ফের অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ এ রাজ্যে। রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের মোচপোল এলাকা। এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ওই কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের দেহাংশ আশেপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। কোথাও গাছের ডালে, আবার কোথাও টালির চাল থেকে মৃত ব্যক্তিদের দেহাংশ ঝুলতে দেখা গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাড়িটি। ভেঙে পড়া কংক্রিট পিলারের নীচে অনেকে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশেপাশের বাড়িও।
হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আট জনের। তাঁরা হলেন, ২০ বছরের রেশমা খাতুন, ১৭ বছরের মাসুমা খাতুন, ৪০ বছরের আশুরা বিবি, সারিনা বিবি, ১৪ বছরের সানাউল আলি, ৫০ বছরের শমসের আলি, ৫২ বছরের সাইদুল আলি। আহতদের মধ্যে একটি ৮ বছরের বালকও রয়েছে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে অকুস্থলে হাজির হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ পৌঁছতেই তাঁদের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। ঘিরে ধরে চলতে থাকে স্লোগান।
মোচপোলের বাসিন্দা সামসুল আলি বেআইনি বাজির কারবার চালাতেন বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে বলেও দাবি তাঁদের। অভিযোগ, রাজনীতির সূত্রেই তিনি দিনের পর দিন ধরে বেআইনি কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। স্থানীয়রা দাবি করছেন, বার বার বাজি কারখানার বিরোধিতা করে প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন গা করেনি।
এগরা ও বজবজে বিস্ফোরণের পর রাজ্যে বেআইনি বাজি উদ্ধারে রাজ্য জুড়ে তল্লাশিতে নামে পুলিশ। সে সময় উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরেও পুলিশি অভিযানে মেলে অন্তত ২০০ কুইন্টাল বাজি। তার পরেও রবিবারের এই বিস্ফোরণ প্রশাসনের ভূমিকাকে স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy