প্রতীকী ছবি।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অনুত্তীর্ণ হয়েও সেমেস্টার পদ্ধতিতে নতুন করে পড়ার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা একাদশে পাশ করেও পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছেন কিংবা টেস্টে অনুত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁরা নতুন বিষয় নিয়ে নতুন করে পড়ার সুযোগ পাবেন।
সংসদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা একাদশে ভর্তি হয়েও দ্বিতীয় সেমেস্টারে অনুত্তীর্ণ হয়েছিলেন, তাঁরা বিজ্ঞান, কলা কিংবা বাণিজ্য বিভাগের বিভিন্ন বিষয় নতুন করে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা পূর্বে কোন বিভাগে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন, তার কোনও গুরুত্ব আর থাকছে না। শিক্ষার্থীদের যাতে বছর নষ্ট না হয়, তাই তাঁদের জন্য ‘ফ্রেশ স্ট্রিম’ বেছে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান, কলা কিংবা বাণিজ্য বিভাগের কোনও একটি বিষয় নিজের পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারবেন পড়ুয়ারা।
এ ছাড়াও পুরোনো সিলেবাস থাকাকালীন একাদশে উত্তীর্ণ কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়নি, টেস্টে অনুত্তীর্ণ হয়েছেন কিংবা পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেননি— এমন পড়ুয়ারাও সেমেস্টার পদ্ধতিতে একাদশে নতুন করে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। সে ক্ষেত্রে নতুন বিষয় বেছে নিতে পারবেন তাঁরা। একই সঙ্গে, পুরোনো পাঠ্যক্রমে পড়াশোনা করেছেন, এমন শিক্ষার্থীরা চাইলে নতুন পাঠ্যক্রমের অধীনে সেমেস্টার ব্যবস্থার অধীনে একাদশে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেম। তাঁরাও বিজ্ঞান, কলা কিংবা বাণিজ্য বিভাগের বিভিন্ন বিষয় নতুন করে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে ২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা পড়ুয়াদের পরিস্থিতি বিচার করে তাদের জন্য উপযুক্ত সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। তাই কিছু নিয়মে শিথিলতা আবশ্যক।” একই সঙ্গে, পুরোনো সিলেবাস থাকাকালীন যে পড়ুয়ারা দু’টির বেশি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন, তাঁদের ‘কন্টিনিউয়িং ক্যান্ডিডেট’ (সিসি) এবং যাঁরা একটি বা দু’টি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন, তাঁদের ‘স্পেশাল ক্যান্ডিডেট’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে পুরোনো পাঠ্যক্রমেই ‘রেগুলার’ বা ‘সিসি’ কিংবা ‘স্পেশাল ক্যান্ডিডেট’দের কাছেও পড়াশোনা সম্পূর্ণ করার সুযোগ থাকছে।
এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশনের সাহায্যে পুরোনো বার্ষিক পরীক্ষা পদ্ধতির বদলে সেমেস্টার পদ্ধতিতে নতুন সিলেবাসে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তৃতীয় এবং চতুর্থ সেমেস্টারে তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে ২৫ এপ্রিল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।