(বাঁদিকে) রোহিত শর্মা এবং বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
১৫ হাজার নিরাপত্তা কর্মী। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য এমনই কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হবে র্যাফ এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের জওয়ানদের। থাকবেন হোমগার্ডেরাও। শুধু স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকবেন ১১ হাজার পুলিশ কর্মী। মুম্বই পুলিশ একটি হুমকি ইমেল পাওয়ার পর ঢেলে সাজানো হচ্ছে আমদাবাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ সব থেকে বেশি। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একটি আসনও ফাঁকা থাকবে না। তাই আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা ছিল। তবে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম করে মুম্বই পুলিশ হুমকি মেল পাওয়ার পর কার্যত দুর্গে পরিণত করা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামকে।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের বৈঠকের পর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না পুলিশ কর্তারা। আমদাবাদের পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক বলেছেন, ‘‘গত ২০ বছরে আমদাবাদে কোনও ক্রিকেট ম্যাচকে কেন্দ্র করে হিংসা বা দাঙ্গা হয়নি। তবু শহরের বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের মোতায়েন করা হবে। সতর্কতা হিসাবে আমরা এই ব্যবস্থা করছি।’’ মালিক বলেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন সাত হাজার পুলিশ কর্মী এবং চার হাজার হোমগার্ড। শহরের তিনটি জায়গায় মোতায়েন রাখা হবে এনএসজি জওয়ানদের। তৈরি থাকবে অ্যান্টি ড্রোন স্কোয়াড। বম্ব স্কোয়াডের ন’টি দলকে তৈরি রাখা হবে। গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করবেন ইন্সপেক্টর জেনারেল বা ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পদ মর্যাদার চার জন আইপিএস আধিকারিক। থাকবেন ২১ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক। স্টেট রিজার্ভ পুলিশের ১৩টি কোম্পানি এবং তিন কোম্পানি র্যাফ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় থাকবে। ক্রিকেটপ্রেমীদের সাহায্য করার পাশাপাশি জওয়ানেরা সর্ব ক্ষণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন। বিশেষ নজর রাখা হবে শহরের সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে।’’
আমদাবাদের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ১৪ অক্টোবর তৈরি রাখা হবে স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স এবং ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সকেও। খেলা চলাকালীন যে কোনও রকম রাসায়নিক, জৈবিক, রেডিয়োলজিক্যাল এবং নিউক্লিয়ার জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আমরা। আমদাবাদ পুলিশ সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার নিরাপত্তা কর্মী ১৪ অক্টোবরের ম্যাচের জন্য মোতায়েন করা হতে পারে।
লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম করে ভারত-পাক ম্যাচের দিন স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়া এবং প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করার হুমকি ইমেলটি কোথা থেকে এসেছে, তা এখনও জানা যায়নি। মুম্বই পুলিশ এবং আমদাবাদ পুলিশ তদন্ত করছে। সলমন খানকে হত্যার পরিকল্পনা-সহ নানা গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে। সে এখন জেলবন্দি হলেও হুমকি মেলটিকে হালকা ভাবে নিচ্ছেন না পুলিশকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy