প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমাতে হলে দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ কমানো উচিত। ধরা যাক, কেউ প্রতি দিন ডায়েটে ২ হাজার কিলোক্যালোরির খাবার খেয়ে থাকেন। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য ওই ব্যক্তির ২ হাজারের কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। কারণ ক্যালোরি কমলে, শরীর তখন প্রয়োজনীয় শক্তি দেহের ফ্যাট থেকে সংগ্রহ করে।
কিন্তু ক্যালোরি গ্রহণ কমালেও চটজলদি ফল পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, মেশিনে মাপলেও বিভিন্ন কারণে ওজন একই দেখাতে পারে। নেপথ্যে রয়েছে হরমোনের তারতম্য, খাওয়াদাওয়ার ধরন ইত্যাদি। পার্থক্য লক্ষ করার জন্য এক সপ্তাহ থেকে এক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই ওজন কমছে কি না, অনেকেই বুঝতে পারেন না। ফলে হতাশ হয়ে আবার বেশি ক্যালোরির খাবার খাওয়া শুরু করেন। কিন্তু কয়েকটি লক্ষণে বোঝা সম্ভব যে, ওজন কমছে।
১) ওজন যদি কমতে শুরু করে, তা হলে পোশাক পরলে তা বোঝা যায়। একই পোশাক হয়তো আগে ফিট হত না। কিন্তু এখন সেটাই যদি ঢিলেঢালা হয়, তা হলে বুঝতে হবে ওজন কমছে।
২) কম ক্যালোরির খাবার খাওয়া শুরু করলে খিদের ইচ্ছেও একটা সময়ের পর কমতে থাকে। ফলে আগের থেকে খিদে কম পায়।
৩) ওজন কমলে শরীরের ক্লান্তি কমবে। অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠবেন না। পাশাপাশি, শরীরে কাজ করার এনার্জিও বাড়বে।
৪) ওজন বেশি থাকার সময়ে অনেকেই হয়তো শরীরচর্চায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু কম ক্যালোরির খাবার খাওয়ার জন্য যদি ওজন কমে, তা হলে অনেকেরই নতুন করে শরীরচর্চায় আগ্রহ জন্মায়।
৫) শরীরে নিয়মিত কম ক্যালোরি প্রবেশ করলে ঘুমের গুণগত মানও উন্নত হয়। ফলে রাত জেগে অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাক খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ হবে। পাশাপাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরনেও পরিবর্তন আসবে।