প্রতীকী চিত্র। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
সময়ের সঙ্গে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তাঁদের মধ্যে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তদের সংখ্যাও বাড়তির দিকেই। নেপথ্যে রয়েছে অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, স্থূলত্ব এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, আমেরিকার প্রতি চার জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে এক জন ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। অন্য দিকে, দিল্লি এমস জানিয়েছে, বয়সনির্বিশেষে প্রায় ৩৮ শতাংশ ভারতীয় কোনও না কোনও ভাবে ফ্যাটি লিভারে (নন অ্যালকহলিক) আক্রান্ত।
যকৃতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে চিকিৎসকেরা নিয়মিত শরীরচর্চার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, একটি বিশেষ ধরনের শরীরচর্চা করতে পারলে, ফ্যাটি লিভার নির্মূল করা সম্ভব।
ফ্যাটি লিভার কী
দেহের ভিতরে সবচেয়ে বড় প্রত্যঙ্গ লিভার। খাবার হজম করতে, প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করতে এবং দেহ থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে যকৃৎ। যকৃতের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তার কার্যকারিতা হ্রাস পায়। এই অবস্থাকেই ‘ফ্যাটি লিভার’ বলা হয়। মূলত দু’ধরনের ফ্যাটি লিভার হতে পারে— মেটাবলিক অর্থাৎ খাওয়াদাওয়ার ধরনের পার্থক্যের জন্য এবং অ্যালকোহলিক অর্থাৎ অতিরিক্ত মদ্যপান থেকে।
কোন ধরনের ব্যায়াম
নিয়মিত শরীরচর্চা লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে এ ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ধরনের শরীরচর্চায় মনোনিবেশ করলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। তার ফলে ফ্যাটি লিভারকে নির্মূল করা সম্ভব বলেই দাবি করেছেন চিকিৎসকেরা। পেশির ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম করতে পারলে তা ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। নেপথ্যে রয়েছে ইনসুলিনের কার্যকারিতা।
ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকেই কার্ডিয়োর উপর জোর দেন। কার্ডিয়ো ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু পেশির ঘনত্ব বৃদ্ধি ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে আরও বেশি উপকারী। পেশির ঘনত্ব বৃদ্ধি পেলে, তখন তারা রক্ত থেকে বেশি পরিমাণে শর্করা শোষণ করতে পারে। ফলে ইনসুলিনের ক্ষরণ স্বাভাবিক থাকে। তার ফলে যকৃতের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সেখানে কম ফ্যাট সঞ্চিত হয়।
পেশির ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে ওজন-সহ ব্যায়াম করা প্রয়োজন। তবে জিমে ভারী ওজন নিয়ে ব্যায়াম করার আগে প্রশিক্ষকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।