প্রতীকী চিত্র।
কর্মব্যস্ত জীবন উদ্বেগে পরিপূর্ণ। সারা দিনের ক্লান্তির পর অনেকেই ভাল করে ঘুমোতে পারেন না। কেউ কেউ তার জন্য নিয়মিত ঘুমের ওষুধও খান। তবে খুব সহজেই কয়েকটি কৌশলে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
আমেরিকান উদ্যোগপতি ডেভ অ্যাসপ্রে দীর্ঘ দিন ফিটনেস এবং ডায়েট নিয়ে কাজ করছেন। স্বাস্থ্যকর খাবার প্রসঙ্গে তাঁর প্রচারিত মতামত ‘বুলেটপ্রুফ ডায়েট’ নামে পরিচিত। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ভালো ঘুমের জন্য দু’টি কৌশল জানিয়েছেন তিনি। ডেভের মতে, ভাল ঘুমের জন্য শোয়ার ঘরে লাল আলো এবং কালো পর্দা প্রয়োজন।
কেন লাল আলো
সভ্যতার আদি লগ্ন থেকেই সূর্যাস্তের পর আলোর উৎস চাঁদ এবং আগুন। অর্থাৎ সাধারণত রাতে উজ্জ্বল আলো থাকে না। কিন্তু আধুনিক সমাজে রাতে শহর এবং গ্রাম আলোকোজ্জ্বল। রাতে উজ্জ্বল আলোয় ঘুমালে মস্তিষ্ক সেই সময়টিকে দিন বলেই মনে করে। তার ফলে দেহে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। তার ফলে উদ্বেগ এবং অবসাদ আরও বেশি বৃদ্ধি পায়।
রাতে ডিজিটাল পর্দা থেকে নির্গত নীল আলো ক্ষতিকারক। সেখানে লাল আলো অনেক বেশি নিরাপদ এবং তা শরীরে মেলাটোনিন তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে না। তাই শোয়ার ঘরে রাতে লাল আলো জ্বললে ভাল ঘুম হয়।
জানলার পর্দা
বাজারে নানা ধরনের পর্দা কিনতে পাওয়া যায়। তবে ডেভের মতে, ভালো ঘুমের জন্য এমন পর্দা ব্যবহার করা উচিত, যার মধ্যে দিয়ে ঘরে আলো প্রবেশ করবে না। জানলায় পর্দা না থাকলে বাইরের আলো ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। অন্য দিকে সূর্যোদয়ের সময়ে আলো ঘরে প্রবেশ করলে অনেক সময়েই ঘুম ভেঙে যায়।
ঘুমোনোর সময়ে জানলা পর্দায় ঢাকা থাকলে ঘর অন্ধকার থাকে। তার ফলে ‘সির্কাডিয়ান রিদ্ম’ সম্পর্কে মস্তিষ্কের কোনও ভুল ধারণা তৈরি হয় না। ঘুমের গুণগত মানও আরও উন্নত হয়।