প্রতীকী চিত্র
পুজো প্রায় এসেই গেল। আর মাত্র কয়েকটা দিন। পুজোর নতুন পোশাকে নজর কাড়তে গেলে ওজন কমাতে হবে। এ দিকে, ব্যায়াম করেও লাভ হচ্ছে না তেমন। তা হলে কি খাওয়াদাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে? একেবারেই না। খুব বেশি বাইরের খাবার না খেলেই হল। ঘরোয়া খাবার খান। সঙ্গে চটজলদি ওজন কমাতে চাইলে ভরসা রাখুন দারচিনির জলে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তা খুবই কার্যকরী।
দারচিনির জলের উপকারিতা:
১.বিপাক ক্রিয়া বাড়ায়, ফলে শরীর দ্রুত ক্যালোরি খরচ করে।
২.রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, অকারণে খিদে কম পায়।
৩.হজম ভাল করে, ফলে শরীরের ফোলা ভাব কমে।
৪.ফ্যাট জমা আটকাতে সাহায্য করে, বিশেষত পেটের অংশে। ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল-সহ নানা শারীরিক সমস্যায় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
কী ভাবে বানাবেন দারচিনির জল?
এক কাপ উষ্ণ গরম জলে এক চামচ দারচিনির স্টিক বা গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। ৯-১০ মিনিট ঢেকে রেখে ফোটান, যাতে ভাল ভাবে মিশে যায়। তার পরে জল ছেঁকে নিয়ে হালকা গরম গরম খেয়ে নিন। চাইলে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে কখনওই গরম জলে মধু দেবেন না।
মেদ কমাতে দারচিনির জল খাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময়—
১.সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। এই সময়ে ডিটক্স ওয়াটার হিসাবে দারচিনির জল খান।
এতে সকালেই পেট সাফ হয়ে যাবে এবং শরীর টক্সিনমুক্ত থাকবে।
২.খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে জিমে গিয়ে প্রচণ্ড পরিশ্রম করছেন। শরীরচৰ্চা শেষ করেও দারচিনির জল খেতে পারেন। এতে পেশির ক্ষয় দ্রুত নিরাময় হবে এবং ক্লান্তি দূর হবে।
৩. রাতে শোওয়ার আগে দারচিনির জল খেতে পারেন। এতে হজম ভাল হয়, শরীথেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। চর্বি ভাঙতেও সাহায্য করে দারচিনির জল। এতে পেটের গোলমাল এড়াতে পারবেন, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৪.ডায়াবিটিসের রোগী ওজন বশে চাইলে দুপুর বা রাতে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে দারচিনির জল খান। এতে পেট ভরবে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও কমবে। এ ভাবেও ওজন কমাতে পারেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।