দুর্গাপুজোর সময়ে অনেকেই উপোস করেন। কিন্তু এই উপবাসের সময়ে শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই সারা দিন পর্যাপ্ত জল পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জল শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং ক্লান্তি দূর করে। ডাবের জল, লেবুর জল বা হালকা ফলের রসও পান করতে পারেন।
উপোসের সময়ে খাদ্যতালিকায় ফল ও সবজি রাখুন। ফল ও সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার থাকে, যা শরীরকে পুষ্টি জোগায় এবং হজমে সাহায্য করে।
উপোস ভাঙার পরে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। এটি শরীরকে শক্তি জোগায় এবং পেশী মজবুত রাখে। দুধ, পনীর, দই এবং বাদামের মতো খাবার আপনার উপবাসকালীন দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
এক বারে বেশি পরিমাণ খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খান। এটি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করবে এবং শরীরে অতিরিক্ত চাপ দেবে না। এর ফলে সারা দিন শরীর সতেজ থাকবে।
উপোসের পরে অনেকেই ভাজাভুজি বা ভারী খাবার খান। এটি হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর পরিবর্তে হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিন। যেমন- সেদ্ধ সবজি, স্যালাড বা শুকনো ফল।
মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে ভাল লাগলেও, উপোসের সময়ে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। এতে হঠাৎ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এবং পরে ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।
উপোসের সময়ে শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া খুব জরুরি। তাই পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে এবং পরের দিনের জন্য শক্তি জোগাবে।
উপোস করাকালীন খুব বেশি কঠোর ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন। পরিবর্তে যোগব্যায়াম, হালকা হাঁটা বা স্ট্রেচিং করতে পারেন। এগুলি শরীরকে সচল রাখবে এবং মন শান্ত করবে।
উপোসের সময়ে শরীর এবং মন উভয়কেই শান্ত রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ধ্যান বা মেডিটেশন আপনার মন শান্ত রাখতে সাহায্য করবে এবং মানসিক চাপ কমাবে। এটি উপবাসের ক্লান্তি দূর করতেও সহায়ক।
উপোস করলে শরীরের বাইরের পরিচ্ছন্নতাও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত হাত ধোওয়া এবং নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা আপনাকে সংক্রমণ থেকে দূরে রাখবে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।