প্রতীকী চিত্র।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকস্তরে পরীক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার জন্য সিন্ডিকেটের অনুমতি নিয়ে কমিটি গঠন করল বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রায় তিন বছর বাদে স্থায়ী উপাচার্যের নেতৃত্বে বিকাশ ভবনের অনুমতি ছাড়াই আয়োজিত হল সিন্ডিকেট বৈঠক। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ৬০টি বিষয় ছিল আলোচ্য তালিকায়। এছাড়াও আরও পাঁচটি ওন টেবিল বিষয়ও ছিল। তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল পরীক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ও পঠন-পাঠনের নিয়ম বদলের সিদ্ধান্ত।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয় সেমিস্টার পদ্ধতিতে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রত্যেক সেমিস্টারে ক্লাস ধার্য করা হয়েছে ৯০ দিনের। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ১৬০টি কলেজ রয়েছে সরকারি ও সরকার পোষিত মিলিয়ে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সরকারি কলেজ ছাড়া সরকার পোষিত সমস্ত কলেজ গুলিতে এই ক্লাস হয় কোথাও ৩০ থেকে ৩৫ দিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘কম করে ৬০ থেকে ৭০ দিন ক্লাস না করলে ছাত্র-ছাত্রীরা মেধাগত ভাবে অনেক পিছিয়ে পড়বে। তাই ক্লাস ও পরীক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেটে। ধাপে ধাপে আমরা এই পরিবর্তন আনব।’’
প্রথম ধাপ হিসাবে একটি কমিটি গঠন করতে চলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া এই দিনের বৈঠকে বেশ কিছু প্রস্তাবও উঠে এসেছে। সেগুলি হল প্রথম ও তৃতীয় সেমিস্টার আলাদা করে না নিয়ে একই সময়ে করানো। যাতে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস বন্ধ করতে না হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ সরকার পোষিত কলেজগুলিতে তিনটি লম্বা ছুটি রয়েছে। দুর্গাপুজো, গরমের ছুটি ও শীতকালীন ছুটি। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের বেশ কিছু লম্বা ছুটির কোনও অনুমোদন নেই। তাই আমরা আমাদের স্ট্যাটুট বা আইনের পরিবর্তনের প্রস্তাবও এনেছি। এতে কলেজগুলিতে ক্লাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
এ প্রসঙ্গে আশুতোষ কলেজের অধ্যক্ষ কলেজে অধ্যক্ষ মানস কবি বলেন, ‘‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র স্বার্থে পরীক্ষা ব্যবস্থা ও ক্লাসের সংখ্যায় পরিবর্তন আনতে চাইছেন। সেটা অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ। তবে যে কমিটি গঠন করা হচ্ছে তাতে যেন প্রিন্সিপালরা থাকেন সেটাই আমরা চাই।’’