প্রতিবেদন: প্রচেতা, চিত্রগ্রহণ: সৌরভ, সম্পাদনা: বিজন
‘‘যে ভাবে লোকে পুকুরে ঝাঁপায়, সে ভাবেই বারান্দা থেকে লাফ দেন স্বপ্নদীপ।” বুধবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের নীচেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে দাবি করছেন আর এক পড়ুয়া হাসান গায়েন। জানাচ্ছেন ঘটনা ঘটার আগেই তিনি শুনেছিলেন হইহট্টগোল। জোরের সঙ্গে বলছেন, “আমি কাউকে ওকে ঠেলে ফেলে দিতে দেখিনি, লাফ দিতে দেখেছি।” হাসানের দাবি, তিনি আর তাঁর সহপাঠীরা সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান স্বপ্নদীপের কাছে, অচৈতন্য প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে ট্যাক্সি ডেকে নিয়ে যান কাছের এক বেসরকারি হাসপাতালে। এক সময়ে নিজেও ওই এ-২ হস্টেল ব্লকেই থাকতেন হাসান, যেই ব্লকের তিন তলার বারান্দা থেকে রহস্যজনক ভাবে ‘পড়ে’ মৃত্যু হয়েছে স্বপ্নদীপের। নিজেরও এক দিন ‘ইন্ট্রো’ নামধারী র্যাগিংয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছিল, প্রতিবাদও করেছিলেন। তবে সেই ‘প্রথা’ যে বন্ধ করতে পারেননি তা বলাই বাহুল্য। এখনও ঘুমোতে পারছেন না, খাওয়াদাওয়া শিকেয় উঠেছে। হস্টেল সুপার কী করছিলেন এত দিন? ডিন অফ স্টুডেন্টসও কি দায়িত্ব এড়াতে পারেন? প্রশ্ন তুলছেন যাদবপুরের হাসান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy