প্রতিবেদন: সৌরভ, চিত্রগ্রহণ: তীর্থঙ্কর, সম্পাদনা: শুভাশিস
শুক্রবারের বৈঠকে মমতা কী বার্তা দেন সে বিষয়ে জল্পনা চলছিল সব মহলেই। এ দিন কালীঘাটের বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন দলের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতি এবং যুব, মহিলা, শ্রমিক ও সংখ্যালঘু শাখার জেলা সভাপতিরা। অনেক দিন বাদে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন দলের সর্ব্বোচ্চ নেত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কী রণকৌশল ঠিক করল তৃণমূল? বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানালেন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ‘বিস্তারিত’ আলোচনা হয়নি এ দিনের বৈঠকে, আগামী দিনে তা নিয়ে দল আলোচনায় বসবে। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে, এ দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জন্য পর্যবেক্ষকদের নাম ঘোষণা করল তৃণমূল। বদল হল দলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতিও। এত দিন এই পদে ছিলেন হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম। তাঁর জায়গায় এলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের ফলে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে চিন্তিত তৃণমূল। তারই ছাপ পড়ল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি বদলে? প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার সংগঠন দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, শুক্রবারের বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুরা আমাদের সঙ্গে আছে, সংখ্যালঘু ভোট কমেনি। সাগরদিঘিতে হার হয়েছে নিজেদের দুর্বলতার কারণে।”
এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে বা দলনেত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে তৃণমূলের নেতানেত্রীদের মুখে শোনা গেল ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের রণবাদ্যও। পঞ্চায়েতের পাশাপাশি লোকসভাতেও বিজেপিকে হারানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দল, দাবি সুদীপের। বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গেও সমদূরত্বের নীতিতেই আছেন তাঁরা। আগামী দিনে বিভিন্ন রাজ্যের অকংগ্রেসি-অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা, জানাচ্ছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংবাদিক বৈঠকে সুদীপ-চন্দ্রিমা যাই দাবি করুন না কেন, শুক্রবারের বৈঠকে যে আগামী দিনের লড়াইয়ের রূপরেখার দিকনির্দেশ দিলেন নেত্রী, তাতে সন্দেহ নেই। জেলা পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব বাঁটোয়ারা অন্তত সে দিকেই ইঙ্গিত করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy