রেস্তরাঁর রান্না এবার বাড়িতেই।
আজকাল মেয়েদের ঘর ও বাইরে দুই-ই সামলাতে হয়। এ দিকে ছেলে-মেয়ের হাজার বায়নাক্কা খাবার নিয়ে। সঙ্গে নিজের চাকরির প্রেশার। এইসব কিছু সামলাতে গিয়ে রান্নাবান্নার প্রায় সময় থাকে না বললেই চলে। তবে মাইক্রোআভেন হেঁশেলে ঢোকার পরে সেই টেনশন কিছুটা হলেও কমে গিয়েছে। পুজোর আগে রইল স্বাদু রান্নার জাদু রেসিপি!ট্রাই করুন আর খুশি করুন বাড়ির ভোজনরসিকদের।
এমন কিছু রান্না আছে, যা রেস্তোরাঁয় খেলেও বাড়িতে বানানোও সহজ, তবে যদি ঠিক উপায় জানেন। মাইক্রো আভেন থাকলে এ সব খাবার বানানোও সহজ আর সময়ও কম লাগে। পুজোর ক’দিন তাই চার বেলাই বাইরে না খেয়ে মাঝেমধ্যে হেঁশেলেও ঢুকুন।
আপনাদের পছন্দের দু’টি রান্না মিট লোফ ও জিরে ইলিশ বানানোর সহজ উপায় রইল এখানে। পুজোয় কি আর মাছ-মাংস ছাড়া থাকা যায় বলুন!
আরও পড়ুন: মাইক্রো আভেনে এই সব রান্না করে দেখেছেন কখনও? না করলে এই পুজোয় ট্রাই করুন
আরও পড়ুন: বাড়ির হেঁশেলেই তৈরি হোক রেস্তরাঁর খানা
মিট লোফ
উপকরণ
মটন কিমা: ২৫০ গ্রাম
চিজ (কুরিয়ে নেওয়া): ৪টি কিউব
সিদ্ধ আলু: ২টি (মাঝারি সাইজ)
ডিম: ৪টি
ব্রেড ক্রাম্ব: ৩ টেবিল চামচ
উস্টার সস:৩চা চামচ
চিলি সস: ১ চা চামচ
টম্যাটো সস: ১ টেবিল চামচ
রসুন কুঁচি: ১ টেবিল চামচ
পিঁয়াজ কুঁচি: ২ টেবিল চামচ
কাঁচালঙ্কা কুঁচি: ১ চা চামচ
পার্সলে কুঁচি: ১ টেবিল চামচ
কাসুন্দি: ২ চা চামচ
দুধ: ৪ টেবিল চামচ
মাখন: ৫০ গ্রাম
নুন ও মরিচ: স্বাদমতো
প্রণালী
নুন দিয়ে মেশানো কিমা ১ কাপ জলে দিয়ে ঢাকা দিন। ১০০% পাওয়ারে মাইক্রো করুন ১০ মিনিট। কিমা সিদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে নিন। সিদ্ধ কিমাতে সব রকম সস, কাঁচালঙ্কা, কাসুন্দি, পার্সলে কুঁচি, রসুন কুঁচি, পিঁয়াজ কুঁচি, নুন মেশান।মরিচ ও আলুসিদ্ধ একসঙ্গে মেখে নিয়ে একটা মণ্ড তৈরি করুন। এরপর ব্রেড ক্রাম্বও মিশিয়ে নিন মণ্ডটির সঙ্গে। ডিম ও দুধ ভাল করে নুন ও মরিচ দিয়ে ফেটিয়ে নিন।
একটা ফ্ল্যাট মাইক্রোপ্রুফ পাত্র গ্রিস করে নিন মাখন দিয়ে। এবার ফেটানো ডিমের অর্ধেকটা পাত্রে ঢেলে দিন। তার উপর দিয়ে দিন কিমা-আলুর মিশ্রণ। বাকি ফেটানো ডিম দিয়ে ঢাকা দিন আলু ডিমের মিশ্রণ। উপর থেকে কোরানো চিজ দিন। ১০ মিনিট মাইক্রো করুন ১০০% পাওয়ারে, মাইক্রো মোডে। আর যদি আপনার মাইক্রো-আভেনে কনভেকশন মোড থাকে, তবে কনভেকশন মোডে গিয়ে ২০০ ডিগ্রিতে ২৫ মিনিট বেক করুন। গরমাগরম পরিবেশণ করুন গার্লিক ব্রেডের সঙ্গে।
মিট লোফ যদি সপ্তমীর রাত জমিয়ে দেয়, তবে নবমীর সকালটা তোলা থাক ইলিশের জন্য। অষ্টমীর দিন নিরামিষ খাওয়ার চল আছে অনেক বাড়িতেই। তাই নিরামিষের পর জিভে তাড় আনুক ইলিশের ভেল্কি।
আরও পড়ুন: খাস চিন থেকে আসে মশলাপাতি, তার পর চাপে ‘চাউম্যান’-এর রান্না
জিরে ইলিশ একটি পূর্ববঙ্গীয় পুরনো রান্না। সবসময় তো সরষে ইলিশ খেয়েই থাকেন। এবার এই জিরে ইলিশে মজুন।
জিরে ইলিশ
উপকরণ
ইলিশ মাছ: ৮ পিস
জিরে বাটা: ৩ টেবিল চামচ (মিহি করে বাটা)
তেজপাতা: ২টি
কাঁচালঙ্কা: ৩টি চেরা
হলুদ গুঁড়ো- দেড় চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ২ চা চামচ
সরষের তেল- ১/২ চা চামচ
নুন- স্বাদমতো
প্রণালী
মাছ ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এ বার সব উপকরণ মাছের সঙ্গে ভাল করে মাখিয়ে রাখুন আধ ঘন্টা। এরপর একটি মাইক্রোপ্রুফ ফ্ল্যাট পাত্রে ভাল করে মশলা মাখা মাছগুলো সাজিয়ে দিন। ঢাকা দিয়ে মাইক্রো করুন ১০ মিনিট ১০০% পাওয়ার লেভেলে। ব্যস, আপনার জিরে ইলিশ তৈরি! গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।