প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: সৈকত
সকাল ১১টায় ইডির দফতরে তলব করা হয়েছিল। সাংসদ-অভিনেত্রীর গাড়ি যখন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের গেট দিয়ে ঢুকল, তখন ঘড়িতে ১০টা বেজে ৪৩ মিনিট। তার পর সাড়ে ৬ ঘণ্টা পার। কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঢাকা সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে সাংবাদিক আর উৎসুক পথচারীদের ভিড়। নুসরত ইডি-র দফতর ছাড়লেন বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে। কী কী প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে? সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়ে গাড়িতে চেপে বেরিয়ে যান নুসরত।
নুসরত একটি সংস্থায় থাকাকালীন একাধিক প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে আর্থিক প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা বেশ কয়েক জন অভিযোগকারীকে নিয়ে গড়িয়াহাট থানা এবং সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন কলকাতা পুলিশ এবং ইডির গোয়েন্দারা। তার পরেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নুসরত দাবি করেন, যখন অভিযোগ উঠেছিল, তার অনেক আগেই তিনি ওই সংস্থা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, কয়েক কোটি টাকা তিনি সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণের টাকা তিনি কড়ায়-গণ্ডায় শোধ করে দিয়েছেন। এর পর নুসরতকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তিনি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ না নিয়ে কেন একটি কোম্পানির তরফ থেকে ঋণ নিলেন? এ কথা শুনেই তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সেই অভিযোগের তদন্তেই অভিনেত্রীকে ডেকেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy