ভয়, আতঙ্কের কালো ছায়ার সঙ্গে থাইরয়েড হরমোনের সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে গবেষণা চলছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতীকী চিত্র।
‘ট্রমা’-র অভিঘাত দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠতে পারে। কোনও দুর্ঘটনা বা শোকের রেশ বহু দিন থেকে যেতে পারে। এর জেরে ভয় চেপে বসে মনের গভীরে। সেই ভয়, আতঙ্কের কালো ছায়ার সঙ্গে থাইরয়েড হরমোনের সম্পর্ক কেমন, প্রভাবই পড়ে কী ভাবে, তা নিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সায়েন্সেস-এ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ওই পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজে জুনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসাবে যোগ্য ব্যক্তিকে বেছে নেওয়া হবে। এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণায় আগ্রহীদের প্রাণিবিদ্যা (বায়োলজি) বিষয়ে স্নাতকোত্তর যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়াও উল্লিখিত বিষয়ে ইন্টিগ্রেটেড ব্যাচেলর অফ সায়েন্স-মাস্টার অফ সায়েন্স (বিএস-এমএস) কোর্স করেছেন, এমন ব্যক্তিরাও আবেদনের সুযোগ পেতে পারেন। তবে, উভয় ক্ষেত্রেই জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ বা লেকচারশিপ লেভেলের ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট) কিংবা গ্র্যাজুয়েশন অ্যাপটি়টিউড টেস্ট (গেট) উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন। শূন্যপদ একটি।
সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্পে অনুসন্ধান ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (এএনআরএফ) কোর রিসার্চ গ্রান্ট থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। ওই সংস্থার তরফে প্রতি মাসে ৩৭ হাজার টাকা পারিশ্রমিক হিসাবে বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়াও নিযুক্তকে প্রতি মাসে বাড়ি ভাড়া বাবদ ভাতাও দেওয়া হবে।
মোট এক বছরের চুক্তিতে নিযুক্ত ব্যক্তিকে কাজ করতে হবে। কাজের পাশাপাশি, তিনি পিএইচডি করার সুযোগও পাবেন। বিষয়টি নিয়ে আগ্রহীদের সরাসরি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে বাছাই করা হবে। ৭ অগস্ট তাঁদের জীবনপঞ্জি, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কর্মজীবনের শংসাপত্র-সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সায়েন্সেস ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকতে হবে।