মালদহে পৌঁছলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ মালদহ স্টেশনে নামেন রাজ্যপাল। স্টেশনে কিছু ক্ষণ বিশ্রামও নেন তিনি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মিজ়োরামে নির্মীয়মাণ রেলসেতু ভেঙে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রাজ্যপাল বোসের। মিজ়োরামে মালদহের ২৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১১ জন শ্রমিকই রতুয়া ২ ব্লকের পুখুরিয়া পঞ্চায়েতের চৌদুয়ার গ্রামের বাসিন্দা। মৃতদের তালিকায় ইংরেজবাজারের পাঁচ, গাজল এবং কালিয়াচকের এক জন করে পরিযায়ী শ্রমিকের নাম রয়েছে। পুখুরিয়া এবং ইংরেজবাজারের মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে রাজ্যপাল দেখা করবেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর। মালদহ স্টেশনে আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে কৌস্তভ বলেন, ‘‘এই রাজ্যে কাজ নেই বলেই ভিন্রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন বাংলার শ্রমিকেরা। আমাদের দাবি, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়া হোক।’’
শুক্রবার সকালে বন্দে ভারতে চেপে মালদহের আসার কথা ছিল রাজ্যপালের। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেনটি বাতিল হয়ে যায়। পরে হাওড়া থেকে যুবা এক্সপ্রেসে করে মালদহে আসেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, চলন্ত ট্রেনে বসেই জনসাধারণের অভিযোগ নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন বোস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ছাত্রদের সঙ্গেও কথা বলেন। যাদবপুরের সমস্যা নিয়ে ফোনে তিনি ইসরো-র বিজ্ঞানীদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। এরই পাশাপাশি, তাঁর ‘বঙ্গপুত্র’ বইয়ের জন্যেও মালদহ নিয়ে একটি অধ্যায় লেখার কাজও তিনি ট্রেনে বসেই করেছেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy