মধ্যরাতে যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসা কু্স্তিগিরদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশের হাতাহাতির অভিযোগে উত্তাল রাজধানী। বুধবারই বিশাল আধাসেনা ও পুলিশের র্যাফ বাহিনী মোতায়েন করেছিল পুলিশ। দিল্লি পুলিশের একটি দল মত্ত অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে শুরু করে। রাতে তারা আচমকাই এসে মারধর করে এবং মহিলা কুস্তিগিরদেরও গালিগালাজ করে। কুস্তিগিরদের দাবি, এতে দুই আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। কুস্তিগির বিনেশ ফোগট সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সারা দিন বৃষ্টি হওয়ার ফলে মাটি ভিজে থাকায় আমরা বিক্ষোভস্থলে খাট পাতার চেষ্টা করছিলাম। তখনই পুলিশ আমাদের উপর হামলা করে। একজনও মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন না। এই সময় ধাক্কধাক্কিতে কেউ কেউ মাথাতেও আঘাত পান।” প্রাক্তন কুস্তিগির রাজবীরের দাবি, বজরং পুনিয়ার শ্যালক দুষ্যন্ত ফোগত ও রাহুল যাদবও মাথায় চোট পেয়েছেন, ধর্মেন্দ্র নামের এক পুলিশকর্মী বিনেশ ফোগতকে গালিগালাজ করেছেন।
বুধবার মধ্যরাতের সংঘাতের পরেই দেশের কৃষকনেতাদের কুস্তিগিরদের আন্দোলনের সমর্থনে ধর্নামঞ্চে আসার ডাক দেন বজরং পুনিয়া। তাতে সাড়া দিয়ে টুইট করেন কৃষক আন্দোলনের নেতা ও ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের জাতীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত। দিল্লি পুলিশ যাঁদের ধর্নাস্থল থেকে আটক করেছে, তাঁদের নিঃশর্তে মুক্তির দাবি জানান টিকায়েত। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যসভার সাংসদ দীপেন্দ্র সিংহ হুডা ও দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। তাঁদেরকেও সাময়িক ভাবে আটক করে পুলিশ। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ব্রিজ ভূষণ শরন সিংহের বিরুদ্ধে দাখিল হওয়া সাত মহিলা কুস্তিগিরের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy