হ্যারি পটার, ফেসবুকের যুগেও বসল পুতুলের বিয়ের আসর। মাঘের হিমেল সন্ধ্যায় ধূপগুড়িতে চার হাত এক হল আয়ুষ ও বিউটির। বিয়ের পাত্র আয়ুষের ‘মা’ চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়ঙ্কা মণ্ডল। অন্যদিকে পাত্রী বিউটির মা চন্দ্রিমা সরকার পড়ে তৃতীয় শ্রেণিতে। প্রিয়ঙ্কা-চন্দ্রিমা ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। ইউটিউবে পুতুলের বিয়ে দেখে তারাও আগ্রহী হয়। তাদের ইচ্ছেপূরণে অংশ নেন বাড়ির বড়রাও। বাঙালি বাড়ির রীতিনীতি মেনে বিয়ে হল আয়ুষ-বিউটির। মন্ত্র পড়ে সব নিয়ম মেনে বিয়ে দেন পুরোহিত। তাঁর জীবনেও এই অভিজ্ঞতা প্রথম। জানিয়েছেন, ‘‘এই অভিজ্ঞতা একদম নতুন। পঁয়ত্রিশ বছর যজমানি করছি। তবে এই প্রথম পুতুলের বিয়ে দিলাম। একেবারে মানুষের বিয়ের মতোই মন্ত্র পড়ে বিয়ে দিয়েছি। রীতিনীতিতেও কোন ফারাক ছিল না।’’ বিয়েতে স্থানীয় এলাকার কচিকাঁচা-সহ আমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় ৩০০ জন।
বাঙালি শৈশবে হারিয়ে যাওয়া পুতুলের বিয়ে ফিরিয়ে আনল ‘পরিণীতা’ ছবিতে অরতি মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে সেই গানের নস্টালজিয়া। আমন্ত্রিত খুদেদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রথম বার সাক্ষী থাকল নতুন ধরনের পুতুলখেলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy