Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

১৪ অক্টোবর ২০২৪ ই-পেপার

Phuchka: ফুচকা খুব প্রিয়? কলকাতার কোন কোন এলাকায় অপেক্ষা করছে চমক

দেশের উত্তরাঞ্চলে গোলগাপ্পা আর পশ্চিম সীমান্তে পানিপুরি নামে পরিচিত। আবার বিহার ও ওড়িশার লোকেরা ফুচকাকে গুপচুপ বলে ডাকেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:৪২

মধ্যযুগের সুলতানরা এই কুড়মুড়ে খাবারটিকে নাকি বলতেন ‘পানি কে বাতাশে’

দেশের উত্তরাঞ্চলে গোলগাপ্পা নামে পরিচিত। পশ্চিম সীমান্তের বাসিন্দারা পানিপুরি বলেন। মধ্যযুগের সুলতানরা এই কুড়মুড়ে খাবারটিকে নাকি বলতেন ‘পানি কে বাতাশে’। আবার বিহার ও ওড়িশার লোকেরা একেই গুপচুপ নামে ডাকেন। অথচ আলু এবং তেঁতুলের জলের সুস্বাদু মিশ্রণে ঠাসা এই ফুচকা যদি আপনি কলকাতার রাস্তার বিখ্যাত কিছু দোকানে চেখে না দেখেন, তবে এ শহরের মূল আবেদন অনেকটাই অধরা থেকে যাবে।

রাসেল পার্ক

কলকাতা শহরের রাসেল পার্কে ফুচকার আলুতে পুদিনা এবং হিংয়ের অনন্য স্বাদ অনুভব করতে পারেন। এ ছাড়া এখানকার তেঁতুল জলের খ্যাতিও ছড়িয়ে পড়েছে অনেক দূর পর্যন্ত। বিক্রেতা এখানে মশলা বাইরে থেকে না কিনে নিজেই তৈরি করেন।

Advertisement

বিবেকানন্দ পার্ক

কলকাতার বিবেকানন্দ পার্কের ফুচকা বহু বার খবরের শিরনামেও উঠে এসেছে। ফুচকা ছাড়াও চুরমুর এবং চাট এখানে বিক্রি হয়। অনেকেই বলেন এমনি ফুচকার চেয়েও এখানকার সেরা খাবার হল দই ফুচকা। এ ছাড়া চাটনি ফুচকাও বেশ জনপ্রিয়। খেজুর, আমের শাঁস এবং পুদিনা দিয়ে বিশেষ মুখরোচক ভাবে তৈরি হয়।

 যদি আলু দিয়ে ফুচকা খেতে না পারেন, তবে চলে যান চক্রবেরিয়ায় ট্রায়াঙ্গুলার পার্কের কাছে।

যদি আলু দিয়ে ফুচকা খেতে না পারেন, তবে চলে যান চক্রবেরিয়ায় ট্রায়াঙ্গুলার পার্কের কাছে।


বরদান মার্কেট

কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিট মূলত অফিসপাড়া। এখানকার ফুচকা বিশেষ প্রিয় আশপাশের অঞ্চলে। ধনে, মৌরি, জিরে এবং কসুরি মেথির মতো মশলার স্বাদ এখানকার ফুচকাকে একেবারেই ব্যতিক্রমী করে তুলেছে। এই অঞ্চলে সাধারণত ছয়টি ফুচকা পাওয়া যায় কুড়ি টাকায়। যা কলকাতার অন্য অঞ্চলের ফুচকার দামের থেকে একটু বেশি।

চক্রবেরিয়া

আপনি যদি আলু দিয়ে ফুচকা খেতে না পারেন, তবে সটান চলে যান চক্রবেরিয়ায় ট্রায়াঙ্গুলার পার্কের কাছে। এখানে দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে যে ফুচকা ব্যবসায়ী সারা শহরে খ্যাতি পেয়েছেন। তিনি আলুর পরিবর্তে কাঁচা সবুজ কলা ব্যবহার করেন। মূলত জৈন সম্প্রদায়ের মানুষের কথা মাথায় রেখেই উদ্ভাবন করা হয়েছে এই অভিনব উপায়। জল, মরিচ, সেদ্ধ ছোলা এবং কলা ফুচকার পুর তৈরিতে ব্যবহার হয়। তেঁতুলের জলে ব্যবহার হয় পুদিনা পাতাও।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল

এই অঞ্চলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের প্রধান ফটকের সামনে ফুচকার দোকানে গত কয়েক দশক ধরে মানুষের ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। আলু, তেঁতুল আর পুদিনা দিয়ে মাখা আলুর পুর অনেকে আলাদা করে কিনেও নিয়ে যান। দই ফুচকা, চাটনি ফুচকা, শুকনো ফুচকাও বিক্রি হয় এখানে। শুধুমাত্র কলকাতা শহরের মানুষই নন, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখে বেরোনোর পর অনেক ভিনদেশি মানুষকেও এখানে ফুচকা খেতে দেখা যায়, নিয়মিত।

Advertisement