এমস দিল্লি। ছবি: সংগৃহীত।
দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চান যে সব মেধাবীরা, তাঁদের প্রথম পছন্দ অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)। বিশেষত এমস দিল্লি। গত কয়েক বছরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (এনআইআরএফ)-এর পরিসংখ্যান দেখলে তালিকার শীর্ষে এই প্রতিষ্ঠানের নামই উজ্জ্বল। এ ছাড়াও সারা দেশে আরও ২৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের র্যাঙ্কিং তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
সাধারণত, এমস-এ ডাক্তারি পড়ার প্রথম ধাপ অর্থাৎ মেডিক্যালে স্নাতক (এমবিবিএস)-এ ভর্তির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় ভাবে আয়োজিত নিট ইউজি (ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট-আন্ডার গ্র্যাজুয়েশন)-এ প্রাপ্ত নম্বরকে। এ ক্ষেত্রে এমস-এর তরফে নিজস্ব কোনও প্রবেশিকার আয়োজন করা হয় না।
কিন্তু শুধুই এমবিবিএস নয়। বর্তমানে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কাজের জন্য একাধিক বিষয় পড়ার সুযোগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে। এমস-এর মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তেমন বিষয় নিয়ে পড়তে চাইলে কিছু আলাদা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যোগ্যতা মানও ভিন্ন। যেমন—
১) প্রতিষ্ঠান থেকে যাঁরা প্যারামেডিক্যালের স্নাতক স্তরের কোর্স করতে চান, তাঁদের জন্য সর্বভারতীয় স্তরে আয়োজন করা হয় এমস প্যারামেডিক্যাল এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন। এই প্রবেশিকায় উত্তীর্ণরা প্যারামেডিক্যালে বিএসসি কোর্স করতে পারেন। স্পেশালাইজ়েশন করার সুযোগ থাকে মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজি, অপারেশন থিয়েটার টেকনোলজি-র মতো নানা বিষয়ে।
২) এমস থেকে নার্সিং-এর যে দু’টি কোর্স পড়া যায় সেগুলি হল— বিএসসি নার্সিং (অনার্স) এবং বিএসসি নার্সিং (পোস্ট বেসিক)। এই দু’টি পরীক্ষার জন্য আয়োজন করা হয় দু’টি পৃথক প্রবেশিকা পরীক্ষা। এ ছাড়া এমএসসি করার জন্যও আলাদা পরীক্ষার আয়জন করা হয়।
৩) প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তরের এমডি, এমএস, এমডিএস, ডিএম, এমসিএইচ কোর্সে ভর্তির জন্য জাতীয় স্তরে আয়োজন করা হয় ইনস্টিটটিউটস অফ ন্যাশনাল ইম্পরটেন্স কম্বাইন্ড এন্ট্রান্স টেস্ট (আইএনআই-সেট)-এর।
৪) এ ছাড়া, দেশের বিভিন্ন এমস-এ ডিপ্লোমা, পিজি ডিপ্লোমা, অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা বা পোস্ট ডক্টরাল সার্টিফিকেট কোর্স পড়ানো হয় নানা বিষয়ে। সে ক্ষেত্রেও আলাদা ভাবে প্রবেশিকার আয়োজন করা হয়। যেমন— এমস কল্যাণীতে ডেন্টাল হাইজিন এবং ডেন্টাল মেকানিক্সে ডিপ্লোমা কোর্স পড়ানো হয়। এমস রায়পুরে পড়ানো হয় অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা ইন রেডিয়োথেরাপি টেকনোলজি। এমস দিল্লিতে ক্লিনিক্যাল এম্ব্রায়োলজি-সহ নানা বিষয়ে পিজি ডিপ্লোমা পড়ানো হয়।