প্রতিবেদন: প্রচেতা ও সৌরভ, সম্পাদনা: বিজন
থমথমে গোটা এলাকা। আমবাগানে পড়ে আছে রেজাউলের দেহ। পরিজনেরা শোকে পাথর। ভোট গণনার রাতে প্রাণ যায় ভাঙড়ের ভোগালি গ্রামের রেজাউল গাজির। রেজাউলের দিদি বলছেন, ‘‘আমরা ফাঁসি চাই। আমার সোনা ভাই চলে গেছে, আমরা দোষীদের ফাঁসি চাই। ভাইজান আসুক, রাজ্যপাল আসুক। তার আগে দেহ ছাড়ব না। ভাইয়ের খুনির ফাঁসি চাই।’’
মঙ্গলবার রাতে ভাঙড়-২ ব্লকের কাঁঠালিয়ার গণনাকেন্দ্রে চলছিল জেলা পরিষদের ভোটগণনা। আইএসএফ নেত্রী রেশমা খাতুন অভিযোগ করেন, তাঁদের জেলা পরিষদের প্রার্থী জাহানারা খাতুন প্রথমে পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিডিও জানান, জাহানারা ৩৬০ ভোটে হেরে গিয়েছেন। এই ফলাফল মানতে চায়নি আইএসএফ। তাঁরা পুনর্গণনার দাবি তোলেন। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে এলাকা অশান্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের উপর আক্রমণ শুরু করে। এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণ হয়। বোমা এবং গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়ায়। আর তাতেই প্রাণ হারান তিনজন। রেজাউলের পরিবারের দাবি, রাজ্যপাল না আসা পর্যন্ত রেজাউলের দেহ বাড়ি থেকে বেরবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy