Advertisement
৩০ মার্চ ২০২৩
International Women's Day

নায়ক নয়, পক্ষীরাজে চড়েন নায়িকা— রূপা ও তাঁর সাইকেলের শহুরে রূপকথা

মেয়ে বলে আগে কোনও দিন সাইকেল শেখা হয়নি। রূপা পাণিগ্রাহী ফিরে দেখলেন তাঁর ফেলে আসা সময়ের অনেক না পাওয়া, স্বপ্ন ভাঙা আর লড়াইয়ের স্মৃতি।

প্রতিবেদন: সুব্রত, প্রিয়ঙ্কর, শ্রাবস্তী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৩ ১০:২৫
Share: Save:

সাধ থাকলেও কী সাধ্য থাকতে আছে? পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার হাজারও নিয়মের বেড়াজালে ইচ্ছে পূরণের জন্য বহু ক্ষেত্রেই মেয়েদের অপেক্ষা করে থাকতে হয় কারোর অনুমতির জন্য। ‘মেয়েদের বেশি বাইরে যেতে নেই’, ‘অপরিচিতদের সঙ্গে মিশতে নেই’, ‘বেশি দূর পড়াশোনা করার দরকার নেই’— এরকম হাজারটা ‘না’-র ঘেরাটোপে আজও কাটে বহু মেয়ের জীবন। বেশিরভাগই মেনে নেন পরিস্থিতি, যেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার মধ্যেই কিছু জন বিদ্রোহ করেন, খুঁজে নেন নিজস্ব পথ। যেমন রূপা পাণিগ্রাহী। চোদ্দ বছর বয়সে বিয়ে। স্বামীর হাতের মারের ক্ষতকে বুকে নিয়েই পূরণ করেছেন ছোটবেলার সাধ— শিখেছেন সাইকেল চালানো। মেয়ে বলে রূপার মা কখনও তাঁকে সাইকেল শেখার অনুমতি দেননি। তাই আজ যখন তিনি সাইকেল নিয়ে কাজে বেরোন রোজ, রূপার ঠোঁটের কোনে লেগে থাকে এক চিলতে হাসি। সেই হাসি জয়ীর আত্মবিশ্বাসের হাসি। বাড়ি, সংসার সবার থেকে সরে এসে রূপা জয় করেছেন তাঁর নিজের পৃথিবী— সঙ্গী সাইকেল। সাইকেলের সিটে বসে নিজের জীবন নিজেই শাসন করেন তিনি। কলকব্জার পক্ষীরাজে চেপে মুক্তির দু’ডানা মেলে দেন বদলাতে থাকা এ শহরের বুকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.