প্রতীকী চিত্র।
চলতি মাসেই বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (বিসিআই) পরিচালিত অল ইন্ডিয়া বার এগজ়ামিনেশন (এআইবিই) আয়োজন করা হবে। ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে অ্যাডমিট কার্ড। এ বার পরীক্ষার্থীদের জন্য নানা নিয়মবিধিও জানাল বিসিআই।
আগামী ৩০ নভেম্বর দেশ জুড়ে এআইবিই-র বিংশতম সংস্করণের পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য গত ১৫ নভেম্বর অ্যাডমিট কার্ড প্রকাশ করা হয়। এ বার এআইবিই-র ওয়েবসাইট http://allindiabarexamination.com/-এ পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে বার কাউন্সিল।
নিয়মবিধি:
৩০ নভেম্বর অফলাইনে একটিই শিফটে নেওয়া হবে পরীক্ষা— দুপুর ১টা থেকে শুরু বিকেল ৪টে পর্যন্ত।
১) নির্ধারিত পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে পৌঁছে যেতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের পর ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরীক্ষার্থীকেন্দ্রে পৌঁছতে যাতে দেরি না হয়, তা জানতে আগে থেকেই একবার স্থান পরিদর্শন করে নিতে পারেন তাঁরা।
২) পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে রাখতে হবে অ্যাডমিট কার্ড এবং সরকারি সচিত্র প্রমাণপত্র।
৩) ‘ওএমআর’ শিটে শুধু নীল বা কালো ‘বলপয়েন্ট’ কলমে উত্তর চিহ্নিত করতে হবে। পেন্সিল ব্যবহার করা যাবে না।
৪) ‘ওএমআর’ শিটে নিজেদের রোল নম্বর, কোয়েশ্চেন বুকলেট সেট কোড এবং অন্য তথ্য সঠিক ভাবে লিখতে হবে।
৫) বিশেষ ভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের ‘ডিসেবিলিটি সার্টিফিকেট’ সঙ্গে রাখতে হবে। সেই অনুযায়ী তাঁদের জন্য অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করা হবে।
৬) পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে সক্ষমদের সঙ্গে রাখতে হবে নিজেদের ‘স্ক্রাইব’ অর্থাৎ যাঁরা তাঁদের পরীক্ষার উত্তর লিখে দেওয়ার জন্য সাহায্য করবেন। এ ক্ষেত্রে ‘স্ক্রাইব’-দের নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা জরুরি। পাশাপাশি, তাঁদের পরিচয়পত্র-সহ বাকি নথিও সঙ্গে রাখতে হবে।
৭) পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ, ক্যালকুলেটর, ব্যাগ, বই, খাতা বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট সঙ্গে নিয়ে ঢোকা যাবে না। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে। অন্য কোনও অসাধু উপায় অবলম্বন করলেও বাতিল হবে পরীক্ষা।
৮) ‘ওএমআর’ শিট জমা না দিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র ছেড়ে বেরনো যাবে না।
বার কাউন্সিল জানিয়েছে, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য অসংরক্ষিত পরীক্ষার্থীদের ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। সংরক্ষিতদের জন্য প্রয়োজন ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নম্বর।
উল্লেখ্য, আইনজীবী হিসাবে কোর্টে কাজ করার জন্য পেশাগত যোগ্যতা যাচাই করা হয় এআইবিই-র মাধ্যমে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই তাঁদের হাতে সেই শংসাপত্র দেওয়া হয়।