Advertisement
০৫ মে ২০২৪
sand mafia

Sand Mafia: মুখ খুললেই খুনের হুমকি দিচ্ছিল বালি মাফিয়ারা, অভিযোগ পেয়ে ময়দানে প্রশাসন

রায়গঞ্জ ব্লকের জগদীশপুর এবং ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের খাড়ি গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দাদের রাতের ঘুম উড়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২১ ১৮:০৩
Share: Save:

কথায় বলে পুকুর চুরি। তবে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থানার খাড়ি জগদীশপুর এবং খাড়ি গোপালপুর এলাকায় উঠছিল আস্ত নদী চুরির অভিযোগ। পাশেই নাগর নদী। অভিযোগ, সেই নদীর বালি এবং মাটি চুরি করছে মাফিয়ারা। যার জেরে আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তা আপাতত বন্ধ করেছে প্রশাসন। শুরু হয়েছে তদন্ত।
রায়গঞ্জ ব্লকের জগদীশপুর এবং ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের খাড়ি গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দাদের রাতের ঘুম উড়েছে। তাঁদের অভিযোগ বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেরই অভিযোগ, নদী থেকে বালি এবং মাটি তোলার ফলে তাঁরা অসুবিধার মুখে পড়েছেন। খাড়ি গোপালপুরের বাসিন্দা মহম্মদ রুহুলের যেমন অভিযোগ, ‘‘আমার জমির পাশ থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে। আমি চাষ করতে পারছি না। ওদের বারণ করতে গেলে আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। আবু তালেব, জাকির নামে কয়েক জন এই সব করছে। ওরা কাউকে মানে না।’’ একই অভিযোগ ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সায়েদা বিবিরও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের যা জায়গা ছিল তা নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। এখন শুধু বাড়িটা রয়েছে। ওদের বললেও শোনে না। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’’

নাগর নদীর ধার ঘেঁসে মাটি এবং বালি তোলার কাজ চলছিল জোরকদমে। অভিযোগ পেয়ে ময়দানে নামে প্রশাসন। সোমবার করণদিঘি থানা এবং রায়গঞ্জ থানার পুলিশ, ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। বালি এবং মাটি তোলার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছিলাম নাগর নদীর পাড় থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। আমরা গাড়িগুলি আটক করেছি। কার অনুমতি নিয়ে ওরা মাটি কাটছিল তার খোঁজখবর নিচ্ছি। ওরা জাতীয় সড়কের জন্য মাটি কাটছিল বলে খোঁজ পেয়েছি। তবে এ জন্য নদীর গতিপথে কোনও প্রভাব পড়বে কি না তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE