Advertisement
৩০ মার্চ ২০২৩
State News

এখনও জলে ডুবে হিঙ্গলগঞ্জ-সন্দেশখালি-হাসনাবাদ, কবে ফিরবে আগের জীবন?

সব কিছুই ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে আমপান। বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে গাঁয়ে। তাতে ডুবেছে ঘরবাড়ি, মরেছে গবাদি পশুও।

ঘূর্ণিঝড় আমপানের তাণ্ডবে ভিটেমাটি, রুজিরুটি হারিয়ে এ ভাবে অনিশ্চিত জীবন কাটছে বহু মানুষের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ১৫:২০
Share: Save:

যত দূর চোখ যায়, জল আর জল। তাতে ডুবেছে ঘরবাড়ি-খেতখামার। সরকারি ত্রাণের চাল-ডাল জোটেনি অনেকেরই। ভিটেমাটি, রুজিরুটি হারিয়ে এ ভাবে অনিশ্চিত জীবন কাটছে হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি বা হাসনাবাদ এলাকার বহু মানুষজনের। ফের কবে ফিরে পাবেন আগেকার স্বাভাবিক জীবন? জানেন না কেউ! ঘূর্ণিঝড় আমপান (প্রকৃত উচ্চারণ উম পুন)-এর তাণ্ডবের পর পার হয়েছে গোটা সপ্তাহ। তবে এখনও সেই তাণ্ডবের ছাপ সুস্পষ্ট উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায়।

ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, তা এখনও জানা নেই হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, সন্দেশখালির ন্যাজাট বা হাসনাবাদ লাগোয়া এলাকার মানুষজনের। তবে এটুকু জানেন, সব কিছুই ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে আমপান। বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে গাঁয়ে। তাতে ডুবেছে ঘরবাড়ি, মরেছে গবাদি পশুও। কোথাও কোথাও ত্রাণ শিবির থেকে আসছে ত্রিপল বা খাবার, তবে সকলের ভাগ্যে তা জোটেনি। হিঙ্গলগঞ্জের চক পাটলি গ্রামের জয়দেব মণ্ডল যেমন একহাঁটু জলে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন, ‘‘শুধুমাত্র জলের গাড়ি আসছে। অন্ন-বস্ত্র কোনও কিছুরই ব্যবস্থা নেই।’’ অভিযোগ, গাঁয়ের ভাঙা বাঁধ মেরামতি হচ্ছে না। জলে ডুবে মৃত গবাদি পশুর দেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। চক পাটলির কয়েক জন মহিলা বলেন, ‘‘রান্নাবান্না বন্ধ। যা ত্রাণের খাবার পাচ্ছি, তা খেয়েই বেঁচে রয়েছি।’’

আমপানের ঘূর্ণিতে ভেঙেছে এলাকার নদীবাঁধ। অনেকেই বলেন, ‘‘যেমন ভাঙা ছিল, সে ভাবেই পড়ে রয়েছে সব।’’ কবে মেরামতি হবে? তা জানেন না কেউ।

আরও পড়ুন: আয়লার থেকে আমপান, বারে বারে রাস্তাই আশ্রয় হয় রশিদ গাজির

আরও পড়ুন: ‘এখন কেউ দেখে বলবে, ওটা আমাদের বসত ভিটে?’​

আরও পড়ুন: ফিরছেন ২০ হাজার শ্রমিক, চিন্তায় রাজ্য

ছবি ও ভিডিয়ো: শামিম মল্লিক ও শুভাশিস মণ্ডল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.