দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। শাসকদল এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাকে ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত করার অভিযোগ তুলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার পাঠানো চিঠিতে সুকান্তের দাবি, এই বিস্ফোরণকাণ্ডের নেপথ্যে জঙ্গি কার্যকলাপও থাকতে পারে। অন্য দিকে, শাসক শিবির দাবি করেছে, দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণের ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় এক আইএসএফ নেতা রয়েছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ দাবি করেছেন, এই ঘটনার পিছনে স্থানীয় এক আইএফএফ নেতার হাত রয়েছে। তিনিই মুর্শিদাবাদ থেকে লোক এনে বেআইনি ভাবে বাজি তৈরি করাচ্ছিলেন। রথীন বলেন, ‘‘এই বুথে আইএসএফ জিতেছে। স্থানীয় আইএসএফ নেতা রমজান আলি রয়েছেন এটার পিছনে। আমরা জানতাম না। পুলিশও জানত না।’’ পাল্টা, তৃণমূলের স্থানীয় দুই নেতার দিকে আঙুল তোলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।তাঁর বক্তব্য, ‘‘স্থানীয়েরা প্রশাসনকে একাধিক বার বেআইনি বাজি তৈরির কথা জানিয়েছিল। আইএসএফ যদি বাজি কারখানা চালাত, তা হলে কি প্রশাসন চুপ করে থাকত? বেআইনি বাজি কারবারের পিছনে তৃণমূলের দুই নেতা রয়েছে— কেরামত আলি আর আজিবর আলি। ওরা ভানু বাগের (এগরাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত) মতো পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ওদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। যারা আমাদের নামে অভিযোগ করছে, তারাই এই সব বাজি কারখানা থেকে টাকা পেত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy