Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Rituparna Sengupta

যে ঋতুর চিহ্ন ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে, তাঁর আজ জন্মদিন

১৯৮৯ সাল থেকে বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত ঋতুপর্ণা অভিনয় করেছেন একাধিক বাংলাদেশি ও হিন্দি চলচ্চিত্রেও। সুদক্ষ অভিনয় তাঁকে এনে দিয়েছে একাধিক পুরস্কার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৪৫
Share: Save:

ঋতুর বয়স হয় না। শুধু বদলে যায়। এই বদল নিজেকে সময়ের উপযোগী করে প্রস্তুত করার। অভিনয়, বোধি, স্বভাব এবং স্বাভাবিকত্ব দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি চিরকালীন। ইন্ডাস্ট্রিতে এই চিরকালের বয়স তিরিশ। কাজ করা হয়ে গিয়েছে ২০০-র ওপর বাংলা ছবিতে।

১৯৮৯ সাল থেকে বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত ঋতুপর্ণা অভিনয় করেছেন একাধিক বাংলাদেশি ও হিন্দি চলচ্চিত্রেও। বাণিজ্যিক ও শৈল্পিক— উভয় ধারার সিনেমাতে সুদক্ষ অভিনয় তাঁকে এনে দিয়েছে একাধিক পুরস্কার। অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজেও হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

প্রথম ছায়াছবি প্রভাত রায়ের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত বাংলা ছবি ‘শ্বেতপাথরের থালা’। নব্বইয়ের দশকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ও অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একের পর এক বাণিজ্যিক বাংলা ছবিতে জুটি বেঁধে তিনি সাফল‍্যের শিখরে পৌঁছে যান। প্রথম বাংলাদেশি ছবি ‘স্বামী কেন আসামী’(১৯৯৭)।

ঋতুপর্ণ ঘোষের দহন, উৎসব, অপর্ণা সেনের পারমিতার একদিন ও বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের মন্দ মেয়ের উপাখ্যান ছবিতে তাঁর অভিনয় বিদগ্ধ মহলের প্রশংসা অর্জন করে। ‘দহন’ ছবিতে ধর্ষণের শিকার এক নববিবাহিতা ‘রোমিতা’-র চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ১৯৯৮ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসাবে অর্জন করেন জাতীয় পুরস্কার। কোনও নির্দিষ্ট নায়ক বা বড় প্রযোজনা সংস্থার বাইরে এসে নিজের ‘ব্র্যান্ড’ তৈরি করেন তিনি। বলিউডের সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের স্বকীয়তা প্রমাণ করেন।

অসম্ভব উচ্চাকাঙ্ক্ষী। সংসারও করেন মন দিয়ে। অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্ব জুড়ে কাজ করছেন তিনি। প্রস্তুতি নিচ্ছেন কলম ধরার। নিজের জীবনের ঝড়ের কথা, আলোর কথা, নদীর কথা বইয়ের আকারে বলার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE