর গেল ভেবেছিলেন যে, জীবনের কিছু শখ পূরণ করবেন তিনি। ডলফিনের সঙ্গে মাঝসমুদ্রে সাঁতার কাটার শখ ছিল তাঁর।

মারণরোগে ভুগতে ভুগতে প্রায় দু’বছর বেঁচেছিলেন গেল। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে মারা যান তিনি। রোগ ধরা পড়ার পর গেল ভেবেছিলেন যে, জীবনের কিছু শখ পূরণ করবেন তিনি। ডলফিনের সঙ্গে মাঝসমুদ্রে সাঁতার কাটার শখ ছিল তাঁর।

১৫ ১৫
স‌ংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গেলের প্রিয় ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন জে রদ্রিগেজ়। তাঁকে এক বার চাক্ষুষ করার ইচ্ছা ছিল গেলের। কিন্তু সেই ইচ্ছাও পূরণ হয়নি তাঁর। বর্তমানে গেলের অনুপস্থিতিতে সাইমন এবং তাঁর দুই পুত্র তাঁর স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে রয়েছেন।

স‌ংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গেলের প্রিয় ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন জে রদ্রিগেজ়। তাঁকে এক বার চাক্ষুষ করার ইচ্ছা ছিল গেলের। কিন্তু সেই ইচ্ছাও পূরণ হয়নি তাঁর। বর্তমানে গেলের অনুপস্থিতিতে সাইমন এবং তাঁর দুই পুত্র তাঁর স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে রয়েছেন।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy