২ তারিখ বিকেল সাড়ে ৫টা। “পৌঁছে তোকে ফোন করব”— ভাইয়ের সঙ্গে শেষ বার কথা হয়েছিল সুমন মিস্ত্রির। বন্ধু দীপঙ্কর মণ্ডলের সঙ্গে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন সোনারপুরের অক্ষয় মিস্ত্রি। রোজগারের খোঁজে বাড়ির অমতেই ভিন্রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছিলেন দু’বন্ধু। ফোনে আর যোগাযোগ করা যায়নি অক্ষয় বা দীপঙ্করের সঙ্গে। পরিজনেরা গয়না বন্ধক রেখে, পড়শিদের থেকে টাকা ধার নিয়ে বার বার ছুটে গিয়েছেন বালেশ্বরে। হন্যে হয়ে ঘুরেছেন হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে, অস্থায়ী লাশঘর থেকে সরকারি মর্গে। ডিএনএ পরীক্ষাও হয়েছে, কিন্তু ছেলের মৃতদেহ শনাক্ত করা যায়নি এখনও।
স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে বিধায়ক— বাড়িতে এসে আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিলেন সকলেই। অক্ষয়ের কাকা জানিয়েছেন, প্রথম প্রথম বাড়িতে রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা লেগে ছিল। দুর্ঘটনার দু’সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরে এখন লড়াই একা পরিবারের— বাড়ির ছেলের খোঁজে পাশে নেই বিশেষ কেউই। ছেলের ফেরার আশায় ঠাকুরঘরে হত্যে দিয়ে পড়ে আছেন মা, সঙ্গী বুক ফাটা কান্না আর নির্বাক বিগ্রহের উদ্দেশে এক রাশ প্রশ্ন। নিখোঁজের দেশের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেল ছেলে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy