—প্রতীকী চিত্র।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাড়ি থেকে একই ভাবে উদ্ধার হল মা ও মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বটানিক্যাল গার্ডেন থানা এলাকার বাকসাড়ার সাতঘরায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতা তরুণী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। নাম সায়নী রায় (১৮)। তাঁর মায়ের নাম আলপনা রায় (৪২)। পুলিশ দেহ দু’টি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রস্তুতি ঠিক মতো না হওয়ায় গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেননি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সায়নী। এ দিন অ্যাডমিট কার্ড আনতে তাঁর স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়নী এ দিন স্কুলে অ্যাডমিট কার্ড আনতে যাওয়ার কথা মাকে জানিয়েওছিলেন। এর পরে তাঁর মা স্নানে চলে যান। স্নান সেরে শৌচাগার থেকে বেরিয়ে এসে আলপনা দেখেন, ঘরের পাখা থেকে দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে মেয়ে।
মহিলার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ওই অবস্থা থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, সায়নীর বাবা পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। ঘটনার সময়ে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে তিনিও পৌঁছে যান হাসপাতালে।
পুলিশ জানায়, আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা তরুণীর দেহের ময়না তদন্তের পরে বাকসাড়ায় ফিরে আসেন। এসে তাঁরা দেখেন, যে ঘরে যে ভাবে ওই তরুণী দড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিলেন, সেখানেই ঝুলছেন তাঁর মা-ও। হতভম্ব পরিজন ও প্রতিবেশীরা স্থানীয় বটানিক্যাল গার্ডেন থানায় খবর দেন।
পুলিশ এসে আলপনার দেহ উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায়। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, দু’জনেই আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ দু’টির ময়না তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy