সম্পাদনা: সুব্রত
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বেনজির ঘটনা। ‘সাসপেন্ড’ ১৪১ সাংসদ। সোমবার ৯২ জন এবং মঙ্গলবার এখনও পর্যন্ত ৪৯, মোট ১৪১ জন বিরোধী সাংসদকে ‘সাসপেন্ড’ করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৯৫ জন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি। অর্থাৎ লোকসভার সাংসদ। আর বাকি ৪৬ জন মনোনীত, অর্থাৎ রাজ্যসভার সাংসদ। মঙ্গলবার ‘সাসপেন্ড’ হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আব্দুল্লা, কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারি, কার্তি চিদাম্বরম, এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে, তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মালা রায়। সংসদ ভবনে ঢুকে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করছে বিরোধীরা। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনায় কেন মুখে কুলুপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর, এই প্রশ্নেই উত্তাল হয়েছে সংসদ। বিরোধীদের হৈ হট্টগোলে বিঘ্নিত হয় আলোচনা। সংসদের ভিতর অসদাচারণের অভিযোগে ‘সাসপেন্ড’ করা হয় ১৪১ সাংসদকে। যার তীব্র নিন্দা করে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “সংসদীয় রাজনীতিতে বিশ্বাস নেই বিজেপির। এক কথায় বললে, এটা এক ধরনের নৈরাজ্য। সংসদের ভিতরেই এই নৈরাজ্য চলছে।” ‘গণতন্ত্রের অপমান’, প্রতিক্রিয়া মল্লিকার্জুন খড়্গের। অন্যদিকে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর বক্তব্য, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে হার মেনে নিতে না পেরেই বিরোধীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। সাংসদের ‘সাসপেন্ড’ করার প্রতিবাদে প্রথম সংসদ ভবন চত্বর এবং পরে গান্ধী মূর্তির সামনে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy